প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:১০ এএম
মাদকমুক্ত সমাজ চাই
নিষিদ্ধ মাদকের হাত ধরে দেশে বাড়ছে নানা ধরনের অপরাধ। এক শ্রেণির অসাধু মানুষের কাছে মাদকই সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা। মাদকের ক্রেতা যুবসমাজ। মাদকের কুফল জেনেও আমরা তা অগ্রাহ্য করছি। এর থেকে বড় কষ্ট আর কী হতে পারে। মাদকের কুফলগুলো সম্পর্কে আমরা সকলেই অবগত। মাদক যে সমাজের কত বড় ক্ষতি করছে তা সকলেই জানি। মাদকের প্রভাবে পিতামাতা সুস্থ সন্তান হারাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা অন্ধকার পথে গিয়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়াশোনার গতি হারাচ্ছে। মাদকের প্রভাবে সমাজে চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিংয়ের মতো সামাজিক অপরাধ বাড়ছে। জীবনবিধ্বংসী ক্ষতিকারক দ্রব্য সেবনের ফলে যুবসমাজের সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, বর্তমানে দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা ৭০ লাখেরও বেশি। যাদের প্রায় ৮০ শতাংশই শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণী। মাদকের প্রতি আসক্ত হওয়ার প্রধান কারণ মাদকের সহজলভ্যতা। এ ছাড়া পারিবারিক হতাশা, বেকারত্বের কারণেও যুবসমাজ মাদকের দিকে ঝুঁকছে। মাদকের এই বিষাক্ত ছোবল থেকে আমাদের সমাজকে রক্ষা করতে সচেতন হতে হবে পরিবার ও সমাজকে। গড়ে তুলতে হবে সামাজিক সচেতনতা। শিক্ষক সমাজ বড় একটি ভূমিকা পালন করতে পারে। আমরা সচেতন হলেই সুন্দর সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।
জিন্নাত আরা
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী কলেজ
আবাসন সংকট দূর করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দেশের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ। প্রায় ১৯ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। আবাসিক সুবিধা নেই জেনেও শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকাায় রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এখানে মেয়েদের জন্য একটি মাত্র হল। ছেলেদের জন্য হল থাকা সত্ত্বেও তার দখল নেই কর্তৃপক্ষের। মেয়েদের একটি হল ছাড়া, হলের সুবিধা কখনও ভোগ করতে পারেনি বাকি জবি শিক্ষার্থীরা। সেই একটি হলেও রয়েছে গ্যাস সংকট, চুলার সংকট, নিম্নমানের খাবার, যার কোনোটিই সমাধান হয়নি। ক্যাম্পাস জীবনের শুরু থেকেই জবি শিক্ষার্থীরা শুরু করে টিকে থাকার লড়াই। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মেসের অতিরিক্ত ভাড়া ও অন্যান্য খরচ বহন করার জন্য স্বল্প বেতনের টিউশনে, অতিরিক্ত কর্মঘণ্টায় জবি শিক্ষার্থীরা কাটাচ্ছে জীবনের মূল্যবান সময়। এত পরিশ্রম করে দিন শেষে ঠিকঠাক পড়াশোনা করাই দায়। বাড়িতে থাকার সামান্য সুখের জন্য কুমিল্লা, মানিকগঞ্জ ও নরসিংদীর মতো দীর্ঘ রুটে কেউ কেউ নিয়মিত যাতায়াত করে ক্যাম্পাসে আসে। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। বিশেষ করে আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা প্রায় বন্ধের পথে। জবি শিক্ষার্থীদের দাবি দ্রুত হলগুলো উদ্ধার করার পাশাপাশি কেরানীগঞ্জে নতুন ক্যাম্পাসে, অস্থায়ী আবাসনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নুসরাত জাহান অর্পিতা
শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
সহানুভূতির হাত বাড়ান
ষড়ঋতুর দেশে প্রতিটি ঋতুই প্রকৃতিতে অনন্য সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্য নিয়ে আসে। শীতকালও এর ব্যতিক্রম নয়। কুয়াশার চাদরে মোড়া ভোর, শিশির ভেজা প্রকৃতি, আর স্নিগ্ধ রোদ মিলে শীতকালকে আনন্দের আমেজে ভরিয়ে তোলে। তবে এই ঋতু সবার জন্য আনন্দময় নয়। বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য শীতকাল চরম দুর্ভোগের নাম। দেশের বড় অংশের মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। শীত থেকে বাঁচার জন্য পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র তাদের কাছে বিলাসিতার শামিল। সড়কের পাশে, স্টেশন বা বাজারে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটানো এসব মানুষের জীবন শীতের তীব্রতায় আরও কঠিন হয়ে ওঠে। শীতবস্ত্রের অভাবে তারা ডায়রিয়া, সর্দি, কাশি ও শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়। শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়। আমাদের সকলের উচিত এসব শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। গরম কাপড় বিতরণের মাধ্যমে তাদের জীবনযাত্রা সহজ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এতে তাদের শীতের কষ্ট লাঘব হবে।
প্রিয়ন্তী কর্মকার
শিক্ষার্থী, রাজশাহী কলেজ