প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৪ ২১:৪৭ পিএম
আপডেট : ০৫ মে ২০২৪ ২২:০১ পিএম
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর মেরিন ফিশারিজ একাডেমির অডিটোরিয়ামে সামুদ্রিক মৎস্য ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। প্রবা ফটো
অবৈধ কারেন্ট জালসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত অন্যান্য জাল কোনোক্রমে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
রবিবার (৫ মে) চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর মেরিন ফিশারিজ একাডেমির অডিটোরিয়ামে সামুদ্রিক মৎস্য ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘কারেন্ট জালসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত অন্যান্য জাল ব্যবহার করে মাছের ডিম পর্যন্ত তুলে ফেলা হচ্ছে। দেশের স্বার্থ ও সম্পদ রক্ষার্থে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে অবৈধ জালের বিস্তার অবশ্যই রোধ করতে হবে।’
সামুদ্রিক মৎস্য রক্ষার্থে কোনো অবস্থাতেই অবৈধ উপায়ে ও অবৈধ জাল ব্যবহার করা যাবে না বলে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন মন্ত্রী। তিনি আইনগত ব্যবস্থার পাশাপাশি এটিকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
সাগরে ৬৫ দিন মাছ না ধরার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সাগরে সকল ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ রয়েছে। এটি সকলকে যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।’
এর আগে সকালে চট্টগ্রামে মৎস্য অধিদপ্তরাধীন সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের আওতায় ১০ তলা ভিতবিশিষ্ট সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর ও ফিশারিজ সেন্টার অব এক্সসিলেন্স এবং বিএফডিসি অকশন শেড কাম ট্রেনিং সেন্টারের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। তিনি চট্টগ্রাম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ মৎস্যসংক্রান্ত বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার, কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা জান্নাত প্রমুখ।