মীর রবি
প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২৩ ০২:১১ এএম
আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:৩৬ পিএম
কখনও কি ধারণা করা হয়েছিল, একদিন পৃথিবীর সর্বোচ্চ এই পর্বতশৃঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা উড়বে! কেউ জানত কি বাংলাদেশিরাও এভারেস্ট জয় করবে! ধারণা করা হোক বা না হোক বাংলাদেশিরাও হিমালয় জয় করেছে, তা আজ গর্বের ইতিহাস। শুধু একজন বাংলাদেশি নয়, বাংলাদেশের পাঁচ কীর্তিমান পর্বতারোহী এভারেস্ট জয় করেছেন।
পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্ট, উনিশ শতকের পূর্ব পর্যন্ত এই কথা কেউ জানত না। আগে মনে করা হতো, আন্দিজ পর্বতই পৃথিবীর সর্বোচ্চ উচ্চতার মাউন্টেন রেঞ্জ বা পর্বতমালা। উনিশ শতকের দিকে ব্রিটিশরা ভারতে বিস্তৃত পরিসরে একটি ত্রিকোণমিতিক জরিপের উদ্যোগ নেয়। ১৮৪৭ সালে দার্জিলিংয়ের কাছাকাছি থেকে একটি পর্যবেক্ষণ চালানো হয়। সেবারই প্রথম ধারণা করা হয় হিমালয় পর্বতমালার ১৫ নম্বর চূড়াটি পথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া। ১৮৫২ সালে এটা প্রতিষ্ঠিত হয় যে, ১৫ নম্বর চূড়া বলে পরিচিত চূড়াটিই পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত চূড়া। বাঙালি গণিতজ্ঞ এবং পর্বত পরীক্ষক রাধানাথ সিকদার সর্বপ্রথম এভারেস্টকে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু পর্বত হিসেবে শনাক্ত করেন। সে সময় এর উচ্চতা পাওয়া গিয়েছিল ২৯,০০২ ফুট। সর্বশেষ ২০২০ সালে নেপাল এবং চীন যৌথভাবে ঘোষণা করে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্টের উচ্চতা ৮,৮৪৮ দশমিক ৮৬ মিটার।
নেপালের পর্বতারোহী তেনজিং নোরগে (২৯ মে ১৯১৪-৯ মে ১৯৮৬) এবং এডমন্ড হিলারি ১৯৫৩ সালের ২৯ মে যৌথভাবে সর্বপ্রথম এভারেস্ট পর্বত জয় করেন। কিন্তু কখনও কি ধারণা করা হয়েছিল, একদিন পৃথিবীর সর্বোচ্চ এই পর্বতশৃঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা উড়বে! কেউ জানত কি বাংলাদেশিরাও এভারেস্ট জয় করবে! ধারণা করা হোক বা না হোক বাংলাদেশিরাও হিমালয় জয় করেছে, তা আজ গর্বের ইতিহাস। শুধু একজন বাংলাদেশি নয়, বাংলাদেশের পাঁচ কীর্তিমান পর্বতারোহী এভারেস্ট জয় করেছেন। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট চূড়ায় ওঠেন মুসা ইব্রাহীম আর এভারেস্টজয়ী প্রথম বাংলাদেশি নারী নিশাত মজুমদার। এরপর একে একে এভারেস্ট জয় করেন এমএ মুহিত, ওয়াসফিয়া নাজরীন ও খালেদ হোসাইন। এ পর্যায়ে জানা যাক এই পাঁচ পর্বতযোদ্ধা সম্পর্কে।
মুসা ইব্রাহীম
মুসা ইব্রাহীম একজন পর্বতারোহী ও সাংবাদিক। তিনিই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেন। তিনি ২০১০ সালের ২৩ মে বাংলাদেশ সময় সকাল ৫টা ১৬ মিনিটে এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন এবং বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান। তাঁর হাত দিয়েই পর্বতবিজয়ী দেশের তালিকায় উঠে আসে বাংলাদেশের নাম। এ ছাড়াও মুসা ইব্রাহীম ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ সালে আফ্রিকা মহাদেশের সর্বোচ্চ পর্বত কিলিমাঞ্জারোর চূড়া জয় করেছেন। এই পর্বত জয়ে তাঁর সঙ্গী ছিলেন নিয়াজ মোরশেদ পাটওয়ারী ও এমএ সাত্তার। তবে শুধু মুসা ও নিয়াজ ১৯ হাজার ৩৪০ ফুট উচ্চতার কিলিমাঞ্জারো পর্বতের চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান।
পর্বতবিজয়ী মুসা ইব্রাহীমের জন্ম ১৯৭৯ সালে লালমনিরহাট জেলার মোগলহাটে। তিনি ঠাকুরগাঁও চিনিকল উচ্চ বিদ্যালয়, নটর ডেম কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। পেশাগত জীবনে মুসা ইব্রাহীম বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টুয়েন্টিফোরে জ্যেষ্ঠ সংবাদদাতা হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেছিলন। পরবর্তীতে তিনি ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের সহকারী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পর্বত আরোহণ ও অ্যাডভেঞ্চার বিষয়ক নানা আয়োজনে নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণ বাড়াতে তিনি ২০১১ সালে এভারেস্ট একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। নর্থ আলপাইন ক্লাব বাংলাদেশ নামক পর্বতারোহণ ক্লাবের মহাসচিবও তিনি।
নিশাত মজুমদার
নিশাত মজুমদার ২০১২ সালে প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন। তাঁর জন্ম ৫ জানুয়ারি ১৯৮১ সালে লক্ষ্মীপুরে। তিনি ঢাকার ফার্মগেটের বটমূলী হোম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজ এবং ঢাকা সিটি কলেজ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন।
নিশাত মজুমদার ২০১২ সালের ১৯ মে শনিবার সকাল নয়টা ৩০ মিনিটে এভারেস্ট জয় করেন। তাঁর এই বিজয়ের মাধ্যমে নারীদের শক্তি ও অর্জন হিমালয় উচ্চতায় স্থান পায় বলে প্রতীয়মান হয়। বাংলাদেশের প্রথম নারী এভারেস্টজয়ী হিসেবে ২০০৩ সালে এভারেস্ট বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ চূড়া (৩,১৭২ ফুট) কেওক্রাডং জয় করেন। ২০০৬ সালের মার্চে বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে বিএমটিসি আয়োজিত বাংলাদেশের নারী অভিযাত্রী দলের সঙ্গে ফের কেওক্রাডং চূড়ায় ওঠেন তিনি। একই বছরের সেপ্টেম্বরে বিএমটিসি আয়োজিত নারী অভিযাত্রী দলের সঙ্গে তিনি এভারেস্ট বেস ক্যাম্প (১৭ হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতা) ট্র্যাকিংয়ে অংশ নেন। এরপর ২০০৭ সালের মে মাসে বিএমটিসির অর্থায়নে দার্জিলিংয়ের হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে মৌলিক পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে হিমালয়ের মেরা পর্বতশৃঙ্গ (২১ হাজার ৮৩০ ফুট) জয় করেন। এভারেস্ট অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে পরের বছরের মে মাসে হিমালয়ের সিঙ্গুচুলি পর্বতশৃঙ্গে (২১ হাজার ৩২৮ ফুট) ওঠেন। একই বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি ভারতের উত্তর কাশীর গঙ্গোত্রী হিমালয়ের গঙ্গোত্রী-১ পর্বতশৃঙ্গে (২১ হাজার ফুট) বাংলাদেশ-ভারত যৌথ অভিযানে অংশ নেন। নিশাত ২০০৯ সালের এপ্রিলে পৃথিবীর ৫ম উচ্চতম শৃঙ্গ মাকালুতে (২৭ হাজার ৮৬৫ ফুট) ভারত-বাংলাদেশ যৌথ অভিযানে অংশ নেন। এ ছাড়াও তিনি বিএমটিসি আয়োজিত হিমালয়ের চেকিগো নামের একটি শৃঙ্গেও সফল অভিযানে যান।
এমএ মুহিত
মোহাম্মদ আবদুল মুহিত সবার কাছে পর্বতজয়ী এমএ মুহিত নামে পরিচিত। ১৯৭০ সালের ৪ জানুয়ারি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার গঙ্গাপুরে তাঁর জন্ম। তিনি ঢাকার পোগোজ স্কুল, নটর ডেম কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজে পড়াশোনা করেছেন। এমএ মুহিত ২০১১ সালের ২১ মে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করেন। মুহিত ২০১০ সালেই এভারেস্ট অভিযানে গিয়েছিলেন, কিন্তু বিরূপ আবহাওয়ার কারণে সে সময় ব্যর্থ হন তিনি। পরের বছর বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাবের একজন সদস্য হিসেবে এভারেস্ট জয়ের লক্ষ্যে আবারও যাত্রা করেন। অবশেষে ২০১১ সালের মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে অভিযানে সফল হন তিনি।
১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবরে সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যান। চন্দ্রনাথ পাহাড়ের ১৮০০ ফুট উচ্চতায় উঠে পর্বতারোহণ নেশায় মগ্ন হন তিনি। সেই নেশাই পরবর্তীতে তাঁকে অনুপ্রেরণা দেয়। ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে এভারেস্ট বেস ক্যাম্প ও কালাপাথার ট্রেকিংয়ে অংশ নেন তিনি। এরপর ভারতের দার্জিলিংয়ের হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে মৌলিক পর্বতারোহণ এবং একই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে উচ্চতর পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এ ছাড়াও প্রস্তুতি হিসেবে বিভিন্ন সময় হিমালয়ের চুলু ওয়েস্ট (মে ২০০৭), মেরা (সেপ্টেম্বর ২০০৭), বিশ্বের অষ্টম উচ্চতম শৃঙ্গ মানাসলুর (মে ২০০৮), সিংগু ও লবুজে শৃঙ্গে আরোহণ করেন তিনি। এভারেস্ট জয়ের আগে মুহিত ২০০৯ সালে এভারেস্ট থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বিশ্বের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ শৃঙ্গ চো ওয়ো (৮,২০১ মিটার) জয় করেন। বাংলাদেশি পর্বতারোহীদের মধ্যে তিনিই প্রথম এই সাফল্য অর্জন করেছেন। এ ছাড়াও তিনি দুইবার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ তাজিনডং-এ আরোহণ করেছেন।
ওয়াসফিয়া নাজরীন
ওয়াসফিয়া নাজরীন দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন। ২০১২ সালের ২৬ মে শনিবার সকাল পৌনে ৭টায় বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেন। তিনি ১৯৮২ সালের ২৭ অক্টোবর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকার স্কলাসটিকা স্কুল ও যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় এগনেস স্কট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। স্টুডিও আর্ট বিষয়েও তিনি স্কটল্যান্ডে কিছুদিন পড়াশোনা করেছেন।
ওয়াসফিয়া নাজরীন ছাত্রজীবনে যুদ্ধবিরোধী এবং মানবতার পক্ষে বিভিন্ন বৈশ্বিক ইস্যুতে সক্রিয় আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। তিব্বতের মানবাধিকার নিয়ে কাজ করতে বেশ কিছু বছর ধর্মশালা, হিমাচল প্রদেশে সময় কাটিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবকমূলক দল, জাগো ফাউন্ডেশনের যুব শুভেচ্ছাদূত হিসেবেও কাজ করেন তিনি। ২০১১ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক আয়োজিত আদিবাসী ইস্যুতে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে তিনি আদিবাসীদের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন।
ওয়াসফিয়া নাজরীন বাংলাদেশের প্রথম পর্বতারোহী হিসেবে সাত মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ জয় (সেভেন সামিট) করেছেন। ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া অঞ্চল দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার (ওশেনিয়া) সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কারস্তনেজ পিরামিড জয়ের মধ্য দিয়ে তিনি ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর সকাল ১০টা ১৯ মিনিটে সাতটি পর্বত জয়ের রেকর্ড করেন। ২০১১ সালে ওয়াসফিয়া বাংলাদেশ অন সেভেন সামিট কর্মসূচির অংশ হিসেবে সেভেন সামিট অভিযান শুরু করেন। সেভেন সামিটের অংশ হিসেবে ওশেনিয়া অঞ্চলের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কারস্তনেজ পিরামিড (স্থানীয় নাম পুনাক জায়া, ১৬ হাজার ২৪ ফুট উচ্চতা) চূড়া জয় করেন। এ ছাড়া ২০২২ সালের ২২ জুলাই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কে২-ও জয় করেন তিনি। দুঃসাহসী অভিযানের জন্য ওয়াসফিয়া নাজরীনকে ২০১৪ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফির বর্ষসেরা অভিযাত্রীর খেতাব দেওয়া হয়।
খালেদ হোসেন
এভারেস্টজয়ী খালেদ হোসেন, সজল খালেদ নামে অধিক পরিচিত। এভারেস্ট জয় করে ফেরার পথে মৃত্যুবরণকারী প্রথম বাংলাদেশি তিনি। ১৯৭৯ সালে তাঁর জন্ম। গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার আটপাড়া ইউনিয়নের সিংপাড়া হাসারগাঁও গ্রামে। শিক্ষাজীবনে তিনি কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে স্নাতক এবং ফিল্ম স্টাডিজে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ২০১৩ সালের ১০ এপ্রিলে বাংলাদেশ থেকে দ্বিতীয়বারের মতো এভারেস্ট অভিযানে বের হন তিনি। নেপালের সাউথ ফেস দিয়ে ২০ মে সকাল আনুমানিক ১০টায় এভারেস্ট জয় করেন। এভারেস্টের সর্বোচ্চ চূড়া (২৯,০৩৫ ফুট) জয় করে নেমে আসার পথে সাউথ সামিটে (উচ্চতা প্রায় ২৮,৭৫০ ফুট) পৌঁছার পর শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন তিনি। ৮,৬০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থান কালে মৃত্যুবরণ করেন। এর আগে তিনি ২০১১ সালের মে মাসে তিব্বতের নর্থ ফেস ধরে এভারেস্ট অভিযানে গিয়েছিলেন। সেবার প্রায় ২৩,০০০ ফুট পর্যন্ত উঠেছিলেন। কিন্তু ফুসফুসে পানি জমে যাওয়ায় তাঁকে নেমে আসতে হয়। খালেদ এর আগে সিকিমের ফ্রে পর্বত (২০০৬), নেপালের মাকালু (২০০৯), হিমালয়ের বাংলাদেশ-নেপাল ফ্রেন্ডশিপ পিক (২০১০), অন্নপূর্ণা রেঞ্জের সিংগুচুলি পর্বত (২০১১) জয় করেন। পর্বতারোহণ নিয়ে এডমন্ড ভিস্টর্সেলের লেখা ‘পর্বতের নেশায় অদম্য প্রাণ’ বইটি অনুবাদ করেছেন। চলচ্চিত্রকার হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। খ্যাতিমান সাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপন্যাস অবলম্বনে তিনি নির্মাণ করেন ‘কাজলের দিনরাত্রি’ নামের চলচ্চিত্র।