প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:২৩ পিএম
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৩৭ পিএম
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সংক্ষেপে বিকেএসপি। দেশের একমাত্র ক্রীড়া শিক্ষাকেন্দ্র। যেখানে খেলাধুলার সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার সমন্বিত কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
রাজধানী ঢাকা থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে সাভারের জিরানীতে ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিকভাবে পথচলা শুরু করে। তৃণমূল পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণ এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ক্রীড়া মেধার উন্নয়ন এবং বাছাইকৃতদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে সামগ্রিকভাবে দেশের ক্রীড়ার মান উন্নয়নই বিকেএসপির মূল উদ্দেশ্য।
পড়াশোনার পাশাপাশি দেশের জন্য আন্তর্জাতিক মানের ক্রীড়াবিদ তৈরি করতেও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বিকেএসপি। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্রিকেট, ফুটবল, হকিসহ মোট ২৩টি ক্রীড়া বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে।
বর্তমানে খুলনা, দিনাজপুর, সিলেট, বরিশাল ও চট্টগ্রামে একটি করে আঞ্চলিক কেন্দ্র রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। এ ছাড়া কক্সবাজারের রামু, রাজশাহী ও ময়মনসিংহে আরও তিনটি কেন্দ্র সম্প্রসারণের কাজ চলছে।
ক্রীড়ার মানোন্নয়নসহ, উদীয়মান ও প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদদের নিবিড় প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধীনে একটি প্রকল্প হাতে নেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯৭৪ সালে ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব স্পোর্টস (বিআইএস) প্রতিষ্ঠিত হয়। এর দুই বছর পর ১৯৭৬ সালে এ প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়। এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা বিকেএসপি নাম রাখা হয়। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারি সংস্থা হিসেবে যাত্রা শুরু করে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রীকে প্রধান করে ১০ সদস্যের বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হয় বিকেএসপি। প্রতিষ্ঠানের ৪টি শাখা রয়েছে; যথা- প্রশাসনিক, প্রশিক্ষণ, ক্রীড়া বিজ্ঞান এবং একাডেমিক। প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মহাপরিচালক। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক এবং একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বর্তমানে বিকেএসপি প্রধান কেন্দ্র ও আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতে বিভিন্ন ধরনের খেলা শেখার ব্যবস্থা রয়েছে। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও ডিগ্রি পর্যায়ে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। প্রতিবছর জাতীয় দৈনিকে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। সম্পূর্ণ আবাসিক ব্যবস্থায় চলে পড়াশোনা ও খেলাধুলার নিবিড় পরিচর্যা।
খেলা নির্বাচনে যোগ্যতা, প্রাথমিক বাছাই, শারীরিক যোগ্যতা বা ফিটনেস টেস্ট পার করে শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হয়।
প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বিদেশে প্রশিক্ষণ, অভ্যন্তরীণ ক্লাব, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার সুযোগ রয়েছে। কৃতী প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য রয়েছে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা। শিক্ষাগ্রহণের পাশাপাশি সুশৃঙ্খল জীবন-যাপন, পুষ্টিকর খাবার ও অনৈতিক শিক্ষার জন্য এক আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিকেএসপি।