প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৪ ০০:১২ এএম
আপডেট : ২৭ মে ২০২৪ ১৮:০৪ পিএম
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মুহিববুর রহমান বলেছেন, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের মূল অংশ উপকূলে আঘাত হেনেছে। রবিবার (২৬ মে) রাত ৮টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র মোংলার দক্ষিণ–পশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম শুরু হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আমরা আতঙ্কের ভেতরে আছি, আতঙ্ক বাড়ার আশঙ্কা আছে, সারা রাত আতঙ্কে থাকব। উপকূলে ১১০-১২০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। বাতাসের গতি আরও বাড়বে। রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের মূলভাগ উপকূলে আঘাত করার পর বাতাস আরও বাড়তে পারে। ততক্ষণে জোয়ারের সময় হবে। তাই পানির পরিমাণও বাড়বে। আমরা এখনও আতঙ্কের ভেতরে আছি, আতঙ্ক কাটেনি, বাড়ার আশঙ্কা আছে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের মূল অংশ রাত ১১টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করবে। আর পরবর্তী ৩-৫ ঘণ্টায় সারা দেশের ওপর দিয়ে এটি অতিক্রম করবে। এরপর সারা বাংলাদেশে বৃষ্টি হবে। সেটাও একটা দুর্যোগের মধ্যে পড়ে। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে, পাহাড়ধস হতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, উপকূল এলাকায় ৯ হাজার আশ্রয়কেন্দ্রে ৮ লাখ লোক সন্ধ্যার মধ্যে পৌঁছে গেছে। আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও উপকূল এলাকার স্কুলগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণ পৌঁছে গেছে। পুরো উপকূলীয় এলাকায় বাতাস বইছে, ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, হচ্ছে। সাতক্ষীরা ও ভোলায় বেড়িবাঁধ ভেঙেছে, লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছে, সেখানে সবার খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপপরিচালক ড. মো. শামীম আহসান ভুইয়া রাত সোয়া ৮টার এক ব্রিফিংয়ে জানান, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের মূল অংশ উপকূলে আঘাত হেনেছে। রাত ৮টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র আরও উত্তর দিকে সরে ১ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এর আগে সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে রেমালের অগ্রভাগ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়টির আকার প্রায় ৪০০ কিলোমিটার। এর অগ্রভাগ আজ সন্ধ্যা ৬টার দিকেই খুলনা উপকূলের কাছে সুন্দরবনের দিকে প্রবেশ করে। এর প্রভাবে উপকূলে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলের প্রতিটি জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।