× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

নাম বদলে যাচ্ছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের

ফসিহ উদ্দীন মাহতাব

প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৪৪ এএম

আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৪৩ পিএম

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে বাংলায় বন্দর, অভ্যন্তরীণ নৌপথ ও জাহাজ চলাচল মন্ত্রণালয় নামকরণের প্রস্তাব অনুমোদন পাচ্ছে। আগামী পরশু বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে। এ ছাড়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চট্টগ্রাম বন্ধ কর্তৃপক্ষের সচিব, উপসচিব (সমন্বয়), উপসচিব (জনসংযোগ) এবং সহকারী সচিব পদনাম পরিবর্তনের প্রস্তাবও থাকছে। পরে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

জানা যায়, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু যখন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন, তখন এ মন্ত্রণালয়ের নাম ছিল ‌‘বন্দর, জাহাজ চলাচল ও নৌপরিবহন’। পরে ১৯৭৮ সালে প্রেসিডেন্ট পদে জিয়াউর রহমানের সময় এ মন্ত্রণালয়ের নাম ছিল বন্দর, শিপিং ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। আবার এরশাদ সরকারে আমলে ১৯৮৬ সালে সেই নাম বদলে করা হয় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসর পরে ২০২০ সালে এ মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তনের কার্যক্রম শুরু হয়। এর পরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় যে কাজ করে নামে তার পুরো প্রতিফলন নেই। ফলে বিদেশে বিভিন্ন ফোরামে কাজ করতে গিয়ে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় বা কখনও কখনও ব্যাখ্যা প্রদান করতে হয়। এ কারণে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে বন্দর, জাহাজ ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বা ইংরেজিতে ‘মিনিস্ট্রি অব পোর্টস, শিপিং অ্যান্ড মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স’ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গত বছর মার্চ মাসে নৌপরিবহনমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় নেওয়া এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। গত বছর তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ১৭টি কার্যাবলি রয়েছে, সমুদ্রবন্দর, নদীবন্দর ও স্থলবন্দর স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা করা, দেশীয় মালিকানায় আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলকারী সব ধরনের নৌযানের অনুমোদন ও লাইসেন্স প্রদান, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নৌযান পরিচালনা-সংক্রান্ত যাবতীয় প্রটোকলে অংশগ্রহণমূলক প্রতিনিধি প্রেরণ, দেশীয় পর্যায়ে আইন, বিধি ও নীতিমালা প্রণয়ন, আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় পর্যায়ের নৌযানসমূহের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা; অভ্যন্তরীণ নৌপথের নাব্যতা রক্ষা ও নৌপথের সীমানা নির্ধারণ করা। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক নৌ বাণিজ্য, জাহাজ চলাচল ও সমুদ্রবন্দর, নদীবন্দর ব্যবস্থাপনা, মেরিটাইম, মেরিটাইম শিক্ষাসহ এ-সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের বিভিন্ন পর্যায়ে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সম্পাদন করা, সভা-সেমিনার ও প্রশিক্ষণে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে থাকেন। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিধি ও কার্যাবলির সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের বর্তমান নৌপরিবহন নামটি সামঞ্জস্য না হওয়ায় মন্ত্রণালয় কর্তৃক বৈদেশিক এবং দেশীয় ফোরামে কাজ করার ক্ষেত্রে অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় বা কখনও কখনও ব্যাখ্যা প্রদান করতে হয়। ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মেরিটাইম ও নৌ সেক্টরকে অধিকতর স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ‘মিনিস্ট্রি অব পোর্টস, শিপিং অ্যান্ড মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স’ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২০২১ সালের ১৫ মার্চ তথ্য মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে ‘তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ২০১৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় করা হয়। এ ছাড়া পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় করা হয়েছিল। সংবিধানের ৫৫(৬) ধারায় দেওয়া ক্ষমতাবলে প্রেসিডেন্ট ‘রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬’ সংশোধনের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের নামে পরিবর্তন আনেন বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা