উপজেলা নির্বাচন
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৪৮ পিএম
আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:২৯ পিএম
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় স্বরাষ্ট্রসচিব মোস্তাফিজুর রহমান। প্রবা ফটো
এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রগুলোতে আগের চেয়ে নিরাপত্তা বলয় বাড়ছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ থেকে ১৮ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অস্ত্রধারী সদস্য থাকবে। ভোটকেন্দ্রে এর আগে কখনও এতো বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল না।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।
সভা শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ভোটকেন্দ্রের জন্য আগে যে পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছিল, সেটা যথেষ্ট পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এখন প্রতিটি স্বাভাবিক কেন্দ্রে অস্ত্রসহ তিনজন পুলিশ, আনসারের পিসি ও এপিসি থাকবেন। অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্রধারী ছয়জন সদস্য থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি বুথ ব্যবস্থাপনার জন্য সর্বনিম্ন দশজন আনসার সদস্য থাকবে। আর ছয়টির বেশি বুথ আছে, এমন জায়গাগুলোতে একজন করে অতিরিক্ত আনসার থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রসহ চার পুলিশ সদস্য থাকবে। আনসার থাকবে তিনজন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোট ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য থাকবেন।’
সচিব বলেন, ‘যেহেতু ভোটের দিন ব্যালট পেপার পৌঁছানো (কেন্দ্রে) হবে, এটা পৌঁছানোর কাজে নিয়োজিত থাকবে মোবাইল ফোর্স ও স্ট্রাইকিং ফোর্স। ব্যালট পেপার সেন্টারে পৌঁছানোর পর তাদের এলাকাভিত্তিক যে দায়িত্ব বণ্টন করা হবে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার ও রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে আলাপ করে তারা যেটা বলবেন, সেভাবে তারা দায়িত্ব পালন করবেন।’
‘প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। প্রতিটি উপজেলায়ও একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। ভোটের আগের দিন ও পরের দিন পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন,’ যোগ করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘গড়ে পাঁচটি সেন্টারের জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স ও মোবাইল ফোর্স থাকবে। আনসার, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও কোস্ট গার্ডের সমন্বয়ে এ মোবাইল ফোর্স গঠন করা হবে। আর উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিজিবির বদলে কোস্ট গার্ড বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। পার্বত্য এলাকার কিছু দুর্গম সেন্টারে হেলিকপ্টারে পোলিং কর্মকর্তা ও ভোটের উপকরণ পৌঁছানো হবে।’
এবারের উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত কোনো সহিংসতার খবর নেই জানিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন কোনো গোয়েন্দা তথ্য নেই। তারপরেও প্রতিটি বাহিনী সতর্ক থাকবে।’
মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, ‘একটা সমন্বয় সেল হবে, সব বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে। নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ ৯৯৯- এর মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে। প্রতিটি অভিযোগ আসার পর কারা তা দেখবে, তাও ট্র্যাকিং করা হবে।’
ভোটকেন্দ্রে এবারই এতো বেশি অস্ত্রসহ পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীর সংখ্যা বেশি। কাজেই ভোটও বেশি পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের তুলনায় স্থানীয় নির্বাচন সব সময় প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়।’