উপজেলা নির্বাচন
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৪ ১২:২৭ পিএম
আপডেট : ০৭ মে ২০২৪ ১৫:৪৯ পিএম
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলনে সিইসি। ছবি : সংগৃহীত
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে সেটাই বড় কথা। কোন দল এলো কি এলো না সেটা বড় কথা নয়। জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে এ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে। নির্বাচন যাতে প্রভাবিত না হয় সে ব্যাপারে কমিশনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা কোনো বেকায়দায় নেই, নির্বাচন অবাধ হবে।
মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে সেটাই বড় কথা। কোন দল এলো কি এলো না, সেটা বড় কথা নয়। জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে এ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে। নির্বাচন যাতে প্রভাবিত না হয় সে ব্যাপারে কমিশন চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ভোটে কেউ যাতে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে, সে ব্যাপারে ইসির অবস্থান স্পষ্ট। প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা। ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশকারীরা যাতে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারে রিটার্নিং অফিসারকে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। ইসি কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। উৎসাহ-উদ্দীপনা থেকে ভোটের মাঠে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশনা রয়েছে কমিশনের।
এমপি-মন্ত্রীদের ভোটে প্রভাব বিস্তার প্রসঙ্গে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচনে কোন দল থেকে কে দাঁড়াল সেটি ইসির দেখার বিষয় নয়। আমাদের কাজ নির্বাচন পরিচালনা করা। আমরা কোনো বেকায়দায় নেই। নির্বাচন অবাধ হবে। নির্বাচন প্রভাবিত করতে চাইলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আইনে আছে নির্বাচনে যদি একজন প্রার্থী থাকেন তাহলে তিনি নির্বাচনে জয়ী ঘোষিত হবেন। কেউ যদি এভাবে বিজয়ী হয়ে থাকেন সেটা আইন অনুযায়ী।’
২২ উপজেলায় ইভিএমে ভোট হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭-১৯ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবেন। পার্বত্য এলাকায় ১৯-২১ জন থাকবেন। ভোটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথভাবে মোতায়েন করা সম্ভব হবে বলে জানান সিইসি।
আগামীকাল বুধবার প্রথম ধাপে ১৪১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হতে যাচ্ছে৷ এ ধাপে ২৮ জন প্রার্থী ইতোমধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে হাতিয়া, মুন্সীগঞ্জ সদর, বাগেরহাট সদর, পরশুরাম ও শিবচর এ পাঁচটি উপজেলার সব পদের প্রার্থীরা বিনাভোটে বিজয়ী হয়েছেন। অর্থাৎ এ পাঁচ উপজেলায় কোনো পদেই ভোটের প্রয়োজন পড়ছে না। মোট চার ধাপের এই নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩, ২৯ মে ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে।