প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ২১:৪৭ পিএম
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বক্তব্য দেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। প্রবা ফটো
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান প্রকৌশলীদের দূর্নীতির বদনাম থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সড়ক-মহাসড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়নে প্রকৌশলীরা অনেক অবদান রাখেন, তবে তারা কেন বদনামের ভাগিদার হবেন?
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে অনুষ্ঠিত ‘সড়ক উন্নয়নের অভিযাত্রায় স্মার্ট বাংলাদেশ: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছে, তা সার্থক করতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের প্রকৌশলীরা অনেক সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে। পদ্মাসেতু ও রুপপুর প্রকল্পের মত মেগাপ্রকল্পে বাংলাদেশের প্রকৌশলীরা মেধার স্বাক্ষর রেখেছে। এসব উন্নয়নে সাফল্যের সুনাম থাকলে সততার সুনাম থাকবে না কেন?
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু প্রকৌশলী নয়, সৎ পিতামাতা হয়ে সন্তানদের লালনপালন করতে হবে এবং আদর্শবান করে গড়ে তুলতে হবে।’
অনুষ্ঠানে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী সড়ক ও মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশ, বিআরটিএ, প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক কঠোর আইনের শাসন প্রয়োগের আহ্বান জানান।
আইনের প্রয়োগ না হলে সকল উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে মন্তব্য করে মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘বিশাল বিশাল সড়ক ও মহাসড়ক নির্মাণে গুনগত মান বজায় রাখতে স্যাটেলাইট মনিটরিং ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং প্রকৌশলীদের মেধা ও মননে সততার প্রতিফলন থাকতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের এমডিএস মো. সিদ্দিকুর রহমান বক্তব্য রাখেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মোমিনুল ইসলাম ও নাসরিন আরা শাহীন সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সেমিনারে বাংলাদেশ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে আসা বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের প্রশিক্ষনার্থী হিসেবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৪০ জন প্রকৌশলী অংশগ্রহণ করেন।