× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

চিঠিপত্র | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:২৩ এএম

চিঠিপত্র | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনুন

গত ১৫ বছরে পাচার হওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা ফেরত আনতে উদ্যোগ নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যে দুর্নীতিবাজদের ধরতে ও পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সম্প্রতি সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সভা শেষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, টাস্কফোর্সের কর্মপদ্ধতি কী হবে, কারা থাকবেন, এর প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ চলছে।

কয়েক বছর ধরেই দেশের অর্থ বিদেশে পাচার নিয়ে আলোচনা চলছে। পূর্ববর্তী সরকার অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা দেখানোর জোর আওয়াজ তুললেও সেই আওয়াজ ছিল দলের নির্বাচনী ইশতেহার কিংবা মঞ্চে নেতানেত্রীদের বক্তব্য পর্যন্ত। দেখা যায়নি অর্থ পাচার বন্ধে কার্যকর ও টেকসই কোনো পদক্ষেপ। একমাত্র রাজনৈতিক সদিচ্ছা ফিরিয়ে আনতে পারে পাচার করা অর্থ। অন্তর্বর্তী সরকারের দ্রুত এবং কার্যকর উদ্যোগের মাধ্যমে পাচার হওয়া অর্থ দ্রুত ফেরত আনার উদ্যোগ প্রত্যাশা করি। পাশাপাশি আর যেন এক টাকাও পাচার না হয় সে দায়িত্ব নিতে হবে রাষ্ট্রকে, সঙ্গে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

মাহবুব আলী

জিলাপাড়া, পাবনা

 

পোশাকশিল্প খাতে অসন্তোষ দূর করুন

তৈরি পোশাক খাতে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। সম্প্রতি বিভিন্ন দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে গার্মেন্ট শ্রমিকদের আন্দোলন। পোশাকশিল্প অধ্যুষিত এলাকায় বিক্ষোভ-ভাঙচুরও হয়েছে। যৌথবাহিনীর নিরাপত্তায় বিভিন্ন এলাকায় কারখানায় শ্রমিকরা কর্মস্থলে যোগ দিলেও এখনও কোথাও কোথাও শ্রমিক অসন্তোষের খবর সংবাদমাধ্যমে আসছে।

অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের ‘ঝুট ব্যবসার’ কারণে অস্থির হয়ে ওঠে তৈরি পোশাক কারখানার পরিবেশ। এ খাতে এমন অস্থিরতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। নৈরাজ্য-অস্থিরতা পোশাক খাতের জন্য শঙ্কার। গত জুলাই ও আগস্ট এ দুই মাসের ছাত্র-জনতার আন্দোলন, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদল এবং চলমান অস্থিরতার কারণে কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। সময়মতো শিপমেন্ট হয়নি। ফলে কার্যাদেশ ধরে রাখতে উড়োজাহাজে পণ্য পাঠাতে বইতে হয়েছে বাড়তি খরচের চাপ। এতে সামগ্রিকভাবে পোশাক ও বস্ত্র খাতে ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। এ প্রেক্ষাপটে অনেক কারখানায় বেতন দিতেও দেরি হচ্ছে।

তৈরি পোশাক খাতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ রপ্তানিকারক বাংলাদেশ। অনেক প্রতিকূলতা এবং দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প এগিয়ে যাচ্ছে অগ্রগতির পথে। দেশের অর্থনীতি বেগবান করতে পোশাকশিল্পের কোনো বিকল্প নেই। যেকোনো মূল্যে শ্রমিক-মালিক উভয় পক্ষের স্বার্থ দেখেই এ খাতের সব অস্থিতিশীলতা দূর করতে হবে। এ খাত ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে হবে।

এনামুল কবির

গাজীপুর চৌরাস্তা, গাজীপুর

 

প্রধান সড়ক থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশা সরান

ঢাকার মূল সড়কগুলোয় বিষফোড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক। সরকার পতনের পর শিথিল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সুযোগে অলিগলি থেকে বেরিয়ে রাজধানীর মূল সড়কে উঠে এসেছে য্ন্ত্রচালিত রিকশা। এসব রিকশা সব ধরনের যানবাহনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে রাজপথে। ফলে একদিকে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে সড়ক, অন্যদিকে বাড়ছে যানজট।

পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে ঢাকার বাইরে থেকে অনেক ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করেছে। এসব চালকের কোনো ধরনের লাইসেন্স, নিবন্ধন ও অভিজ্ঞতা নেই। নানা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। বিআরটিএ ও সিটি করপোরেশন থেকে এগুলোর কোনো ধরনের অনুমতি দেওয়া হয়নি। অবৈধভাবে চলার কারণে সিগন্যাল ও নিয়মনীতি মানছে না। ট্রাফিক পুলিশের নিয়মকানুন পুনরুজ্জীবিত করা খুবই জরুরি। ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা অবাধে মূল সড়কে চলার সুযোগ পেলে তাদের নিবৃত্ত করা কষ্টকর হয়ে যাবে।

প্রচলিত রিকশার চেয়ে দ্রুতগতিতে চলায় ব্যাটারিচালিত রিকশা এখন নগরবাসীর আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্রেক ততটা শক্তিশালী না হওয়া ও চালকদের অনেকেই অনভিজ্ঞ হওয়ায় বেড়েছে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও। সম্প্রতি মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না, এমন কথা স্পষ্ট জানিয়েছে ডিএমপি। আমরা রাজধানীর প্রধান সড়ক থেকে দ্রুত ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে পুলিশের কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করি।

জয়ন্ত কুমার সরকার

কালশী, মিরপুর, ঢাকা

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা