কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২৪ ১৭:৪৯ পিএম
আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২৪ ১৯:৩৭ পিএম
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। ফাইল ফটো
দেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশের আগে তার প্রভাব কী হবে, তা অনুধাবন করার পরামর্শ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ নিয়ে কোনো নেতিবাচক খবর বাইরের দেশের গণমাধ্যম যত বড় করে প্রকাশ করে তার চেয়ে কয়েকগুণ বড় করে প্রকাশ করে দেশের গণমাধ্যম। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। আন্তর্জাতিক কোনো ভূঁইফোড় সংগঠন বাংলাদেশ নিয়ে নেতিবাচক খবর করলে দেশীয় গণমাধ্যম সেটি ফলাও করে প্রচার করে। সংবাদ অবশ্যই প্রকাশ করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে সেটি যেন নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে।
রবিবার (৩১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমকে দেশের ইতিবাচক দিক বহির্বিশ্বে তুলে ধরতে হবে। গণতান্ত্রিক দেশে সরকারের সমালোচনা অবশ্যই হবে। তবে তা যদি দেশ বিধ্বংসী সমালোচনা হয়, সেটি কাম্য নয়। আর দেশকে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরার মধ্যে কোনো কৃতিত্ব নেই।
দেশ নিয়ে নেতিবাচক কথা বলে আন্তর্জাতিক তহবিল সংগ্রহ করে কিছু ব্যক্তি নিজের মতো খরচ করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, দেশ নিয়ে নেতিবাচক কথা বলতে ব্যস্ত রয়েছে একটি মহল। দেশকে নেতিবাচকভাবে বিশ্বপরিমণ্ডলে তুলে ধরা কিছু ব্যক্তির পেশায় পরিণত হয়েছে। এগুলো করে তারা আন্তর্জাতিক তহবিল সংগ্রহ করে নিজের মতো ব্যয় করে। গণতান্ত্রিক দেশে সরকারের সমালোচনা অবশ্যই হবে। তবে তা যদি দেশ বিধ্বংসী সমালোচনা হয়, সেটি কাম্য নয়।
মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে কিছু সংগঠনের রিপোর্ট খুব বড় করে দেশে প্রচার করা হয়। এভাবে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য করা কঠিন হয়। কূটনৈতিক সম্পর্ক গভীর করতে অন্তরায় তৈরি করে। নেগেটিভ নিউজ ক্রমাগতভাবে হলে, সুদূর প্রসারী প্রভাব পড়ে সবখানে। কোনো সংবাদ প্রকাশের আগে তার প্রভাব কী হবে, তা অনুধাবন করতে হবে।
বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে অভিযোগ করে মন্ত্রী বলেন, তাদের দলের নেতা বিদেশে থেকে পেইড এজেন্টের মাধ্যমে দেশ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালায়। আর দেশের মানুষ সেটি দেখে বিভ্রান্ত হয়। তারা পদ্মা সেতু নিয়ে গুজব ছড়িয়েছিল, করোনার টিকা নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছিল। এখন আবার শুরু করেছে ভারতীয় পণ্য বর্জন। এগুলোর বিরুদ্ধে মূলধারার গণমাধ্যমকে সোচ্চার হতে হবে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ভালো ভাবমূর্তি অর্জনে দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির খবর তুলে ধরা দরকার। বিভিন্ন অর্জনের খবর দেশের মানুষ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মানুষকে জানাতে হবে।