× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

গরম আরও বাড়তে পারে, হাসপাতালে রোগীর চাপ

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:২১ এএম

আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৩০ এএম

গরম আরও বাড়তে পারে, হাসপাতালে রোগীর চাপ

তীব্র দাবদাহে পুড়ছে দেশ। অসহনীয় গরমে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, এই অবস্থা চলবে আগামী এক সপ্তাহের বেশি। তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে রবিবার (২১ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন স্থানে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিন ছয়জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। হাসপাতালে রোগীর ভিড় বাড়ছে। যেসব এলাকায় তাপমাত্রার তীব্রতা বেশি, সেসব এলাকায় মানুষ ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি।

পরিস্থিতি সামাল দিতে রোগীর চিকিৎসায় সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে শয্যা প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। একই সঙ্গে খুব প্রয়োজন ছাড়া অন্য রোগে আক্রান্তদের ভর্তি না করারও অনুরোধ জানান তিনি। গতকাল রবিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। এই রোগী ব্যবস্থাপনায় নতুন নীতিমালা তৈরি করে তা হাসপাতালগুলোতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ওষুধ সামগ্রী ও স্যালাইনের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। 

গরমে শিশু ও বয়স্কদের প্রয়োজন ছাড়া বাসার বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর সুপারিশ করা হবে। শিশুদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলা যাবে না। গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি এবং অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, গরমের কারণে অসুস্থ রোগী ব্যবস্থাপনায় সারা দেশের হাসপাতালের পাশাপাশি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালকে প্রস্তুত রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রস্তুতি শুরু করেছে। 

হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে

গরম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি), বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে এসব হাসপাতালে আশঙ্কাজনক হারে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ গরমজনিত নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর ভিড় বেড়েছে। গত কয়েকদিনের গরমে শুধু ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে দুই শতাধিক শিশু। হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা শিশুর সংখ্যা অনেক বেশি। জ্বরের সঙ্গে বমি, টাইফয়েড, পাতলা পায়খানা হয়ে পানিশূন্যতার পাশাপাশি পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ নিয়ে আসছে বেশিরভাগ রোগী। ভর্তির প্রয়োজন আছে এমন শিশুর সংখ্যা ৫ শতাংশের মতো হবে। তবে ঈদের ছুটি কাটিয়ে এখনও অনেক মানুষ ঢাকায় ফেরেনি। এরপরও অন্যান্য বছরের ‍তুলনায় রোগী বেশি আসছে হাসপাতালে। তীব্র গরমে শিশুরা প্রচুর ঘামছে। এতে পানিশূন্যতা তৈরি হচ্ছে। তাই তাদের ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। 

পাঁচশ’ শয্যার মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সব শয্যা পূর্ণ হয়ে মেঝেতেও রোগী ভর্তি করা হচ্ছে। জ্বর, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত এসব রোগী। হাসপাতালের পরিচালক ডা. নিয়াতুজ্জামান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, গত কয়েকদিনের গরমে শিশু ও বয়স্করা নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর ও সর্দি-কাশি নিয়ে বেশিরভাগ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। অন্যান্য সময়ের তুলনায় আক্রান্তের এ হার অস্বাভাবিক বলে মনে করেন তিনি। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের অধিকাংশ শয্যায় দুজন করে রোগী ভর্তি আছে। শয্যার বাইরে বারান্দা ও ওয়ার্ডের মেঝেতে বিছানা করে আছে দ্বিগুণ রোগী। ওয়ার্ডের ভেতরেও তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে রোগী ও স্বজনরা। রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরাও। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. ইফফাত আরা শামসাদ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুরা ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। রোগীর চাপ আগামী কয়েকদিনে আরও বাড়তে পারে। চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা এ চাপ সামলাতে চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি। 

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ঈদের আগে হাসপাতালের বহির্বিভাগে দিনে গড়ে ২০০-এর মতো রোগী এলেও এখন ৩০০ ছাড়িয়েছে। জরুরি বিভাগে গড়ে ১ হাজার ২০০-এর মতো রোগী আসছে। অন্যান্য বছর ঈদের ছুটির পরপর এত রোগী ছিল না। তীব্র গরমে রোগী বেড়েছে। আগামী কয়েকদিন গরম আরও বাড়বে। সুতরাং রোগীও বাড়বে। রোগীর চাপ সামলাতে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে অতিরিক্ত ফ্যানের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

তাপপ্রবাহের কারণে ডায়রিয়া রোগী বেড়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের (আইসিডিডিআরবি) ঢাকা হাসপাতালে। শয্যা ছাপিয়ে হাসপাতাল চত্বরে তাঁবু টানিয়ে রোগী ভর্তি করা হচ্ছে। হাসপাতালটির চিকিৎসকরা জানান, সাধারণ সময়ে ডায়রিয়াজনিত সমস্যা নিয়ে দিনে গড়ে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩৫০ রোগী আসে। বর্তমানে বেড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ জনে পৌঁছেছে। 

আইসিডিডিআরবির হাসপাতাল প্রধান ডা. বাহারুল আলম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘দিনে ৭০০-এর বেশি ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হলে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়। গ্রীষ্মের শুরুতে এখনও সে ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তবে রোগী বাড়ছে। গত বছরের তুলনায় এবার রোগীর চাপ বেশি। কয়েকদিন ধরে অতিরিক্ত গরমের কারণে পানির চাহিদা বেড়েছে। অনিরাপদ পানি ও খাবার গ্রহণের কারণে ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়া। প্রচণ্ড রোদ ও গরমে শিশুদের যথাসম্ভব বাসায় রাখার চেষ্টা করতে হবে। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে কোনোভাবেই যেন তাদের বাইরে বের করা না হয়। গরমে ডায়রিয়া থেকে বাঁচতে সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। খাওয়ার আগে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। বিশেষ করে যারা শিশুদের খাওয়ান, যত্ন নেন, তাদের এ বিষয়ে খুব সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, তীব্র গরমে পিপাসা মেটাতে অনেকে রাস্তাঘাটের লেবু ও আখের শরবতসহ নানা ধরনের পানি পানের পাশাপাশি ফুটপাথের খোলা খাবার গ্রহণ করেন। এগুলোর অধিকাংশ অনিরাপদ। এসব খাবার খেয়েই মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতায় ভোগা রোগীদের এই গরমে খাবারের ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। খেয়েই শুয়ে পড়বেন না বা দিবানিদ্রা দিতে যাবেন না। একবারে অতিরিক্ত খাবেন না। এক দিনেই গরু, খাসি, কলিজা, পায়া সব পদ খেয়ে ফেলতে হবেÑ এমনটা নয়। রান্নার সময় চেষ্টা করুন অতিরিক্ত তেল-মসলা ব্যবহার না করতে। তিনি বলেন, একসঙ্গে অনেক রান্না করে তারপর বাসি খাবার— এই গরমে খাবেন না। সাধারণ গ্যাসের সমস্যা, এসিড রিফ্লাক্স অথবা বদহজম হলে প্রাথমিকভাবে সাধারণ গ্যাসের ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে ও প্রচুর আঁশযুক্ত শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে। পেট খারাপ বা ডায়রিয়া হলে স্যালাইন পান করতে হবে। তীব্র পানিশূন্যতার লক্ষণ দেখা দিলে বা বারবার বমি হলে অবশ্যই হাসপাতালে যেতে হবে। গরমে বের হওয়ার সময় অবশ্যই বাসা থেকে বেশি তাপে ফোটানো ও ফিল্টার করা পানি বোতলে নিয়ে বের হতে হবে।

হিট স্ট্রোকে ৪ জনের মৃত্যু

হিট স্ট্রোকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় আবু হানিফ মিয়া নামে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার শিবপুর এলাকায়। গতকাল রবিবার বেলা ১১টার দিকে দক্ষিণ সুরমা পুলিশ বক্সের সামনে আবু হানিফ অজ্ঞান হয়ে পড়লে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নরসিংদীর মাধবদীতে সাফকাত জামিল ইভান নামে ৩২ বছর বয়সি এক যুবক হিট স্ট্রোকে মারা যান। নিহতের চাচাতো ভাই শিহাব রাহাত জানান, স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে রবিবার দুপুরে মাধবদীতে নিজ বাসায় ফিরে অজ্ঞান হয়ে পড়েন ইভান। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

মেহেরপুরের গাংনীতে শিল্পী খাতুন নামে ৪৫ বছর বয়সি এক গৃহবধূ হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন। পাবনার চাটমোহরে আলাউদ্দিন আলী আলাল নামে ৪৩ বছর বয়সি এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। ভুট্টাক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে রবিবার দুপুরে আলাল অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

তাপমাত্রা আরও বাড়বে

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে— রাজধানী ঢাকাসহ দেশের পাঁচটি জেলায় গতকাল রবিবার দুপুর নাগাদ তাপমাত্রা ছিল ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। এর মধ্যে ঢাকায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি, রাজশাহীতে ৪১ দশমিক ৫, খুলনায় ৪১ দশমিক ২, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪২, চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৪ এবং যশোরে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে উল্লেখ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া খুলনা বিভাগের বাকি অংশ, রাজশাহী জেলা এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়েও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। সেই সাথে দেশের বাকি অংশের ওপর দিয়ে বয়ে যায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত আবহাওয়া এমন থাকতে পারে। গত শুক্রবার থেকে দেশজুড়ে জারি হওয়া হিট অ্যালার্টও আগের মতোই বলবৎ আছে। ফলে দেশজুড়ে জনজীবনে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। দুর্ভোগ এড়াতে স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।

দেশের বিভিন্ন বিভাগে যে তাপপ্রবাহ বইছে তা আরও বিস্তৃত হবে ও তাপমাত্রার পরিমাণ বাড়বে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান। প্রতিদিনের বাংলাদেশকে তিনি বলেন, শনিবার কয়েকটি জেলায় ৪২ ডিগ্রির ওপরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহ তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না, এমনকি এই মাসের মধ্যেও কমার সুযোগ নেই। বরং তাপপ্রবাহের পরিধি বাড়বে। একই সঙ্গে তাপমাত্রাও বাড়বে। বর্তমানে ময়মনসিংহ ও সিলেট ছাড়া অন্য কোথাও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই।

(জেলা প্রতিবেদকরা প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন)

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা