প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৪ ২১:২৯ পিএম
আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২৪ ২২:১৭ পিএম
প্রতীকী ছবি
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অন্যান্য সময়ের তুলনায় বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকে। তা সত্ত্বেও শনিবার (৬ এপ্রিল) ১ হাজার ৬৩৬ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টা থেকে এই লোডশেডিং শুরু হয়।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১২ হাজার ৩৮৭ মেগাওয়াট।
আরেকটি তথ্যে দেখা যায়, শনিবার দুপুর ১২টায় ১৪ হাজার মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে দেশে ১২ হাজার ৬৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে সর্বোচ্চ চাহিদা ১৫ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট এবং দিনের ব্যস্ত সময়ে ১৩ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমের মধ্যে দিন যত এগোবে, লোডশেডিংয়ের পরিমাণ তত বাড়বে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। এর আগে, গত সপ্তাহে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার শেষ কার্যদিবসে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮২৪ মেগাওয়াট লোডশেডিং রেকর্ড করা হয়েছিল।
এদিকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) সূত্র জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ দুই হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যেতে পারে। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহ না বাড়ানো পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন বিপিডিবির কর্মকর্তারা। গ্যাস সংকটের কারণে প্রায় তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র অচল হয়ে পড়েছে।
পেট্রোবাংলার পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ৪ হাজার এমএমসিএফডির বেশি চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাস সরবরাহ ছিল ২ হাজার ৬৪০ এমএমসিএফডি।