গাজীপুর ও কালিয়াকৈর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ মে ২০২৪ ১২:১৫ পিএম
আপডেট : ০৩ মে ২০২৪ ১২:৩০ পিএম
কারামুক্তির পর একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কারে চলে যান মামুনুল হক। প্রবা ফটো
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।
শুক্রবার (৩ মে) বেলা ১১টায় কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে মুক্তিলাভের পর কারা ফটক থেকে বেরিয়ে যান তার স্বজনদের সঙ্গে।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, মাওলানা মামুনুল হক কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘদিন বন্দি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩৭টি মামলা রয়েছে। সর্বশেষ মামলায় তিনি বৃহস্পতিবার (২ মে) উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। বিকালে জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়।
শুক্রবার সকালে জামিনের সব কাগজপত্র নিয়ে ঢাকায় যোগাযোগ করা হয়। সেখানে কাজ শেষ হলে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
মামুনুল হকের জামিনে মুক্তি পাওয়ার খবরে কারা ফটকে ভিড় করে তার সমর্থক ও হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। কারামুক্তির পর একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কারে চলে যান মামুনুল হক।
গত ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করে আসছিলেন। এ সময় পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রাখে।
এরপর ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মামুনুলকে। পরে এ ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছিলেন মামুনুল হক।
এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ ৩৭টি মামলা হয়। সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন।