প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:১৩ এএম
ফুটপাত চাই
ফেনী পলিটেকনিক
ইনস্টিটিউটের সামনে দিয়ে যাওয়া ফেনী-ছাগলনাইয়া সড়কের পাশে পথচারীদের জন্য ফুটপাত নেই।
এ রাস্তা দিয়ে জেলার স্বনামধন্য দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও
ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউটে যেতে হয়। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য শিক্ষার্থীকে হেঁটে
অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। ফেনী-ছাগলনাইয়া সড়কে প্রতিদিন বড় ট্রাক, বাস,
প্রাইভেট কার, সিএনজিসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু ফুটপাত না থাকায় শিক্ষার্থীদের
সড়কের এক পাশ দিয়ে চলাচল করতে হয়। এতে অনেক সময় ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। রয়েছে যেকোনো
সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও।
শিক্ষার্থী ও
পথচারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে, দুর্ঘটনা এড়াতে শহরের হাসপাতাল মোড় থেকে ফেনী পলিটেকনিক
ইনস্টিটিউট পর্যন্ত ফুটপাত তৈরির জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মোহাম্মদ আবদুস
সামী
শিক্ষার্থী, ফেনী
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ফেনী
নিরাপদ সড়ক
নিশ্চিত করুন
প্রতিদিন সড়কে
ঝরছে তাজা প্রাণ। মানুষ হারাচ্ছে আপনজন। দুর্ঘটনায় শত শত পরিবার স্বজন হারিয়ে অসহায়
জীবনযাপন করছে। নিরাপদ সড়কের জন্য আন্দোলন, ধর্মঘট, মিছিল, সমাবেশ কত কিছুই হলো। শিক্ষার্থীরাও
নিরাপদ সড়কের দাবিতে পথে নেমেছিল। তৎকালীন রাজনৈতিক সরকারের তরফে নানা প্রতিশ্রুতিও
দেওয়া হয়েছিল। কার্যত তার কোনো কিছুই প্রতিফলিত হয়নি। বরং প্রতিদিনই যেন সড়ক আরও প্রাণঘাতী
হয়ে উঠছে। দেখে-শুনে প্রশ্ন জাগেÑআদৌ কি আমরা নিরাপদ সড়ক পাব? আদৌ কি থামবে সড়কে মৃত্যুর
মিছিল?
সড়ক নিয়ে কাজ
করা বেসরকারি একটি সংস্থার তথ্যানুযায়ী, দেশে সেপ্টেম্বরে ৩৯২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪২৬
জন নিহত এবং ৮১৩ জন আহত হয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্যানুযায়ী,
গত বছর দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫ হাজার ৪৯৫টি। এসব দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৫ হাজার ২৪
জন। আহত হয়েছে ৭ হাজার ৪৯৫ জন। তবে সড়কে মৃত্যুর সরকারি-বেসরকারি হিসাবে পার্থক্য অনেক।
দেশে প্রতিনিয়ত মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকারি-বেসরকারি
পর্যায়ে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও এখনও দুর্ঘটনার লাগাম টেনে ধরা সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি।
ফলে প্রায় প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে; পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হতাহতের ঘটনা। মানুষ আর সড়কে
মৃত্যু দেখতে চায় না। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অনুরোধ, ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’
প্রণয়নের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে কার্যকর পদক্ষেপ নিন।
তরিকুল ইসলাম
অ্যাডভোকেসি অফিসার
(কমিউনিকেশন)
স্বাস্থ্য সেক্টর,
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন
সাত কলেজের
সমস্যার সমাধান হোক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যার মুখোমুখি। সেশনজট, ফল
প্রকাশে দেরি এবং অতিরিক্ত পরীক্ষা ফি শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত চাপের কারণ হয়ে
দাঁড়িয়েছে। এ অব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার ও মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত
হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষার ফি দিতে পারছে
না, যা তাদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করছে। এ সংকটের কার্যকর সমাধান ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’
(ডিসিইউ) গঠন করা। ডিসিইউ প্রতিষ্ঠা হলে সাত কলেজের শিক্ষাকার্যক্রম স্বতন্ত্রভাবে
পরিচালিত হবে এবং নিজেদের অ্যাকাডেমিক উন্নয়নে মনোনিবেশ করতে পারবে। ডিসিইউর মাধ্যমে
পরীক্ষার ফি এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক লেনদেন স্বচ্ছ হবে, যা শিক্ষার্থীদের আর্থিক চাপ
কমাতে সাহায্য করবে। এ ছাড়া ডিসিইউতে নতুন নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত হলে এসব বিষয় দেশের
শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করবে এবং উচ্চশিক্ষার মান বাড়াবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর সংকট সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন
এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিক, যাতে শিক্ষার্থীরা একটি উজ্জ্বল
ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।
মো. রাফি
শিক্ষার্থী, ঢাকা
কলেজ, ঢাকা