সংসদ নির্বাচন
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৫০ পিএম
আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:২১ পিএম
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাষ্ট্রের এনডিআই-আইআরআইসহ বিদেশি পর্যবেক্ষকদের দেওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতিবেদন দেখে পরবর্তী কমিশনের জন্য বাস্তবায়নের সুপারিশ রেখে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের রিপোর্ট দেখেছি। ফরমালি বসতে পারিনি। আমাদের সময়ে তো আর জাতীয় নির্বাচন হবে না। কাজেই অনেক সময় আছে। প্রাথমিক রিপোর্ট আমরা দেখেছি। আমাদের মধ্যে আলোচনাও হয়েছে। এখন সামারি করার জন্য বলা হয়েছে। তারা আমাদের ভালো দিক এবং দুর্বল দিক কী দেখেছে, সেগুলো খতিয়ে দেখা হবে। ইসি সচিবালয় একটা খসড়া করেছিল, আমরা বিস্তারিতভাবে আবার করতে বলেছি। এক্ষেত্রে পর্যালোচনা করে আমরা পরবর্তী কমিশনের জন্য সাজেশন (পরামর্শ) রেখে যাব।’
বুধবার (৩ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
কমিশনার আলমগীর বলেন, ‘তারা টোটাল নির্বাচন নিয়ে মতামত দিয়েছে। প্রার্থী, দল, সরকার, ভোটকেন্দ্র নানা বিষয়ে কথা বলেছে। আমরা কেবল আমাদের দিকটা দেখব। তারা যে সুপারিশ করেছে সেটা করা যায় কি না, সেটা আমরা দেখব। যেগুলো আমাদের জন্য করা সম্ভব সেগুলো পরবর্তী কমিশনের জন্য সুপারিশ রেখে যাব।‘
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা একটা (প্রতিবেদনের) জায়গায় বলেছে, ভোটে কারচুপি হয়েছে বেশ কয়েকটা কেন্দ্রে। যেখানে কমিশন ব্যবস্থাও নিয়েছে। কমিশন অবহেলা করেছে, এমনটা বলেনি। তারা কমিশনের বিরুদ্ধে নেতিবাচক কিছু বলেনি। তারা বলেনি যে, কমিশনের এমন সক্ষমতা ছিল অথচ ব্যবস্থা নেয়নি। অথবা এই সমস্ত কেন্দ্রগুলোতে জাল ভোট হয়েছে কিন্তু কমিশন বন্ধ করেনি। বরং কমিশন ব্যবস্থা নিয়েছে বলে তাদের রিপোর্টে বলা আছে। প্রশাসনে রদবদল করেছে এগুলোও আছে। এখন টোটাল গণতান্ত্রিক বিষয় তো আর নির্বাচন কমিশন দেখে না। তারা নির্বাচন কমিশন নিয়ে যা বলেছে, আমাদের মূল্যায়নে খারাপ কিছু বলেনি। আমরা সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণভাবে করেছি। কতটা গ্রহণযোগ্য হয়েছে, সেটা দলগুলোর ওপর ছেড়ে দিয়েছি।’
৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করলেও নিবন্ধিত ৪৪টি দলের মধ্যে বিএনপিসহ অন্য দলগুলো ভোট বর্জন করে। এতে কিছু সহিংস ঘটনাও ঘটে। রেলে অগ্নিসংযোগে প্রাণহানি হয়। তবে ভোটের দিন তেমন কোনো বড় ঘটনা ঘটেনি। অনেক শান্তিপূর্ণভাবেই নির্বাচন সম্পন্ন হয়। নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয়লাভ করে ফের সরকার গঠন করে।