সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৪ ১৬:১০ পিএম
আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৪ ১৯:৪৪ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে নিজের বাসায় পুলিশের গুলিতে নিহত উইন রোজারিও। সংগৃহীত ফটো
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে নিজের বাসায় পুলিশের গুলিতে উইন রোজারিও নামের এক বাংলাদেশি তরুণ নিহত হওয়ার ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ঘটনা জানার পর নিহত তরুণের বাসায় গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন নিউইয়র্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে প্রতীয়মান হয়– পুলিশের গুলি করার প্রয়োজন ছিল না।
স্থানীয় সময় বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে নিউইয়র্কে ওজোনপার্কে ১০৩ স্ট্রিট ও ১০১ অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত নিজ বাসায় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান গাজীপুরের ছেলে উইন রোজারিও। সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ দাবি করে, মানসিক যন্ত্রণায় ছিলেন তরুণ। তার বাসা থেকে কল দেওয়ার পর পুলিশ গেলে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ, বিশৃঙ্খলা ও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। রোজারিওকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় গুলি ছুড়তে বাধ্য হয় পুলিশ।
তবে তরুণের ছোট ভাই উশতো রোজারিও পুলিশের দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, গুলি ছোড়ার আগে পুরোটা সময় তার মা ভাইকে জাপটে ধরে রেখেছিলেন। এমনকি ভাইকে ধরে রাখা অবস্থায়ই গুলি ছোড়ে পুলিশ। এই গুলি ছোড়ার কোনো প্রয়োজন ছিল না।
এ ব্যাপারে শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছি।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্তে পুলিশের ‘ওভার-রিএকশন’ বা দোষ প্রমাণিত হলে কর্তৃপক্ষ অবশ্যই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন বলে আমরা আশা করি।’
মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের মধ্যে আজ ভোরে বান্দরবান সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন তিন সামরিক কর্মকর্তা। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের মেজর, ক্যাপ্টেন ও সার্জেন্ট র্যাংকের তিন সামরিক সদস্য নতুন করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তারা বিজিবির হেফাজতে আছে। এ তিনজনসহ বাংলাদেশে ঢুকে পড়া মিয়ানমারের সব সামরিক সদস্যকে খুব শিগগিরই নৌপথে ফেরত পাঠানো হবে।’
সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে থাকা বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জলদস্যুদের কবল থেকে নাবিকদের নিরাপদে উদ্ধার ও জাহাজকে মুক্ত করার জন্য সোমালিদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। খুব শিগগিরই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে, আশা করি। বাংলাদেশি নাবিকরা সবাই কেবিনে আছেন, ভালো আছেন। তাদের ওপর জলদস্যুরা কোনো নির্যাতন করছে না।’