ব্যাংকে ডাকাতের হানা
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৩০ পিএম
আপডেট : ০৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৪৫ পিএম
রুমায় রাতের অন্ধকারে সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। প্রবা ফটো
বান্দরবানে তিন ব্যাংকে ডাকাতের হানাকে ছোট করে না দেখলেও এই মুহূর্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। সেই সঙ্গে তিনি এ-ও জানান, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হামলার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আগাম কোনো তথ্য ছিল না।
মন্ত্রী বলেন, ‘কেন হঠাৎ করে তারা (কুকি-চিন) এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, তা আমাদের জানা ছিল না। তবে যে উদ্দেশ্যেই তারা এসব করুক না কেন; আমরা তাদের কাউকে ছাড় দেব না। আর এমন কিছু ঘটেনি, যাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে হবে। আমরা দেখছি, ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘আগে সবকিছু জেনে নিচ্ছি, তারপর সব ধরনের ব্যবস্থা নেব। এর পেছনে কারা আছে, কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না, কোনো ধরনের নাশকতা কিংবা অন্য কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, সেগুলো দেখে সেই অনুসারে ব্যবস্থা নেব।’
বান্দরবানের রুমার পর থানচি উপজেলার দুটি ব্যাংকে বুধবার (৩ এপ্রিল) দিনেদুপুরে ডাকাতি হয়। অস্ত্রধারীরা গাড়িতে করে এসে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের দুই শাখা থেকে লুট করেছে লাখ লাখ টাকা। থানচি থানা থেকে মাত্র ২০০ গজ দূরের এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মব্যস্ত সময়ে সবাইকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্কের মাত্রা বহুগুণ বাড়িয়েছে। ভীতিকর এই পরিস্থিতির শুরুটা অবশ্য রুমা উপজেলায়।
সেখানে মঙ্গলবার রাতের অন্ধকারে সোনালী ব্যাংকের শাখায় একই কায়দায় ডাকাতির চেষ্টা হয়। ভল্ট থেকে টাকা নিতে ব্যর্থ হয়ে লুট করা হয় পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অস্ত্র। তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে স্বল্পসময়ের ব্যবধানে তিনটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রধারীদের অপতৎপরতায় হতভম্ব স্থানীয়রা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যেভাবে তথ্য দিচ্ছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেভাবেই কাজ করছে। কাজেই পহেলা বৈশাখ কিংবা অন্য কিছু নিয়ে নাশকতার কোনো তথ্য আমাদের কাছে এখনও আসেনি। আবার না এলেও আমাদের যে সতর্কতা, সেটা নেওয়া হচ্ছে।’
হামলার পেছনে ভূরাজনৈতিক কিছু আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন কোনো তথ্য নেই। অনেক কিছু হতে পারে। তবে তথ্য না জানিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না।’
তিনি বলেন, ‘কুকি-চিনের আস্তানা র্যাব ও আর্মি নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল। পরে আমাদের সীমানা পার হয়ে তারা ভিন্ন কোনো দেশে আশ্রয় নেয়। সেখানেই তারা অবস্থান করছিল। এখন তারা কোথা থেকে এসেছে, কীভাবে এসেছে, মাঝেমধ্যে তাদের প্রতিনিধিরা আমাদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা শান্তি চায় বলেও জানিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে আক্রমণ ও ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা আমাদের কাছে নতুন কিছু মনে হচ্ছে। তবে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’