× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা যেতে চান যাত্রাবাড়ী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘সায়’

ফয়সাল খান

প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:৪১ পিএম

রাজধানীর কারওয়ান বাজার। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর কারওয়ান বাজার। ছবি : সংগৃহীত

ঈদের পর কারওয়ান বাজার সরাতে অনড় সরকার। আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে দোকান স্থানান্তরের কাজ শুরু হওয়ার কথা। তবে তাদের জন্য প্রস্তুত করা আমিন বাজার (গাবতলী কাঁচাবাজার) যেতে চাচ্ছেন না অনেক ব্যবসায়ী। এরইমধ্যে আমিন বাজার না যেতে অনেকেই আবেদন করেছেন। সেই আবেদনে তারা বিকল্প প্রস্তাবও দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজারে যেতে চান তারা। 

এ নিয়ে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে মেয়র আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ডিএনসিসির একটি প্রতিনিধিদল বৈঠক করে। ওই বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। 

বৈঠকে জানানো হয়, ঝুঁকিপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান বিবেচনায় যে কোনো মূল্যে কারওয়ান বাজার স্থানান্তর করতে চায় সরকার। গাবতলী কাঁচাবাজারে যেতে ব্যবসায়ীদের অনিহার বিষয়ে আলোচনা হয়। তখন যারা যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজার যেতে চায়, তাদেরকে সেখানেই স্থানান্তরের ব্যপারে ইতিবাচক আলোচনা হয়। 

বৈঠক সূত্র জানায়, কারওয়ান বাজার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন আর যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন থাকায় জটিলতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে আলোচনা করে জটিলতা নিরসনের ব্যাপারে আশ্বাস দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।  

তবে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে আরও দশদিন বেশি চান ব্যবসায়ীরা। সে অনুযায়ী নতুন তারিখ নির্ধারণ হবে কি না, এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিএনসিসি’র একাধিক কর্মকর্তা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এদিকে ঈদের আগেই ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) তাদের আঞ্চলিক কার্যালয় সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে। গত ২৮ মার্চ মোহাম্মদপুর কমিউনিটি সেন্টারে আসবাবপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্থানান্তর শুরু হয়। এর আগে স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী-মেয়র ব্যবাসায়ীদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন। 

ডিএনসিসি’র অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বির আহমেদ বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন বলেই আঞ্চলিক কার্যালয় স্থানান্তর করা হচ্ছে। কারওয়ান বাজারকে কাঁচা বাজার ও আড়তমুক্ত করার লক্ষ্যে ভবনটি ভেঙে ফেলা হবে। সে কারণে অফিস স্থানান্তর করা হয়েছে। 

ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে এখানকার স্থায়ী বরাদ্দকৃত (আড়ত ভবন-১) ১৭৬টি আড়ত, দোকান সরিয়ে নেওয়া হবে। অস্থায়ী দুই স্থান থেকে (দক্ষিণ পাশের ১১৮টি ও উত্তর পাশের ৬২টি) ১৮০টি দোকান গাবতলীর আমিনবাজারে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, কারওয়ান বাজারের কোনো দোকান থাকবে না। শহরকে যানজট মুক্ত করার লক্ষ্যে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী শহরকে সুন্দর রাখতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া কারওয়ান বাজারের মার্কেটগুলো ঝুঁকিপূর্ণ।

২০১০ সালে বুয়েট থেকে এক প্রতিবেদনে কারওয়ান বাজার মার্কেটকে রেকটো ফিটিং করার সুপারিশ করা হয়। তখন হিসেব করে দেখা যায়, রেকটো ফিটিং করতে যে পরিমাণ খরচ, এর থেকে না করাই শ্রেয়। ওই সময় কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ৩৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল যাত্রাবাড়ী ও আমিনবাজারে। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা