প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ মে ২০২৪ ১৫:২০ পিএম
আপডেট : ০২ মে ২০২৪ ১৬:১৭ পিএম
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : ফোকাস বাংলা
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে মানবাধিকারের কথা শুনতে হয়, সবক নিতে হয়, এটা দুর্ভাগ্যের বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন করায় যুক্তরাষ্ট্রে ৯০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এটা নাকি গণতন্ত্রের অংশ। তাদের কাছ থেকে মানবতার সবক শুনতে হয়, এটা দুর্ভাগ্য।
বৃহস্পতিবার (২ মে) থাইল্যান্ড সফরের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সরকারপ্রধান।
ফিলিস্তিনের পক্ষে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সব সময় ফিলিস্তিনের পক্ষে আছি। আমি যেখানে যাই সেখানে আমার কথা আমি বলব। কারণ যেভাবে গণহত্যা চলছে, এটা অমানবিক। আওয়ামী লীগ ফিলিস্তিনের পক্ষে আছে। যেখানেই নির্যাতিত মানুষ, আমরা তাদের পক্ষে আছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, নির্বাচনের আগে অনেকের মনে শঙ্কা ছিল আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসে কি না। আমার শক্তি দেশের জনগণ। সব সময় জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করেছি। আমরা জনগণের ভোটেই এসেছি। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে নির্বাচন সবক্ষেত্রেই চক্রান্ত ষড়যন্ত্র পরাজিত হয়েছে জনগণের শক্তিতে। আমরা সামরিক শাসকদের পকেট থেকে আসিনি। নির্বাচনে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা ভোটের অধিকার হরণ করেছিল, তারাই এখন ভোটের অধিকারের কথা বলে। কেউ কেউ উন্নয়ন দেখে না। যতো ভালো কাজ করি তারা বদনাম করবেই। কিছু লোক দেশের বিরুদ্ধে সবার কান ভারি করতে চায়। দেশের মানুষ অনেকে প্রভাবিত হয়, বিদেশিরাও প্রভাবিত তো হবেই।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের বিষয়টি নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন থাইল্যান্ডের সঙ্গে আলোচনা করেছি। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। দুদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর কথা হয়েছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘কৃষি উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে কৃষি খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা থাইল্যান্ডের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা কাজে লাগিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা সুদৃঢ় করতে পারি। এজন্য থাইল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেছি।’