প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২২ ১০:৫৮ এএম
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২২ ১১:০৯ এএম
গুলিস্তানে শহীদ নূর হোসেন চত্ত্বরে নূর হোসেনকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন তার পরিবার। ছবি : প্রবা
যে গণতন্ত্রের জন্য নূর হোসেন শহীদ হয়েছেন, সে গণতন্ত্র এখনো আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন নূর হোসেনের ছোট বোন শাহনাজ বেগম।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) শহিদ নূর হোসেন দিবসে গুলিস্তান মাজার রোডে নূর হোসেন চত্বরে পুস্পস্তাবক অর্পণ শেষে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘জায়গাটাকে এখনো সবাই জিরো পয়েন্ট হিসেবেই চেনে। বছরে একবার তাকে স্মরণ করা হয় ঠিকই কিন্তু এখনো সাধারণ মানুষ তাকে জানে না।’
দিবসটি উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো গুলিস্তানে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে নূর হোসেনকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছে। এর আগে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত হয়।
এ সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি জয় বলেন, ‘আজকের দিনে এই কথাই বলবো আমরা শোডাউনের রাজনীতি করি না। ছাত্রলীগ নৈরাজ্য করে না। অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চায়। সেজন্য সবসময় আমরা মাঠে আছি।’
এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহিদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে নূর হোসেনসহ সব শহিদদের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সবাইকে সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নূর হোসেনসহ অন্য শহীদদের মহান আত্মত্যাগ তৎকালীন স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনকে বেগবান করে। সর্বস্তরের মানুষ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলে। দিবসটি উপলক্ষে তিনি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন নূর হোসেনসহ গণতন্ত্রের জন্য আত্মোৎসর্গকারী সব শহীদকে।
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর ১৫ দল, ৭ দল ও ৫ দলের নেতাকর্মীরা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছাত্র সংগঠনগুলোর সমর্থনে অবস্থান ধর্মঘট ঘেরাও কর্মসূচিতে রূপ লাভ করে।
স্বৈরশাসকের সব বাধাকে উপেক্ষা করে ১০ নভেম্বর সকাল থেকেই সচিবালয়ের চারদিকে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার মিছিল সমবেত হয়। তখন তোপখানা রোডের মুখে পুলিশ বক্স পেরিয়ে শুরু হয় নূর হোসেনদের মিছিল। তার খালি গায়ে বুকে ও পিঠে লিখা ছিল ‘গণতন্ত্র মুক্তিপাক-স্বৈরাচার নিপাত যাক’।
সমাবেশ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ, গুলি। পল্টন তখন রণক্ষেত্র। এরইমধ্যে শহীদ হয়েছেন নূর হোসেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য নেতাকর্মী।