× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া দিবস আগামীকাল

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ১১:১৬ এএম

আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৪০ এএম

১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ম্যানেজার বাংলোয় স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ছবি : সংগৃহীত

১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ম্যানেজার বাংলোয় স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ছবি : সংগৃহীত

ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া দিবস ৪ এপ্রিল, বুধবার। ১৯৭১ সালের এই দিনে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ম্যানেজার বাংলোয় স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ঊর্ধ্বতন ২৭ সেনা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এ বৈঠকেই দেশ স্বাধীন করার শপথ এবং যুদ্ধের রণকৌশল গ্রহণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গন ভাগ করা হয় ১১ সেক্টর ও তিনটি ব্রিগেডে। অস্ত্রের জোগান, আন্তর্জাতিক সমর্থনসহ গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এ সভায়।

প্রতি বছর ৪ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও এবার রমজানের জন্য সীমিত আকারে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। মাধবপুর উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে।

১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেখানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক আতাউল গণি ওসমানী, তৎকালীন মেজর সিআর দত্ত, মেজর জিয়াউর রহমান, কর্নেল এমএ রব, রব্বানী, ক্যাপ্টেন নাসিম, আবদুল মতিন, মেজর খালেদ মোশাররফ, কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী, ভারতের ব্রিগেডিয়ার শুভ্রমানিয়ম, এমপিএ মৌলানা আসাদ আলী, লে. সৈয়দ ইব্রাহীম, মেজর কেএম শফিউল্লাহ প্রমুখ।

জেনারেল ওসমানীর নেতৃত্বে নেওয়া হয় মুক্তিযুদ্ধের সর্বাত্মক প্রস্তুতি। শপথবাক্য পাঠ করানোর পর নিজের পিস্তল থেকে ফাঁকা গুলি ছুড়ে স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার শপথের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন এমএজি ওসমানী। ওই সভায় ১০ এপ্রিল দ্বিতীয় বৈঠক ও সরকার গঠনের প্রস্তাবও করা হয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে তা আর হয়ে ওঠেনি। তবে সেক্টর বিভক্তি নিয়ে মতবিরোধ থাকলেও এ মিটিং ছিল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রথম বৈঠক, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই কারও।

৩ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর কেএম শফিউল্লাহ তার হেডকোয়ার্টার স্থাপন করেন তেলিয়াপাড়া চা বাগানে। সড়ক ও রেল পথে বৃহত্তর সিলেটে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়ার গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। এখান থেকে মুক্তিবাহিনী বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা ছাড়াও তেলিয়াপাড়া চা বাগানে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি বড় প্রশিক্ষণ ক্যাম্প গড়ে ওঠে।

মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এমএজি ওসমানীসহ কয়েকটি সেক্টরের কমান্ডারগণ বিভিন্ন সময়ে তেলিয়াপাড়া সফর করেন। ম্যানেজার বাংলোসহ পাশের এলাকা ছিল মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সেনানায়কদের পদচারণে মুখরিত। ১৯৭১ সালের ২১ জুনের পর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রচণ্ড আক্রমণের কারণে তেলিয়াপাড়া চা বাগানে স্থাপিত সেক্টর হেডকোয়ার্টার তুলে নেওয়া হয়।

দেশ স্বাধীনের পর ২, ৩ ও ৪ নম্বর সেক্টরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে তেলিয়াপাড়া চা বাগান ম্যানেজার বাংলোর পাশে নির্মিত হয় বুলেট আকৃতির মুক্তিযুদ্ধের প্রথম স্মৃতিসৌধ। ১৯৭৫ সালের জুনে এ স্মৃতিসৌধের উদ্বোধন করেন সেনাপ্রধান (অব.) মেজর জেনারেল শফিউল্লাহ বীরউত্তম পিএসসি।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান হলেও সেটি সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ ছিল না দীর্ঘদিন। ২০১১ সালের ৭ মে মুক্তিযোদ্ধাদের এক সমাবেশে সেখানে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স করার কথা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এখনও সে প্রকল্প আলোর মুখ দেখেনি।

মুক্তিযোদ্ধারা দাবি করেন, তেলিয়াপড়া বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান স্মৃতিবিজড়িত স্থান। অবশ্যই এটি সংরক্ষণ করতে হবে। অবিলম্বে সেখানে রেস্ট হাউস, টয়লেট নির্মাণসহ উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণের দাবি জানান তারা। পাশাপাশি ঐতিহাসিক বাংলোটিকে জাদুঘর করার দাবি দীর্ঘদিনের।

সূত্র : বাসস

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা