× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বিচারপতিদের সমান সুবিধা পাবেন সিইসি ও ইসিরা

ফসিহ উদ্দীন মাহতাব

প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:১২ এএম

আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ১০:৫০ এএম

নির্বাচন ভবন। ফাইল ছবি

নির্বাচন ভবন। ফাইল ছবি

কক্সবাজার জেলার মহেশখালী এলাকা ও পার্শ্ববর্তী মাতারবাড়ীতে সমুদ্রবন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলএনজি, এলপিজি টার্মিনাল, ইকোনমিক জোনসহ ৩৭টি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এসব প্রকল্পের কাজ ও পরিকল্পনা সমন্বয় করতে মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করতে যাচ্ছে সরকার। সে লক্ষ্যে একটি আইনের খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তেজগাঁওয়ের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠেয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এটি নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন হতে পারে। এ ছাড়াও প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন, ২০২৪-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন হতে পারে। আইনটি অনুমোদন পেলে বিচারপতিদের সমান সুবিধা পাবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য নির্বাচন কমিশনাররা। 

মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় হবে কক্সবাজার জেলার মহেশখালীতে। কর্তৃপক্ষ গভর্নিং বোর্ডের অনুমোদন গ্রহণ করে প্রয়োজনে যেকোনো স্থানে একটি লিয়াজোঁ অফিস স্থাপন করতে পারবে। গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকবেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রস্তাবিত আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা, পরামর্শ, উপদেশ প্রদান এবং কর্তৃপক্ষ ও নির্বাহী পরিষদের কার্যাবলি অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চেয়ারম্যান করে গঠিত গভর্নিং বোর্ড ভাইস চেয়ারম্যান থাকবেন অর্থমন্ত্রী। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান, বিদ্যুৎ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, চেয়ারম্যান জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি, কর্তৃপক্ষের অধিক্ষেত্রাধীন এলাকার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি (তবে অধিক্ষেত্রাধীন এলাকায় নিজস্ব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনোনীত উক্ত এলাকার শিল্প বাণিজ্যসংশ্লিষ্ট একজন প্রতিনিধি) সদস্য থাকবেন। 

নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান গভর্নিং বোর্ডের সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোনো মন্ত্রী, সচিব বা কোনো ব্যক্তিকে প্রজ্ঞাপনের উল্লিখিত মেয়াদের জন্য গভর্নিং বোর্ডের সদস্য হিসেবে যেকোনো সময় কো-অপ্ট করতে পারবে। গভর্নিং বোর্ডের সদস্য পদের শূন্যতা এবং বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকার কারণে বোর্ডের কোনো কার্যধারা অবৈধ হবে না এবং এ সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন তোলা যাবে না। এ ছাড়া নির্বাহী পরিষদ গঠন ও কার্যাবলি, কর্তৃপক্ষের কার্যাবলি, মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন, ভূমি বরাদ্দ, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ভূমি বরাদ্দ, মহাপরিকল্পনা লঙ্ঘন করে ভূমি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, স্থানীয় পরিকল্পনা, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন ভূমি, ইমারত ন্যস্তকরণ, কর্তৃপক্ষের বিশেষ অধিকার বিষয়ে বিস্তারিত খসড়ায় উল্লেখ আছে। কর্তৃপক্ষের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন করার, অধিকারে রাখার এবং হস্তান্তর করার ক্ষমতাও থাকবে। 

বিচারপতিদের সমান সুবিধা পাবেন নির্বাচন কমিশনাররা

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের ন্যায় পেনশন, ভ্রমণ ভাতা, চিকিৎসাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পেতে যাচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনাররা (ইসি)। তারা পাঁচ বছর মেয়াদে দায়িত্ব পালন শেষে এসব সুবিধা পাবেন। সেক্ষেত্রে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং চার কমিশনার হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের সমান সুযোগ পাবেন। এমন বিধান রেখে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন, ২০২৪-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ। এটি আজ বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন হতে পারে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের কারণে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার সুযোগ-সুবিধাসংক্রান্ত অধ্যাদেশ ‘দ্য চিফ ইলেকশন কমিশনার অ্যান্ড ইলেকশন কমিশনার (রিমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজেস) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৩-এর কার্যকারিতা হারিয়েছে। এ প্রেক্ষিতে নতুন করে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন’-এর খসড়া প্রস্তুত করে নির্বাচন কমিশন। পরবর্তীকালে আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ উদ্যোক্তা হিসেবে আইনের খসড়া পর্যালোচনা শেষে মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এটি আজকের মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, বর্তমানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং নির্বাচন কমিশনাররা হাইকোর্টের বিচারপতির সমান বেতন ও মর্যাদা পান। বিচারপতিরা অবসরে গেলে পেনশন পেলেও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে তারা কোনো পেনশন পান না। পাশাপাশি বিচারপতিরা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকলেও নির্বাচন কমিশনাররা পান না। নতুনভাবে প্রণীত ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন, ২০২৪ অনুমোদন ও সংসদে পাস হলে নির্বাচন কমিশনাররা বিচারপতিদের ন্যায় সব সুবিধা ও প্রাধিকার পাবেন। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা