প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০০:৪৬ এএম
ঢাবির
মেয়েদের আবাসন সংকটের সমাধান চাই
বহু
শিক্ষার্থী তাদের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে অনেক আশা, আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
ভর্তি হয়। ভর্তির পরপর অধিকাংশ শিক্ষার্থীকেই আবাসন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। বিশেষত,
নারী শিক্ষার্থীদের নানাবিধ সমস্যার হতে মুখোমুখি হতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের
জন্য হল ১৪টি হলেও মেয়েদের জন্য মাত্র ৫টি হল বরাদ্দ। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মজীবীদের
জন্য রয়েছে কর্মজীবী হোস্টেল। অথচ মেয়েদের জন্য নতুন হল স্থাপনের নেই কোনো উদ্যোগ।
এর মধ্যে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলতুন্নেসা মুজিব হলে তৃতীয়
বর্ষের আগে সিট পাওয়ার সম্ভাবনাই থাকে না। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্লাস
শুরুর তারিখও ঘোষণা দিয়েছেন। নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা ব্যতীত ক্লাসে ফিরে যাওয়া
সম্ভব নয় বললেই চলে। দূরদূরান্তের জেলা থেকে পড়তে আসা নারী শিক্ষার্থীদের অনেকেই
নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। অনেকেরই ঢাকায় আত্মীয়স্বজন নেই, অনেকের আবার বাসা ভাড়া
করে থাকার সামর্থ্য নেই। এতে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয় তাদের। মেয়েদের হল থেকে রাজনীতি
বিলুপ্ত হলেও আবাসন সংকটের হয়নি সমাধান। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান জরুরি। মেয়েদের
নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা ব্যতীত ক্লাসে ফেরা কঠিন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেয়েদের
জন্য হলের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানাই।
ফাহিমা
তাসনিম
শিক্ষার্থী,
ইতিহাস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
অনিয়মের
পুনরাবৃত্তি চাই না
গত
১৫ বছরের অনিয়ম, সীমাহীন দুর্নীতি আর দুঃশাসন মুক্ত হয়ে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে।
সব স্তরে বৈষম্য দূর করে সকল নাগরিকের সামাজিক ও রাষ্ট্র-স্বীকৃত সকল অধিকার নিশ্চিত
করা এখন জরুরি। আমরা দেখছি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মতের মানুষের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি
হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা সংঘাতে রূপ নিচ্ছে। এই সংঘাতের পুনরাবৃত্তি না হয়ে রাজনৈতিক
কাঠামোয় পরিবর্তন চাই। যেখানে দল-মত নির্বিশেষে সকলে তার ন্যায্য দাবি উত্থাপন ও অধিকার
দাবি করতে পারবে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুনরায় দেশকে দুর্নীতিগ্রস্ত করার অপপ্রবণতা
থামাতে হবে। ভিন্ন মতের মানুষকে গঠনমূলক সমালোচনা করার সুযোগ দিতে হবে। সর্বোপরি সামাজিক
সচেতনতা বাড়ানোর দিকে বাড়তি মনোযোগ দিতে হবে। এই মুহূর্তে সবার রাজনৈতিক সচেতনতা কাম্য।
মোহাম্মদ
আল আমিন
শিক্ষার্থী,
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
কালোটাকার
উৎসে নজর দিন
বাংলাদেশের
অর্থনীতির অন্যতম বিষফোড়া কালোটাকা। দুর্নীতি, কর ফাঁকি এবং অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে আয়
করা টাকাই কালোটাকা। এই সমস্যা দূর করার জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিতে হয়।
দেশে অনিয়ম-দুর্নীতির ফলে কালোটাকা বাড়লে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে আয় কমে এবং বৈদেশিক
বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হয়। শুধু তাই নয়, কালোটাকা দেশে মুদ্রাস্ফীতি বাড়াতে পারে। কালোটাকা
বন্ধে, অর্থপাচার বন্ধে ব্যাংকিং ব্যবস্থার স্বচ্ছতা জরুরি। এ ছাড়াও তথ্য-প্রযুক্তির
ব্যবহারে কর ফাঁকি এবং অর্থপাচার রোধ করা সম্ভব। ই-কমার্সসহ বিভিন্ন অনলাইন লেনদেনের
ওপর নজর রাখা এবং তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে অনিয়ম শনাক্ত করা যেতে পারে। জনসাধারণকে
কালোটাকার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করাও জরুরি। সরকারকে এই বিষয়ে জনসচেতনতা
সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। কালোটাকা বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি
দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। এই সমস্যা মোকাবিলায় প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। দুর্নীতি
দমন, কর প্রশাসন শক্তিশালীকরণ, অর্থপাচার রোধ, ব্যাংকিং ব্যবস্থার স্বচ্ছতা, তথ্য-প্রযুক্তির
ব্যবহার এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি– এগুলো কালোটাকা দমনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপ। সরকারকে এই
পদক্ষেপগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে কালোটাকা দমনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ
করতে হবে।
আল
মামুন রিটন
নাটোর
সদর, নাটোর