প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:৩১ এএম
শব্দদূষণ বন্ধে পদক্ষেপ নিন
সাধারণত শব্দদূষণ বলতে কোনো শব্দ সৃষ্টির কারণে শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা বোঝায়। বিশেষ করে যানবাহন ও কলকারখানা থেকেই সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণের উৎপত্তি হয়। তবে শব্দদূষণের অন্যতম প্রধান কারণ গাড়ির হর্ন। আমাদের ড্রাইভাররা প্রয়োজনীয় জায়গার চেয়েও অপ্রয়োজনীয় হর্ন বেশি ব্যবহার করেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, শব্দদূষণের কারণে দুশ্চিন্তা, উগ্রতা, উচ্চ রক্তচাপ, শ্রবণশক্তি হ্রাস, ঘুমের ব্যাঘাতসহ অন্যান্য ক্ষতিকর ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে। অন্যান্য শারীরিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে স্মরণশক্তি হ্রাস, মানসিক অবসাদ হতে পারে। ড্রাইভারসহ সংশ্লিষ্ট পেশায় নিয়োজিতদের অতিরিক্ত হর্ন বাজানোর ভয়াবহতা সম্বন্ধে অবগত এবং তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একটি সুন্দর যোগাযোগব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধÑ দ্রুত অতিরিক্ত হর্ন বাজানোর মতো সমস্যার সমাধানে ব্যবস্থা নিন।
শামসুজ্জামান
সেন্দি, দাউদকান্দি, কুমিল্লা
কৃষকের সুযোগ-সুবিধা
কৃষিপ্রধান আমাদের দেশ। বেশিরভাগ মানুষের পেশাও কৃষিনির্ভর।কিন্তু কৃষকের বাড়তি কোনো সুযোগসুবিধা পাচ্ছে না। অথচ বাণিজ্যিকভাবে আমাদের দেশ সমৃদ্ধ হওয়ার পেছনে কৃষকের ভূমিকা অপরিসীম। কৃষক ফলন ফলালে আমাদের অন্ন জোটে।
অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় শীতকালীন পরিবেশে আমাদের দেশে সবজির বাম্পার ফলন হয়। সারা বছর পরিশ্রম করে ফসল ফলালেও উপযুক্ত মূল্য না পাওয়ায় চরম আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক। সার, বর্গাকৃত জমি, নিজ শ্রম ও অন্য আনুষঙ্গিক খরচের সঙ্গে কোনোভাবেই পেরে উঠছেন না কৃষক। শীতের মৌসুমে সবজির বাম্পার ফলন হওয়ার পরও কৃষক লাভবান হচ্ছেন না বরং উল্টো ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। পত্রিকায় দেখলাম, ন্যায্যমূল্য না পেয়ে কৃষিপণ্য রাস্তায় ফেলে, মাঠ থেকে না সরিয়ে কৃষক প্রতিবাদ করছেন। যদি এমন অব্যাহত থাকে, তাহলে এ পেশা থেকে মুখ ফেরাবেন কৃষক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধÑ কৃষকের দিকে তাকিয়ে তাদের জন্য কৃষিঋণের সহজলভ্যতা ও আর্থিক প্রণোদনার ব্যবস্থা করুন। আমরা মনে করি, কৃষিনির্ভর দেশ গড়তে কৃষককে ভালো থাকতে হবে, তারা ভালো থাকলেই আমরা ভালো থাকব।
সোহেল আরমান
বিজয়নগর, সদর, লক্ষ্মীপুর