ট্রেনে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি নেই

ট্রেনে ঈদযাত্রা মানে ছিল হুড়োহুড়ি, ধাক্কাধাক্কি। সিট তো দূরের কথা ট্রেনের বগিতে জায়গা না পেয়ে ছাদে বসা, শিডিউল বিপর্যয়, টিকিটের জন্য আগের দিন বিকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা-এসব বিষয় সবার জানা। কিন্তু এবার সেই চিত্র নেই। বলতে গেলে ভোগান্তিহীন স্বস্তির যাত্রা করছেন যাত্রীরা।

ভোগান্তি কমাতে সব টিকিট বিক্রি হয়েছে অনলাইনে। রেলপথে যাত্রী চাপে যেকোনো বিপর্যয় এড়াতে ঢাকা রেলস্টেশনে ঢুকতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে রেলওয়ে। টিকিট ব্যতীত কেউ ঢুকতে না পারায় স্বস্তিতে স্টেশনে ঢুকতে ও ট্রেনে উঠতে পারছেন যাত্রীরা।

ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনে গত ২৭ মার্চ যেসব যাত্রী অগ্রিম টিকিট পেয়েছেন তারাই আজ কমলাপুর থেকে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘সকাল ৬টা থেকে ঢাকা (কমলাপুর) রেলস্টেশন থেকে সকাল পৌঁনে এগারোটা পর্যন্ত ছেড়ে গেছে ২০টি ট্রেন।’

তিনি বলেন, ‘শনিবার কোনো শিডিউল বিপর্যয় কিংবা ট্রেন বিলম্বের ঘটনা ঘটেনি। সকাল থেকে এ পর্যন্ত ১৫টি ট্রেন যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। ট্রেনগুলোর মধ্যে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ২০ মিনিট পরে গেলেও বাকি সব যথাসময়ে ছেড়েছে।’

কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা যায়, স্টেশনে প্রবেশের জন্য করা হয়েছে আলাদা গেট। বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করা এসব অস্থায়ী গেটের সামনে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করছেন রেলওয়ের নির্ধারিত কর্মকর্তারা। সেখানেই ঈদযাত্রার জন্য স্টেশনে আসা যাত্রীর টিকিট চেক করে ভেতরের দিকে প্রবেশ করানো হচ্ছে। তবে টিকিট ছাড়া ভেতরে কেউ প্রবেশ করতে পারছেন না। এদিকে ভেতরে প্রবেশ করেও টিকিট স্ক্যান করে যাত্রা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

এখন পর্যন্ত ঈদযাত্রার ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় না থাকায় অভিযোগ নেই যাত্রীদের। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসছে সব ট্রেন। সবমিলিয়ে এবারের ঈদযাত্রায় এখনও ট্রেন নিয়ে অভিযোগ নেই যাত্রীদের।