কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৩৫ পিএম
আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:০৫ এএম
গত রবিবার কক্সবাজার টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ঝিমংখালী ও খারাংখালী সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপির কয়েকজন সদস্য। প্রবা ফাইল ফটো
মিয়ানমারের চলমান সংঘাতের মধ্যে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া দেশটির সেনা ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২৮৫ সদস্যকে ২৪ এপ্রিল (বুধবার) ফেরত পাঠানো হবে। একই দিন মিয়ানমার থেকে কারাভোগ শেষে ফেরত আসবে দেড় শতাধিক বাংলাদেশিও।
রবিবার (২১ এপ্রিল) ঢাকায় পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিজিবি মহাপরিচালকের এক বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে। সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১ বিজিবি) অধীনে আশ্রয়ে থাকা প্রতিবেশী দেশটির ২৮৫ জনকে ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।
তবে তাৎক্ষণিক বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি বিজিবির সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিজিবির সদর দপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ২৮৫ জনকে মিয়ানমারে পাঠানোর সকল প্রস্তুতি শেষ। ২৪ এপ্রিল উখিয়ার ইনানীস্থ বঙ্গোপসাগরের নৌবাহিনীর জেটি দিয়ে তাদের ফেরত পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের জাহাজটি বাংলাদেশে আসার সময় সেখানে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষ হওয়া দেড় শতাধিক বাংলাদেশিকে নিয়ে আসবে। তাদের বাংলাদেশে হস্তান্তরের পর ২৮৫ জন গ্রহণ করে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলটি ফেরত যাবে।
বিজিবির ওই কর্মকর্তা বলেন, এই পুরো প্রক্রিয়াটি বিজিবির অধীনে হলেও নিয়ন্ত্রণ করবে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে এর আগে ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল মিয়ানমারের সেনা ও বর্ডার গার্ড পুলিশসহ ৩৩০ জন; যাদের ১৫ ফেব্রুয়ারি ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
প্রথম দফায় তাদের ফেরত পাঠানোর সময় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশের অনুমতি এবং সংশ্লিষ্টরা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেও এবার তা হচ্ছে না। ইনানী জেটি ঘাটে নিরাপত্তাজনিত কারণে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হবে।
এমনটি জানিয়ে বিজিবির ওই কর্মকর্তা বলেন, এবার ফেরত আসা বাংলাদেশিদের গ্রহণ এবং মিয়ানমারের ২৮৫ জনকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শেষে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে গত শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ২৮৫ জন সদস্যকে দেশটির জাহাজে নৌপথে ফেরত যাওয়ার ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়েছে। যদিও তিনি বলেছিলেন, জাহাজের যাত্রা সমুদ্র ও মিয়ানমারের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।