প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৯ মে ২০২৪ ০৯:৪৯ এএম
আপডেট : ০৯ মে ২০২৪ ১১:৪০ এএম
ফাইল ফটো
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল ৯টা ১ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই-বায়ুর মান সূচক) স্কোর ছিল ২০৩; যা খুব অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বিশ্বের ১০০ দেশের মধ্যে বায়ুদূষণের এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, স্কোর ১৭০। ১৬৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। চতুর্থ স্থানে নেপালের কাঠমান্ডু, স্কোর ১৫০।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।
একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরন ভিত্তি করে—বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে ২ দশমিক ৫ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ (পিপিএম) যদি শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে তাহলে ওই বাতাসকে বায়ুমানের সূচকে (একিউআই) ‘ভালো’ বলা যায়। এ মাত্রা ৫১-১০০ হলে বাতাসকে ‘মধ্যম’ মানের ও ১০১-১৫০ হলে ‘বিপদসীমায়’ আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। আর পিপিএম ১৫১-২০০ হলে বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১-৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ ও ৩০১-৫০০ হলে ‘বিপজ্জনক’ বলা হয়।
বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো—ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।