× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সম্পর্কের নতুন অধ্যায়

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৪১ এএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার সকালে সফররত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে তার কার্যালয়ে স্বাগত জানান। ছবি : ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার সকালে সফররত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে তার কার্যালয়ে স্বাগত জানান। ছবি : ফোকাস বাংলা

বাংলাদেশে সফরে এসে ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সইয়ের মাধ্যমে দুদেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর বার্তা দিয়ে গেলেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।

২২ ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত সফর শেষে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় ঢাকা ত্যাগের আগে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স-এ এক পোস্টে শেখ তামিম বলেন, ‘দুই দেশের বর্তমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মজবুত করার জন্য বাংলাদেশ সফর এবং রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করতে পেরে আমি আনন্দিত। বৈঠকে আমরা দুদেশের ফলপ্রসূ সহযোগিতার সব দিক এবং অন্য অনেক ক্ষেত্রে আরও দ্বিপক্ষীয় অংশীদারত্বের মাধ্যমে এ সহযোগিতাকে ত্বরান্বিত করার সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেছি।’

কূটনীতি বিশ্লেষকরা এই সফরকে দুদেশের সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায় হিসেবে বিবেচনা করছেন।

ভূরাজনৈতিক অবস্থান এবং কূটনৈতিক মধ্যস্থতার কারণে কাতার মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ হিসেবে পরিচিত। আরবের এ দেশটি বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজারও। সেখানে প্রায় চার লাখ বাংলাদেশি কাজ করছেন। পেট্রোলিয়ামসমৃদ্ধ কাতার জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এসব কারণে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির এই সফরকে বিনিয়োগের বড় সম্ভাবনা হিসেবেই দেখছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এসইজেড) কাতারের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন, খাদ্য সরবরাহের চেইনগুলো উৎপাদন থেকে ব্যবহার পর্যন্ত— কৃষি-উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণ, খাদ্য প্যাকেজিং, স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার, সার উৎপাদনসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগকে স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ থেকে এটিই প্রথম উচ্চপর্যায়ের রাষ্ট্রীয় সফর। গত দুই দশকের মধ্যে কাতারের কোনো আমিরের বাংলাদেশে এটিই প্রথম সফর। সবশেষ ২০০৫ সালে কাতারের তখনকার আমির হামাদ বিন খলিফা আল থানি বাংলাদেশে এসেছিলেন।

গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাতারের আমিরকে বিদায় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াসহ কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। কাতারের আমির ঢাকায় এসেছিলেন সোমবার বিকাল ৫টার দিকে। বিশেষ বিমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। 

কাতারের আমিরের কার্যালয় জানিয়েছে, ঢাকা থেকে আরেক সরকারি সফরে নেপালের কাঠমান্ডু গেছেন শেখ তামিম। 

১০ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই

সফরের শেষ দিন গতকাল মঙ্গলবার সকালে তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে কাতারের আমিরের সঙ্গে শুরুতে একান্ত বৈঠক এবং পরে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তাদের উপস্থিতিতে দুদেশের মধ্যে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, বন্দর ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। চুক্তিগুলো হলোÑ আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা চুক্তি, পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা চুক্তি, দ্বৈত কর পরিহার ও কর ফাঁকি রোধ চুক্তি, সাগরপথে পরিবহনসংক্রান্ত চুক্তি এবং দুই দেশের যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠনসংক্রান্ত চুক্তি। সমঝোতা স্মারকগুলো হলোÑ কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়াক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক, শ্রমশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা খাতে সহযোগিতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক এবং বন্দর ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক।

এর আগে সকালে শেখ তামিম প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছলে টাইগার গেটে তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান শেখ হাসিনা। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠকে বসেন দুই নেতা। একান্ত বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গ্লোব হলে ফটোসেশনে অংশ নেন তারা। এরপর চামেলি হলে দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কাতারের আমির শেখ তামিম। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর করবী হলে তাদের উপস্থিতিতে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেওয়া হয়, মিরপুরের কালশীতে বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ফ্লাইওভার পর্যন্ত সড়কটি কাতারের আমিরের নামে নামকরণ করা হচ্ছে।

অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এসইজেড) কাতারকে বিনিয়োগের আহ্বান

বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এসইজেড) কাতারের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন, খাদ্য সরবরাহের চেইনগুলো উৎপাদন থেকে ব্যবহার পর্যন্ত কৃষি-উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণ, খাদ্য প্যাকেজিং, স্মার্ট এগ্রিকালচার, সার উৎপাদনসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগকে স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গভবনে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এই আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ব্রিফ করেন। উপসাগরীয় অঞ্চলে কাতারকে বাংলাদেশের একটি মূল্যবান উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগের জন্য ১০০টি অর্থনৈতিক বিশেষ অঞ্চল স্থাপন করেছে। কাতারের বিনিয়োগকারীরা পেট্রো-কেমিক্যাল, জ্বালানি, মেশিনারিজ, তথ্য-প্রযুক্তি, ইলেকট্রনিক্স, সিরামিক, কৃষি-ব্যবসা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের মতো কিছু ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রণোদনা পেতে পারেন এবং সহায়তা করতে পারেন।’

প্রায় ৩ দশমিক ৭৫ লাখ বাংলাদেশিকে কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়ার জন্য কাতার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘এই জনবল বাংলাদেশ ও কাতার উভয় দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রতিনিয়তই অবদান রাখছে।’

কাতারের আমিরকে বাংলাদেশ থেকে আরও তরুণ, দক্ষ ও আধা-দক্ষ জনশক্তি, আইটি বিশেষজ্ঞ, পেশাদার প্রযুক্তিবিদ নিয়োগের আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি। বাংলাদেশকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) দেওয়ার জন্য কাতার সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি কাতারের কাছে দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি সহায়তাও চান।

বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে উভয়পক্ষকে আরও বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে রাষ্ট্রপতি চলমান ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে আলোচনার সুবিধার্থে কাতারের (মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে) প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন। কাতারের আমির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তিনি আশ্বাস দেন আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

কাতারের আমির বলেন, ‘কাতার এবং বাংলাদেশ স্বাক্ষরিত বিভিন্ন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলো দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, পররাষ্ট্র সচিব এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

কাতারের প্রতিনিধি দলে ছিলেন আমিরি দেওয়ান প্রধান শেখ সৌদ বিন আবদুল রহমান আল থানি, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন হামাদ আল থানি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোলতান বিন সাদ আল মুরাইখি এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূত সেরায়া বিন আলী আল কাহতানি।

বৈঠক শেষে আমির ফটোসেশনেও অংশ নেন। তিনি সেখানে রক্ষিত দর্শনার্থী বইতেও সই করেন।

বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল হলে বৈঠক শেষে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন কাতারের আমির ও তার সফরসঙ্গীরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, উপদেষ্টা ও কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি এই ভোজে অংশ নেন। কাতারের আমিরের সম্মানে সেখানে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বন্দর বাণিজ্যে কাজ করতে আগ্রহী কাতার

বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে একটি ট্রেডিং করিডোর নির্মাণ করে এই অঞ্চলের সমুদ্র বাণিজ্যের বন্দর ব্যবস্থাপনায় যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে কাতার। গত সোমবার রাতে ঢাকার একটি হোটেলে কাতারি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এবং এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির উপায়গুলো খুঁজে বের করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আজকে ট্রেড অ্যান্ড কমার্স, বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে কথা বলেছি। তারা বাংলাদেশে একটা ট্রেডিং করিডোর পাওয়ার বিষয়ে চিন্তা করছে। তারা বলেছে, ‘তোমাদের বন্দরটা আমরা দেখতে চাই। এখানে একটা ট্রেডিং করিডোর সৃষ্টি করা যায় কি না সেই সম্ভাবনা দেখব। তারা কাতারে একটা বিরাট বন্দর অলরেডি করেছে। সেখানে বন্দরকে ঘিরে একটা অর্থনৈতিক অঞ্চলও করেছে। সেই বন্দর এখনও আন্ডার ইউটিলাইজ (পূর্ণ সক্ষমতা কাজে লাগানো যাচ্ছে না)।’

কাতারি প্রতিনিধিদলের বক্তব্যের বরাত দিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘সিঙ্গাপুর বন্দরে এখন যে মোট টার্নওভার, সেটা জিসিসি বা আরব বদ্বীপ অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলোর চার থেকে পাঁচগুণ বেশি। তাহলে বাংলাদেশের বন্দরের সঙ্গে কাতারের বন্দরের একটা কানেক্টিভিটি করে কিছুটা ট্রেডিং এই দিকে নিয়ে আসা যায় কি না সেটার সম্ভাব্যতা দেখতে হবে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা