প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:১০ পিএম
আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:২১ পিএম
নির্বাচন ভবনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম। ছবি : সংগৃহীত
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে যত বেশি সংখ্যক সম্ভব আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। উপজেলা ভেদে দুই থেকে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হবে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
তিনি বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সচিব ও দপ্তর প্রধানদের সঙ্গে সমন্বয় সভায় বসেছিলেন কমিশন। সভার মূল বিষয় ছিল, যার যেটা করণীয় সেটা সবাই সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে যেন যত্ন সহকারে করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে এবং জনপ্রশাসনের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত রয়েছেন তারা যাতে এ নির্বাচনটা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে আরও সুন্দর ও সার্থকভাবে আয়োজন করেন, এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।’
ইসি সচিব বলেন, ‘উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে, যত বেশি সম্ভব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের চেষ্টা করা। যেহেতু উপজেলা নির্বাচন চার ধাপে সম্পন্ন হবে, জেলা পর্যায়ে যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও জনপ্রশাসনের সদস্য রয়েছেন, তারা সেখানেই ধাপে ধাপে দায়িত্ব পালন করবেন। তারা জানিয়েছেন তাদের জনবলের ঘাটতি হবে না।’
মো. জাহাংগীর আলম বলেন, ‘উপজেলাভিত্তিক বিজিবি মোতায়েন করা হবে। উপজেলা ভেদে দুই থেকে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। টোটাল জনবল উপজেলাভিত্তিক বাড়িয়ে দেওয়া হবে।’
এ নির্বাচনে বড় দল আসছে না, এর প্রভাব ভোটে পড়বে কি না- এ প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে নির্বাচনে কোনো ধরনের সহিংসতা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়নি। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। অনেক দল অংশ নিয়েছে দলীয় প্রতীক ছাড়া। একাধিক প্রার্থী একই দলের রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেসব দল নির্বাচন বর্জন করেছে তাদের কিছু অনুসারীরা এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। সুতরাং নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে কমিশন আশা করে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন থেকে শুরু করে সব কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। যাতে নির্বাচনে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তার পছন্দের ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে সুষ্ঠুভাবে বাড়ি যেতে পারেন। যাতে নির্বাচনে তাদের মতামত প্রতিফলিত হয়।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘আইনগতভাবে যার ভোটে অংশগ্রহণ করার যোগ্যতা রয়েছে তিনি ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এখানে আইনগত বাধা নেই। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দল হিসেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিকট আত্মীয়রা যেন উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেন। কিন্তু এটা তো আইন না। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একত্রিত করার কোনো সুযোগ নাই। আমরা চাই অধিক সংখ্যক প্রার্থী আসবেন। জনপ্রশাসন সমন্বিতভাবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করবে। যত প্রার্থী আসবে, স্থানীয় নির্বাচন তত সুষ্ঠু হবে বলে মনে করি।’