প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২৪ ১৭:৫০ পিএম
কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে দেশব্যাপী যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। শিক্ষার্থীদের অহিংস আন্দোলন কেন কীভাবে সহিংসতায় রূপ নিল তা সচেতন মানুষমাত্রেই জানা। এর দায় যেমন সরকার এড়াতে পারে না তেমন সংশ্লিষ্ট অন্য পক্ষগুলোরও দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে বলেছিলেন, সরকার ইচ্ছে করলে কোটা বাড়াতে-কমাতে পরে। ৫ জুলাই থেকে যে আন্দোলন চলছে তা চরম সহিংসতায় রূপ নেয় জুলাইয়ের প্রায় দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে। তখনও কিন্তু বলটা সরকারের কোর্টেই ছিল। সরকার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সব সমস্যার সমাধান করার সুযোগ হাতছাড়া করে হীনস্বার্থবাদী রাজনীতিকদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের সুযোগ কেন দিল তা তারাই ভালো বলতে পারবে। আন্দোলন এখন শিক্ষার্থীদের হাতে নেই। তা ছাড়া আপিল বিভাগের রায়ের পর তাদের আন্দোলনের আর যৌক্তিকতাও নেই। তারা ক্লাসে ফিরে যাবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা। বন্ধ হোক সহিংসতা। ফিরুক শান্তি।
মো. অহিদুর রহমান
বাসাবো, ঢাকা
শিক্ষার পরিবেশ ফিরুক
দেশব্যাপী কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে জনজীবন, শিক্ষা, অর্থনীতি সব ক্ষেত্রেই চরম অভিঘাত লেগেছে। আপিল বিভাগের রায় নিঃসন্দেহে যুগান্তকারী। এখন আর কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনের কোনো অবকাশ নেই। শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়া উচিত। এমনিতেই শিক্ষার চরম ক্ষতি হয়েছে। সহিংসতায় ব্যাপক হতাহতের চিত্র ব্যথিত না করে পারে না। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে রাজনৈতিক কোনো কোনো পক্ষ যে পানি ঘোলা করেছে তা তো অস্পষ্ট নয়। যত দিন যাচ্ছে ততই তা আরও পরিষ্কার হচ্ছে। হতাহতের দায় সরকার তো বটেই অন্য পক্ষও এড়াতে পারে না। যে ধ্বংসযজ্ঞ দেশব্যাপী হয়েছে এর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই তা সচেতন মানুষ বিশ্বাস করে। শিক্ষার্থীরা এত হিংস্র হতে পারে না। দ্রুত শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে যথাযথভাবে কাজ করতে হবে।
ফাহিম হোসেন
নদ্দা, ঢাকা
জনজীবন স্বাভাবিক হোক
কোটা সংস্কার আন্দোলন শান্তিপূর্ণ অবস্থা থেকে কেন এবং কীভাবে চরম অশান্তির জন্ম দিলÑএ নিয়ে প্রশ্ন তো উঠবেই। এর উত্তরও সচেতন মানুষের কাছে অস্পষ্ট নয়। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আন্দোলন ছিনিয়ে নেয় রাজনৈতিক কয়েকটি পক্ষ। সরকারও এজন্য কম দায়ী নয়। ছাত্রলীগের উন্মত্ততাও কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশও প্রথমে বাড়াবাড়ি করেছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি হয়ে ওঠে অগ্নিগর্ভ। আমরা যারা শান্তিপ্রিয় মানুষ তারা সরকার ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকেই দায়ী করব। তবে শিক্ষার্থীরা ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়নি বা এসবে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই তা আমরা বিশ্বাস করি। আমাদের অভিজ্ঞতায় আছে রাজনীতির হীনস্বার্থে ছাত্র সংগঠনগুলোকে মূল রাজনৈতিক দলগুলো ব্যবহার করে এবং এর ফল সব সময়ই বুমেরাং হয়েছে। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। জানমালের এত ক্ষতি, এত মর্মস্পর্শী চিত্র কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। স্বাভাবিক জনজীবন নিশ্চিত হোক।
ফয়সাল নোমান
মহাখালী, ঢাকা