স্মরণ
আলামীন হোসাইন শিপন
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৪৫ এএম
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৫০ এএম
নির্মল কুমার সেনগুপ্ত।
নির্মল কুমার সেনগুপ্ত। নির্মল সেন নামেই সব মহলে পরিচিত। ছিলেন আপসহীন সাংবাদিক, কলামিস্ট ও রাজনীতিক। জন্ম ১৯৩০ সালের ৩ আগস্ট গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার দীঘিরপাড় গ্রামে সম্ভ্রান্ত পরিবারে। বাবা সুরেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত ছিলেন শিক্ষক। মা লাবণ্য প্রভা সেনগুপ্ত। দেশভাগের পর নির্মল সেনের বাবা-মা অন্য ভাইবোনদের নিয়ে কলকাতা চলে গেলেও জন্মভূমির প্রতি অকুণ্ঠ ভালোবাসার টানে তিনি এ দেশেই রয়ে যান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এবং এমএ সম্পন্ন করা নির্মল সেনের রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয় স্কুলজীবনে ‘ভারত ছাড়’ আন্দোলনের মাধ্যমে। দীর্ঘদিন শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রাজনৈতিক ও সাংবাদিক জীবনে নির্মল সেন বহুবার জেল খেটেছেন। জনকল্যাণকর দাবিদাওয়া নিয়ে অনশন করেছেন। প্রথম জেল খাটেন ১৯৪৮ সালে। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে অনন্য ভূমিকা রাখেন। মুক্তিযুদ্ধে আগরতলায় বিভিন্ন ক্যাম্পে দায়িত্ব পালন করেন। শুধু তাই নয়, আগরতলায় আরএসপির সহযোগিতায় তরুণদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেন।
ষাটের দশকের শেষে দৈনিক ইত্তেফাকে যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে নির্মল সেনের সাংবাদিকতা জীবন শুরু। তারপর দৈনিক আজাদ, দৈনিক পাকিস্তান, দৈনিক বাংলা পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে অতিথি শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেছেন। ‘অনিকেত’ ছদ্মনামে লেখা তার কলাম জনপ্রিয় ছিল। তার লেখা ‘পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ’, ‘মানুষ সমাজ রাষ্ট্র’, ‘বার্লিন থেকে মস্কো’, ‘মা জন্মভূমি’, ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই’, ‘আমার জীবনে ৭১-এর যুদ্ধ’, ‘আমার জবানবন্দি’ উল্লেখযোগ্য। ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি ৮২ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন।