প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:১৯ পিএম
আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৩১ পিএম
ঈদের সময় বাসভাড়া বৃদ্ধির পক্ষে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান।
তিনি বলেন, ‘ঈদের সময় বাসভাড়া দ্বিগুণ হয়ে যাওয়া একটি বিতর্কিত বিষয়। কিছুক্ষণ আগে এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিমানের ভাড়া বেড়েছে না কি কমছে? বিমান কি যানবাহন না? অবশ্যই বিমান গণপরিবহন। ঢাকা থেকে যাচ্ছে, সেই গাড়িটা কিন্তু ফাঁকা আসছে। সেখানে অনেক সময় তারা ভাড়া কিছুটা বাড়ায়, তাও খুব বেশি না, ডাবল নেয় না। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ যদি গাড়ি না পায়, তাহলে হয় ইজিবাইক অথবা মাইক্রোবাস অথবা নানাভাবে সে যাবেই।’
সোমবার (১ এপ্রিল) বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদুল ফিতরের প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘পাঁচশ টাকা ভাড়া হলে হয়তো একশ টাকা ডিসকাউন্ট সারা বছর চলে। ঈদের সময় হয়তো ওই একশ টাকা বাড়তি নেওয়া হয়। সেটিকে মনে করে বাড়তি ভাড়া।’
অন্য প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পরিবহন ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে হলে পরিবহনের দিকে নজর দিতে হবে। পরিবহন নিয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর পরিসংখ্যান আছে এবং বিভিন্ন কথা বলা হয়, এটি পরিবহন ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করে তোলে। মালিকরা সারা বছর যেটা ডিসকাউন্ট করে সেটাই বাড়ে। যে ভাড়াটি সরকারিভাবে নির্ধারিত তারপরও তারা সারা বছর ডিসকাউন্ট দেয়। তেলের দাম কমায়, বাসভাড়া সমন্বয় করা হবে, সেটি নিয়ে আজকে কথা হয়েছে। মালিকরাও বলেছেন, মন্ত্রীও বলেছেন- এটি নিয়ে কথা বলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।‘
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘তেলের দাম কমায় মালিকসহ সবাই সম্মত হয়েছেন, যে পরিমাণ দাম কমেছে সেটি তারা সমন্বয় করে নেবেন। তারা যে ডিসকাউন্টটা দেন সারা বছর, ঈদে সেটি দেন না। বিআরটিএর মাধ্যমে নির্ধারিত ভাড়াটিই তখন তারা নেন। তিনি কনসিডার করতে বলেন সব সময় বাসটা খালি ফেরত আসে, সেটির একটা খরচ আছে। সেই খরচটা অনেক মালিক নিয়ে থাকেন।‘