প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যু
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৪ ২২:১৮ পিএম
আপডেট : ১৪ মে ২০২৪ ২২:২০ পিএম
প্রীতি উরাংসহ সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করা অন্যান্য গৃহ শ্রমিকদের বাসায় সরেজমিন পরিদর্শন শেষে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন সচেতন নাগরিক সমাজ। প্রবা ফটো
শিশু প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত ও ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছে সচেতন নাগরিক সমাজ। এছাড়া ওই বাসায় কাজ করা শিশু শ্রমিকদের পারিশ্রমিক প্রদানসহ ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের চিকিৎসা এবং পড়াশোনার খরচের ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়।
মঙ্গলবার (১৪ মে) প্রীতি উরাংসহ সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করা অন্যান্য গৃহ শ্রমিকদের বাসায় সরেজমিন পরিদর্শন শেষে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে এ দাবি জানায় সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, ব্যবস্থাপক রফিক আহমেদ সিরাজী, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ফারহা তানজিল তিতিল, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ঈশানী চক্রবর্তী, অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন, অনুবাদক ও গবেষক মুহাম্মদ হাবীব, কাপেং ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার উজ্জ্বল আজিম, আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অলিক মৃ, বাংলাদেশ আদিবাসী যুব পরিষদের সভাপতি হরেন্দ্রনাথ সিং প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফারহা তানজীম তিতিল বলেন, এই বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মোহাম্মাদপুরে সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় শিশু প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে। সৈয়দ আশফাকুল হকের মোহাম্মদপুরের ওই ফ্ল্যাট থেকে ছয় মাসের ব্যবধানে দুটি শিশু পড়ে যায় বা লাফ দেয়। পরপর ঘটে যাওয়া একই রকমের দুটি ঘটনায় উদ্বিগ্ন সচেতন নাগরিক সমাজ।
তিনি বলেন, সরেজমিন পর্যবেক্ষণের জন্য ১৩ মে এবং আজ ১৪ মে মৌলভীবাজারের মিরতিংগা এবং মুরইছড়া এলাকায় সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করা শিশুশ্রমিক প্রীতি উড়াংয়ের পরিবার, খুশি উরাং এবং দুর্গামনি বাউরির সঙ্গে কথে বলে সচেতন নাগরিজ সমাজ। মৃত শিশু শ্রমিক প্রীতি উরাং এর মা-বাবা এবং অন্য শিশুদের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেছি। মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও কমলগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি নিয়ে অবগত করা হয়েছে।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। সেগুলো হল, চারটি শিশুর কাজের পারিশ্রমিক, চিকিৎসা খরচ এবং পড়াশোনার খরচের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রীতির এবং অন্য শিশুদের ওপরে ঘটে যাওয়া ঘটনার সুষ্ঠু, প্রভাবমুক্ত ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে, প্রীতির এবং দুর্গামনির পরিবারকে যথোপযুক্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। সেই সঙ্গে তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শিশু শ্রম বিষয়ক নীতিমালাকে আইনে পরিণত করতে হবে। শ্রমে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিশুর বয়স ১৪ বছরের পরিবর্তে ১৮ বছর করতে হবে। এবং গৃহকর্মীদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালায় গৃহে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিশুর বয়স ১৪ বছরের পরিবর্তে ১৮ বছর করতে হবে।