× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

শান্তিচুক্তির পঁচিশ বছর ও সাম্যের প্রত্যাশা

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:২৫ এএম

আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:১১ পিএম

শান্তি চুক্তির পর শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সন্তু লারমা। ছবি : সংগৃহীত

শান্তি চুক্তির পর শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সন্তু লারমা। ছবি : সংগৃহীত

পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অত্যন্ত নয়নাভিরাম জনপদ এবং একই সঙ্গে নানামুখী সম্ভাবনারও। রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি-এই তিনটি পার্বত্য জেলায় একসময় ব্যাপক রক্তপাত ঘটেছে। কিন্তু এই সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসান ও সেখানকার জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত হয় পার্বত্য শান্তিচুক্তি।

আজ শান্তিচুক্তির পঁচিশ বছর। ওই চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেছিলেন তৎকালীন চিফ হুইপ আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ ও পাহাড়িদের পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)। ওই চুক্তিতে বলা হয়েছিল-‘পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলকে উপজাতি অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে বিবেচনা করিয়া এই অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ এবং সার্বিক উন্নয়ন করার প্রয়োজনীয়তা সরকার স্বীকার করিয়াছেন।’ শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর কোনো কোনো রাজনৈতিক মহল ও শান্তিচুক্তিবিরোধী পাহাড়ি কয়েকটি সংগঠনের পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে নানারকম নেতিবাচক কথা বলা হলেও দেশে-বিদেশে এই চুক্তি ঐতিহাসিক হিসেবেই বিবেচিত হয়েছিল। প্রশ্ন আছে, শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের দীর্ঘদিন পরও এর সবগুলো শর্ত কেন আজও পূরণ কিংবা বাস্তবায়িত হয়নি-এ নিয়ে নানা মহলে নানারকম বিতর্ক হতেই পারে, কিন্তু পার্বত্য শান্তিচুক্তি পাহাড়ি জনপদের ভাঁজে ভাঁজে সম্প্রীতি ও শান্তির হাওয়া বইয়ে দিয়েছিল এবং এর সুফল পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীরা নানাভাবে পেয়েছেন তা অস্বীকারের অবকাশ নেই। 

এটা অজানা নয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান সমস্যা ভূমিবিরোধ। এর নিষ্পত্তির লক্ষ্যে শান্তিচুক্তি অনুযায়ী ভূমি কমিশনও গঠন করা হয়েছিল। পরে আবার তা কয়েকটি মহলের আপত্তির মুখে সংশোধনও করা হয়। কিন্তু বিষয়টি প্রত্যাশা মোতাবেক এগোয়নি। পাহাড়ি জনগোষ্ঠী ন্যায্য অধিকার থেকে কখনও কখনও বঞ্চিত হয়েছে-এই অভিযোগ একবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় কি না এ নিয়েও বিতর্ক হতে পারে। আবার সমতল থেকে যারা পাহাড়ে গিয়ে বসবাস শুরু করেন, তাদেরও অনেকেই কতটা ন্যায্যতার ভিত্তিতে জীবনযাপনের পথ সৃজন করেছেন প্রশ্ন আছে এ নিয়েও। তবে আমি মনে করি, আর প্রশ্ন না তুলে বরং কীভাবে সবার জন্য ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়, সেই প্রচেষ্টা জোরদার করাই জরুরি। স্মরণ করা যায়, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর হার ছিল নব্বই শতাংশের বেশি। কিন্তু বর্তমানে সেই হার অনেক কমে গেছে, বলা যায় পাহাড়িরা সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছেন। পার্বত্য শান্তিচুক্তির পর অবহেলিত পাহাড়ি জনপদে অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ জীবনমানের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ইতোমধ্যে কম কাজ করেনি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা সরকারের অনেক কাজ বাস্তবায়নে যথেষ্ট ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছেন এবং রাখছেন। 

পাহাড়ি জনপদে বাঙালি-পাহাড়ি বিরোধের কারণ একাধিক। আবার পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণও বহুবিধ। এক কথায় বলা যায়, সব পক্ষই তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে অধিকারের প্রশ্ন সামনে নিয়ে আসছে নানাভাবে সময় বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে। অনুন্নত যোগাযোগব্যবস্থার কারণে দীর্ঘদিন পিছিয়ে থাকা পার্বত্য অঞ্চলে শান্তিচুক্তির আগে সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামো যা ছিল, তা একেবারেই অপ্রতুল বলা যায়। কিন্তু শান্তিচুক্তির পর প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পাকা রাস্তা, ৯ হাজারের অধিক কিলোমিটার পাকা ব্রিজ, ১৪০টিরও বেশি সেতু-কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। একইসঙ্গে ইন্টারনেট সেবাসহ টেলিযোগাযোগ ও মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের পরিসর বৃদ্ধির মাধ্যমে পার্বত্য এলাকাকে তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক উন্নত যোগাযোগক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। 

তারপরও পার্বত্য অঞ্চলে কাক্সিক্ষত মাত্রায় শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে-এ কথা বলা যাবে না। পাহাড়ি বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব রয়েছে এবং এ থেকে অনেক মর্মন্তুদ ঘটনাও ঘটেছে। পাশাপাশি বাঙালিদের একাংশের স্বার্থান্বেষী মনোভাব পার্বত্য অঞ্চলে কাক্সিক্ষত মাত্রায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় এখনও বাধা জিইয়ে আছে-এমন অভিযোগও কম শোনা যায়নি। এমতাবস্থায় আমরা অবশ্যই অধিকারের সমতলভূমি চাই। বৈষম্যের ছায়া যদি সমাজ থেকে সরানো না যায়, তাহলে কোনো উন্নয়নই টেকসই হবে না। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিষয়টি এ থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পেছনে যে কতগুলো সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার ছিল, এর মধ্যে অন্যতম ছিল সমাজের সর্বস্তরে সাম্য প্রতিষ্ঠা। অর্থাৎ বৈষম্য বিলোপের প্রত্যয়টি তখন আমাদের সামনে ছিল অগ্রকাতারে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, সাম্যের আকাক্সক্ষা এখনও প্রত্যাশা অনুযায়ী পূরণ হয়নি এবং বিগত পঞ্চাশ বছরের বেশি সময়ে স্বাধীন বাংলাদেশে এ নিয়ে প্রচেষ্টাও কম চলেনি। এই প্রচেষ্টার বাইরে পার্বত্য চট্টগ্রামও নয়। আমাদের অভিজ্ঞতায় আছে, দেশে জনকল্যাণ নিশ্চিতকল্পে অনেক আইন থাকলেও এসব আইনের প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সবক্ষেত্রে যথাযথভাবে দৃশ্যমান হয় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনকল্যাণে কিংবা সর্বস্তরের জণগণের অধিকারের মাঠ সমতল করতে সদিচ্ছার কোনো ঘাটতি নেই-এমনটি স্পষ্টতই পরিলক্ষিত হয়েছে। কিন্তু তার নির্দেশনা-পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়-দায়িত্ব যাদের, তারা যদি স্ব স্ব ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনে নিষ্ঠার পরিচয় না দেন, তাহলে কাক্সিক্ষত সুফল মিলবে কীভাবে? এই প্রেক্ষাপটে বলা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিদ্যমান পরিস্থিতি এর বাইরে নয়। এ কথা অস্বীকার করা যাবে না, বৈষম্য সব সমাজেই কমবেশি বিদ্যমান এবং কোনো কোনো দেশে উন্নয়ন-অগ্রগতি সত্ত্বেও মানুষে মানুষে ব্যবধান-বিভাজন তো ঘোচেইনি, বরং অনেক ক্ষেত্রে তা প্রকট হয়েছে। এ যেন প্রদীপের নিচে অন্ধকারের মতো। অবশ্যই এই সত্য অস্বীকারের পথ নেই, সব সভ্যতার ভিত্তি হলো সাম্য। 

দার্শনিক, সমাজচিন্তক, রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা সব সময় সাম্যের স্বপ্ন দেখেছেন। বাংলাদেশের অঞ্চলভিত্তিক সমাজে তো বটেই, পার্বত্য জনপদেও সমভাবেই সেই সাম্যের প্রত্যাশা আমরা করি। শান্তির প্রধান শর্ত সাম্য। সাম্যের অন্যতম শর্ত অধিকারের বাস্তবায়ন। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনসমাজে তো বটেই, সামগ্রিকভাবে সমাজে এই জরুরি বিষয়গুলো জীবনের অনুষঙ্গ হিসেবে অবশ্যই যুক্ত রেখে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সবার কর্মপন্থা নির্ধারণ করে সেই নিরিখেই কাজ করা উচিত। সভ্যতার উৎকর্ষকালে দেশের কোনো একটি অংশের মানুষের অধিকার কিংবা ন্যায়বিচার প্রাপ্তির প্রত্যাশা কোনোভাবেই হোঁচট খেতে পারে না। বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে, বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণ-গোত্রের মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপন করতে হলে এবং সবার জন্য ন্যায়বিচার ও অধিকার নিশ্চিত করতে হলে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া বাহাত্তরের সংবিধান ফিরিয়ে আনতে হবে। পাহাড়ি জনপদের কিংবা সমতলের মানুষ অথবা বাঙালি কিংবা অবাঙালি এভাবে এদেশের নাগরিককে বিভাজন করার কোনো অবকাশ নেই। এমনটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার ও প্রত্যয়ের সম্পূর্ণ বিরোধী। আমরা দেখেছি, পাহাড়ি জনপদে এই অপপ্রক্রিয়া অতীতে শাসকরা চালিয়েছেন তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থকরণের লক্ষ্যে। এর বিরূপ ফল নানাভাবে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছিল। কিন্তু যে সরকার পার্বত্য শান্তিচুক্তির মতো এত বড় একটি ঐতিহাসিক কাজ সম্পাদন করেছে, সে-ই এখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের দায়িত্ব হলো, শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অসম্পূর্ণ কাজগুলো দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা।

পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর এত বছর কেটে গেলেও এখনও কেন এই চুক্তির শর্তগুলো পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়নি, কেন পাহাড়ে এখনও পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ-সংঘাত জিইয়ে আছে কিংবা সেখানে বসবাসরত নেতৃস্থানীয় বাঙালি ও রাজনীতিকরা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছেন কি না-এই প্রশ্নগুলোর উত্তর অনুসন্ধান জরুরি। তবে একটি কথা সত্য, অভ্যন্তরীণ রাজনীতির টানাপোড়েন সত্ত্বেও শান্তিচুক্তির সুফল পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী না হলেও অনেকটাই প্রত্যক্ষভাবে পাচ্ছে এবং উপলব্ধি করছে। ৮০ ও ৯০ দশকের মধ্যভাগ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে ভয়াবহ অবস্থা ছিল। সবকিছুতেই আজ উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটেছে, তবে সবার জন্য অধিকারের মাঠ সমতল হয়নি-এই অভিযোগ রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে পার্বত্যবাসীকে বাংলাদেশের মূলস্রোতের বৃহত্তর মানুষের সঙ্গে একাত্ম করতে আরও ব্যাপক উদ্যোগ নিতে হবে। ভ্রাতৃঘাতী রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে হবে। রাষ্ট্র ও রাজনীতির সবক্ষেত্রে পার্বত্যবাসীর জন্য সাম্যের বাতাবরণ সৃষ্টি করতে হবে। তাদের ভাগ্যোন্নয়ন, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ অধিকারের সবক্ষেত্রে আরও বেশি মনোযোগ বাড়াতে হবে। অনস্বীকার্য, তাদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষা করার জন্য রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হচ্ছে। তবে তা আরও বাড়ানো উচিত বলে মনে করি। বাংলাদেশের এক-দশমাংশ এলাকায় শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে শান্তিচুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল তৎকালীন ও আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতায়। তিনি এজন্য ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কারেও ভূষিত হন। কাজেই তিনি যদি শান্তিচুক্তির সব শর্ত বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে কঠোর নির্দেশনা দেন এবং পার্বত্য জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কোনো কোনো ক্ষেত্রে জিইয়ে থাকা নেতিবাচকতার ছায়া সরাতে পারেন, তাহলে শান্তিচুক্তির সুফল অবশ্যই ব্যাপকভাবে দৃশ্যমান হবে। যে বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে আমলে রেখে সব করণীয় নির্ধারণ করতে হবে, তা হলো-সন্ত্রাসী, সমাজবিরোধী, স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক নেতাকর্মী যে দল বা মহলেরই হোক, তারা কারোরই মিত্র বা সহায়ক শক্তি হতে পারে না।

পার্বত্যাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিকাশ বেগবান করার যে দরজা শান্তিচুক্তির ফলে উন্মুক্ত হয়, এর সফল বাস্তবায়ন বহুলাংশে নির্ভর করছে সেখানে অবস্থানরত সব পক্ষের জনগণের আন্তরিক সহযোগিতা ও সদিচ্ছার ওপর। এ ক্ষেত্রে দায় কাররই কম নয়। শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও ওই অঞ্চলের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকার কর্তৃক গৃহীত নানা উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। এমন উদ্যোগ প্রমাণ করে, সরকার এ অঞ্চলকে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ অংশ মনে করে। তবে পাহাড়ি জনগণের মনে এ অনুভূতির গভীর সঞ্চার করার দায়িত্বও সরকারের। যতদিন পর্যন্ত শান্তিচুক্তি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন না হবে, ততদিন পর্যন্ত এর দায়ভার কিছুটা হলেও সরকার এবং সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সবার ওপরই বর্তাবে। যারা চান পার্বত্য অঞ্চলে অশান্তি জিইয়ে থাকুক আর এর মধ্য দিয়ে তাদের রাজনৈতিক ফায়দা লোটার পথটা চওড়া হোক, তারা দেশ এবং দেশের মানুষের মিত্র নন।

লেখক : শিক্ষাবিদ ও সমাজবিজ্ঞানী

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা