× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন

প্রাণিসম্পদ খাতে বেসরকারি উদ্যোক্তা দেখতে চান প্রধানমন্ত্রী

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৩৯ পিএম

আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৫৬ পিএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত

দেশের পোল্ট্রি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিজেদের উদ্যোগী হওয়ার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাণিজ্য মেলার পুরোনো মাঠে দুই দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চাই বেসরকারি খাত এগিয়ে আসুক। বেসরকারি খাতকেই উদ্যোক্তা হিসেবে দেখতে চাই। তাদের সব রকম সহযোগিতা করতে চাই। এর ফলে আমার দেশের মানুষের কর্মসংস্থান বাড়বে। আমরা তা-ই চাই।’

শিক্ষিত যুবসমাজকেও এক্ষেত্রে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে যুবসমাজকে উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু একটা পাস করে চাকরির পেছনে না ছুটে যুবসমাজ যদি নিজের উদ্যোগে একটু ব্যবসা-বাণিজ্য করে, তাহলে কিন্তু আমরা যথেষ্ট এগিয়ে যেতে পারব। এসব ক্ষেত্রে আমাদের যুবসমাজকে এগিয়ে আসার জন্য আরও উৎসাহিত করতে হবে। যাতে কখনও আমাদের কারও ওপর নির্ভরশীল হতে না হয়। খাদ্যনিরাপত্তার সঙ্গে আমাদের নিজস্ব পুষ্টির ব্যবস্থা আমরা নিজেরাই করতে পারি, সে বিশ্বাস আমার আছে।’

উৎপাদন বৃদ্ধিতে গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের গবেষণা আরও বাড়াতে হবে। আজ আমরা ৪০ ভাগের ওপরে পেঁয়াজ উৎপাদন করতে পারি। আমরা কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে চাই না। প্রতিটি পণ্য আমরা নিজেরাই উৎপাদন করব।’ তার সরকার খামারিদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে উৎসাহিত করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি। 

প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি খাতের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘দেশের চাহিদা মিটিয়ে হালাল মাংস রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ আমাদের রয়েছে। অনেক দেশ হালাল মাংস আমাদের থেকে ক্রয় করতে চায়। সেজন্য আমাদের পশুপাখিগুলোকে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে লালন-পালন ও নিয়ম মেনে জবাই করতে হবে এবং প্যাকেটজাত করার ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে হচ্ছে কি না, সে বিষয় আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে।’

এক্ষেত্রে পশু জবাইয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেজন্য কিছু আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন বুচার হাউস (কসাইখানা) আমাদের তৈরি করা দরকার। বিশেষ করে, কোরবানির সময় রাস্তাঘাটে যেখানে সেখানে ফেলে পশু জবাই করা আমাদের বন্ধ করতে হবে। সুনির্দিষ্ট একটি স্থান থাকবে, যেখানে পশু জবাই হবে এবং যার যার চিহ্নিত পশু সে সে নিয়ে যাবে। তাহলে পুরো প্রক্রিয়া যেমন স্বাস্থ্যসম্মত হবে তেমনি পশুর পরিত্যক্ত অংশ ও চামড়া যথাযথভাবে কাজে লাগানো যাবে।’ 

পশুর হাড়, রক্ত, চামড়া এমনকি বর্জ্যও বিভিন্ন কাজে লাগে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা যদি এগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত করে ব্যবহার করতে পারি, তাহলে আমাদের অনেক কাজে আসতে পারে।’  এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নেওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। 

৪৭০টি উপজেলায় সরকার ভ্রাম্যমাণ পশু চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে জানিয়ে দেশের আটটি বিভাগ ও ৬৪টি জেলায় ভেটেরিনারি ফার্ম, পশু চিকিৎসালয় ও সংরক্ষণাগার গড়ে তোলার বিষয়েও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। মৎস্য ও পশুপাখির খাদ্যও যেন নিরাপদ হয় এবং এগুলো যাতে পরবর্তীতে মানবদেহে কোনো রোগের সৃষ্টি করতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতেও আহ্বান জানান তিনি। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও জানান, সরকার পরিত্যক্ত চরাঞ্চলে মহিষ, ভেড়া, হাঁস-মুরগি চাষে উৎসাহিত করছে। এমনকি ভাষানচরে যেখানে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, সেখানেও প্রচুর ভেড়া ও মহিষ লালন-পালন হচ্ছে। হাঁস-মুরগি প্রতিপালন ও মাছের চাষ হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এভাবে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের যেটুকু মাটি ও সম্পদ রয়েছে, তা ব্যবহার করেই আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারব। জনগণ মৎস্য, পশু ও হাঁস-মুরগি পালনে আরও এগিয়ে আসবেন এবং আমাদের খামারগুলো আরও উন্নত হবে।’ 

বাংলাদেশে ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প অনেক দূর এগিয়েছে মন্তব্য করে শেখ হসিনা বলেন, ‘আমরা পশুপাখির জন্য নিজেরাই নানা রকম ভ্যাকসিন তৈরি করে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারি।’

বিস্তীর্ণ সমুদ্রসীমা অর্জনের পরও বাংলাদেশ এখনও গভীর সমুদ্র থেকে সম্পদ আহরণ করতে না পারাটাকে দুর্ভাগ্যের বিষয় বলে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে আমরা এই উদ্দেশ্যে কোনো উদ্যোক্তা পাচ্ছি না। এটাই বাস্তবতা।’

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান হোসেন ডেইরি খাতের প্রতিনিধি হিসেবে এবং পোল্ট্রি খাতের প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রি সেন্ট্রাল কাউন্সিলের যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রাণিসম্পদ খাতে সরকারের অগ্রগতি ও অর্জন নিয়ে তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। প্রদর্শনী উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা