× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

শেষ মুহূর্তেও দুশ্চিন্তা মন্ত্রী-এমপিদের নিয়ে

কাজী হাফিজ ও দীপক দেব

প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৪ ০৯:০১ এএম

আপডেট : ০৮ মে ২০২৪ ১০:৫৪ এএম

শেষ মুহূর্তেও দুশ্চিন্তা মন্ত্রী-এমপিদের নিয়ে

উপজেলা পরিষদের ষষ্ঠ সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ হবে আজ বুধবার। এর মাধ্যমে শুরু হচ্ছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী স্থানীয় সরকারের বড় ধরনের নির্বাচন। ইতোমধ্যে ১৩৯ উপজেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইসি। নির্বাচনী সরঞ্জাম কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানোও শেষ হয়েছে।

সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করতে চান বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি) হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন যাতে প্রভাবিত না হয় সে ব্যাপারে কমিশনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা কোনো বেকায়দায় নেই, নির্বাচন অবাধ হবে।’ তবে মন্ত্রী-এমপিরা পরিবারের সদস্যদের পক্ষে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেনÑ এমন অভিযোগ করে আসছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অনেকেই। ভোটের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন কোনো কোনো প্রার্থী। এই অবস্থায় অনেকেই মনে করছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন পর্যন্ত দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন মন্ত্রী-এমপিরা। তবে নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে থাকার ঘোষণাও দিয়ে রেখেছে ইসি।

অবশ্য প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো দলীয়ভাবে প্রার্থী না দেওয়ায় ভোটের আমেজ এবার সেভাবে নেই। ভোটারদের প্রত্যাশিত হারে কেন্দ্রে উপস্থিত করানোই নির্বাচন কমিশনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে। বিএনপি-জামায়াত ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। ফলে অনেকটাই নির্দলীয় আদলে ভোট হচ্ছে। বিশেষ করে বেশিরভাগ উপজেলায় আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ভোটের লড়াই হচ্ছে।

সরকার ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে বারবার সাবধান করা হলেও নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে মন্ত্রী ও এমপির বিরুদ্ধে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রোমানা আলী ওরফে টুসি ও বগুড়ার এমপি সাহাদারা মান্নানের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ করেছেন প্রতিপক্ষ প্রার্থীরা। এছাড়া দলের পক্ষ থেকে আপত্তি জানানোর পরও ছেলেকে চেয়ারম্যানে পদে প্রার্থী হিসেবে বহাল রাখার সিদ্ধান্তে অনড় থাকা আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান এমপিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ছেলে আসিবুর রহমান খানের পক্ষে প্রচারে অংশ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এসব উপজেলায় শেষ মুহূর্তেও রয়েছে টানটান উত্তেজনা।

মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা বলেন, শাজাহান খান ছেলেকে জেতাতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট চাইছেন। বিভিন্ন এলাকায় গোপনে সভা করছেন। তার পক্ষে গ্রামের মুরুব্বিদের ম্যানেজ করে আনতে যা যা করা লাগছে, সবই করছেন। তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত মানছেন না। আচরণবিধিরও তোয়াক্কা করছেন না। তার এমন কর্মকাণ্ডে আমরা যারা আওয়ামী লীগের কর্মী আছি, আমরা সবাই বিব্রত হচ্ছি। মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে বলেন, শাজাহান খানের কর্মকাণ্ডে শুধু জেলা আওয়ামী লীগ নয়, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগও বিব্রত। তিনি কোনো কিছুই মেনে চলেন না।

এদিকে প্রথম দফায় আজ রাজশাহীর তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদেরও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে স্থানীয় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী ও তার সমর্থিত প্রার্থীদের কারণে ভোট কতটুকু সুষ্ঠু হবে তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অন্য প্রার্থীরা। তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলা নিয়ে রাজশাহী-১ সংসদীয় আসন। এই দুই উপজেলায় এবার মোট প্রার্থী ৭ জন। এরই মধ্যে দুই উপজেলার দুজন প্রার্থীকে স্থানীয় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী সমর্থন দিয়েছেন বলে প্রচার হচ্ছে। এমনকি এমপি সমর্থিত স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও ওই দুই প্রার্থীর হয়ে মাঠে কাজ করছেন। এমন অবস্থায় বাকি ৫ জন প্রার্থী নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। 

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের স্বজনদের প্রার্থী হওয়ার ঘটনায় শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে ফের উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘যারা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে, তাদের কোনো-না কোনোভাবে শাস্তির মুখোমুখি হতেই হবে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭৩ জন সংসদ সদস্য দলের মনোনয়ন পাননি। এটা কি একরকম শাস্তি নয়? মন্ত্রিপরিষদে ২৫ জন নেই। সময়মতো শাস্তি হবে। এটা একটা উদাহরণ। 

এই প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন মঙ্গলবার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘প্রত্যেক মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যকে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার না করার জন্য বলা হয়েছে। কেউ এর ব্যত্যয় করলে আইন নিজস্ব গতিতে চলবে।’ 

গত ২১ মার্চ ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে ১৫২টি উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে হাতিয়া, মুন্সীগঞ্জ সদর, বাগেরহাট সদর, পরশুরাম ও শিবচর এই পাঁচ উপজেলার সব পদের প্রার্থীরা একক প্রার্থী হিসেবে বিনাভোটে বিজয়ী হয়েছেন। অর্থাৎ এই পাঁচ উপজেলায় কোনো পদেই ভোটের প্রয়োজন পড়ছে না। উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ, মৃত্যুজনিত কারণে, প্রশাসনিক ও ধাপ পরিবর্তনের কারণে ৮টি উপজেলার ভোট স্থগিত করেছে ইসি। এগুলো হচ্ছেÑ নারায়ণগঞ্জ সদর, কুমারখালী, থানচি, রোয়াংছড়ি, গোপালপুর, মহাদেবপুর, লাঙ্গলকোট ও সরিষাবাড়ী। শেষ পর্যন্ত প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট হচ্ছে।

ইতোমধ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘনের সত্যতা পাওয়ায় জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের প্রার্থিতা বাতিল করে ইসি। কিন্তু উচ্চ আদালতে প্রার্থিতা ফেরত পাওয়ায় গতকাল বিকালে ওই উপজেলার ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে ইসি। যে এলাকায় মন্ত্রী-এমপিরা প্রভাব বিস্তার করতে পারেন, সেই সব এলাকার ডিসি-এসপিদের কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো প্রকার প্রভাব বিস্তার করলে ভোট বন্ধের সিদ্ধান্তও আছে। 

৮২ হাজার ৭৩৩ জন পুলিশ মোতায়েন : ভোট সুষ্ঠু করতে ১৩৯ উপজেলায় ৮২ হাজার ৭৩৩ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। ১২ হাজার ৭৮০ জন বিজিবি সদস্য স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। রিজার্ভ থাকবে ১ হাজার ৮৩০ জন। ভোটকেন্দ্র এবং মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ জন আনসার সদস্য মোতায়েন থাকছে। পাশাপাশি প্রায় আড়াই হাজার র‌্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে। ভোটের পরিবেশ শান্ত রাখতে স্বাভাবিক এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৭ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ বা ১৯ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া বিশেষ এলাকায় (পার্বত্য ও দুর্গম এলাকা) সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ বা ২১ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া উপজেলার আয়তন, ভোটার সংখ্যা ও ভোটকেন্দ্রের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতি উপজেলায় ২ থেকে ৪ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে।

ভোটকেন্দ্রে আনসার ব্যাটালিয়ন মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোটগ্রহণের আগের দুই দিন, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরের দুই দিন মোট পাঁচ দিন নিয়োজিত থাকবে।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও ভোটকেন্দ্র : আজকের নির্বাচনে তিনটি পদে ১ হাজার ৬৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রার্থী রয়েছে। তবে ভোটের আগেই এই ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ মোট ২৮ জন একক প্রার্থী হিসেবে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। প্রথম ধাপে ২২টিতে ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট হবে। প্রথম ধাপে উপজেলার আওতাভুক্ত ৯১ পৌরসভা, এক হাজর ২২৩ ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১০ হাজার ৪৯১, ভোটকক্ষ ৭৪ হাজার ২৬৩টি, অস্থায়ী ভোটকক্ষ ৭ হাজার ৮৬৪টি। মোট ভোটার দুই কোটি ৮৫ লাখ ৮ হাজার ৯৪০ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক কোটি ৪৩ লাখ ৮৫ হাজার ২৬১, নারী এক কোটি ৪০ লাখ ২৩ হাজার ৪৯৮ জন। এছাড়া ১৭০ জন হিজড়া ভোটার রয়েছে।

ভোটকে কেন্দ্র করে গতকাল রাত ১২টা থেকে আজ বুধবার অর্থাৎ ভোটগ্রহণের দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, পিকআপ, ট্রাক, লঞ্চ, ইঞ্জিনচালিত বোটসহ (নির্দিষ্ট রুটে চলাচলকারী ব্যতীত) অন্যান্য যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া ইতোমধ্যে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। এদিকে ভোটগ্রহণের সাত দিন আগে ও ভোটগ্রহণের পরবর্তী সাত দিন পর্যন্ত লাইসেন্সধারীরা অস্ত্রসহ চলাচল না করেন কিংবা বহন ও প্রদর্শন না করেন, সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে নির্দেশনা জারি করেছে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটগ্রহণের তিন দিন আগ পর্যন্ত আচরণবিধি প্রতিপালন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও প্রতিরোধে প্রতি উপজেলায় একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং ভোটগ্রহণের তিন দিন আগে থেকে ভোটগ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত প্রতি তিন ইউনিয়নের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া ভোটগ্রহণের দুই দিন আগে থেকে ভোটগ্রহণের দুই দিন পর পর্যন্ত প্রতি উপজেলায় একজন করে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। 

প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা হচ্ছে-সিইসি : প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বুধবারের ভোট অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কোনো ধরনের অনিয়ম যাতে না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

গতকাল সকালে নির্বাচন ভবনে প্রথম ধাপের উপজেলা ভোট উপলক্ষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

স্থানীয় ভোটে প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে সিইসি বলেন, মন্ত্রী-এমপিদের নিবৃত করা হয়েছে, প্রভাব বিস্তারের কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচনের দিন কেউ যেন ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশ করতে না পারে এবং সেখানে যেন অনিয়ম না করা হয় সে বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোটের দিন আমরা সতর্ক থাকব, কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করব। অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিইসি বলেন, এ নির্বাচনের জন্য যা যা করণীয়Ñ সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। যাতে নির্বাচনটা অবাধ, নিরপেক্ষ হয়। আইনশৃঙ্খলা সঠিকভাবে তদারকি হচ্ছে কি না কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচন ভবন থেকে তা মনিটরিং করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী অনেককে নিবৃত করতে পেরেছি। হয়তোবা অনেকে এলাকায় আছেন। সরকারের তরফ থেকে যতদূর জেনেছি, দলীয়ভাবে হোক বা সরকারের পক্ষ থেকে হোক; যাতে নির্বাচনটা অবাধ, নিরপেক্ষ হয়, কেউ যেন প্রভাব বিস্তার না করেন সে বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তটা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সিইসি জানান, মাঠপর্যায়ের পরিস্থিতি প্রতিদিনই সবসময় খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। তাদের বলা হয়েছে, এটা নিশ্চিত করতে হবে যেন নির্বাচনটা অবাধ, নিরপেক্ষ হয়। বিশেষ করে নির্বাচনের দিন কেউ যেন ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশ করতে না পারে এবং সেখানে যেন অনিয়ম না হয়। এ বার্তা রিটার্নিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের দেওয়া হয়েছে।

সিইসি বলেন, কে কোন দল করে আমরা জানি না। নির্বাচন আয়োজন করা আমাদের কাজ। কে দাঁড়াল, কে দাঁড়াল না, আমাদের কাছে সবাই প্রার্থী। আমরা দেখছি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। প্রতিটি উপজেলায় অন্তত চারজন করে পার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে যাচ্ছি না, প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। অবাধ হচ্ছে কি না তা দেখব।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা