প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৪ ২১:২৪ পিএম
আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৪ ২১:৩৯ পিএম
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ফাইল ফটো
সম্প্রতি ভারতীয় পণ্য বয়কটের যেসব ঘোষণা বিভিন্ন মহল থেকে আসছে তা কেবলই পলিটিক্যাল স্ট্যান্টবাজি বলে মনে করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এছাড়া ভারতীয় পণ্য বয়কট নিয়ে বিএনপি নেতাদের ভূমিকারও সমালোচনা করেন সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বর্জন নিয়ে বিএনপির আন্দোলন অবান্তর এবং শুধুমাত্র বাহবা পাওয়ার জন্য পলিটিক্যাল স্ট্যান্ট। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে এসব আন্দোলন দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না।’
শুক্রবার (২৯ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক পরবর্তী মতবিনিময়সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি নাবিকদের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। এমনকি কমিটির বৈঠকেও বিষয়টি উঠে এসেছে। নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে। শিগগিরই একটি ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈঠকে সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে মালিকপক্ষের সঙ্গে দস্যুদের আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। খুব শিগগিরই সমাধান হবে বলে সভায় কমিটিকে অবহিত করা হয়।’
এই সভায় প্রবাসীদের নানাবিধ সংকট উত্তরণের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, ‘তার মধ্যে একটি ইস্যু হলো- প্রায়ই আমরা প্রবাসীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাই। আপনারা জানেন, বিদেশে চলা সবগুলো মিশনের একজন প্রধান ইনস্পেক্টর আছেন। আমরা সুপারিশ করেছি প্রত্যেক মাসে প্রবাসীদের কাছ থেকে কতগুলো এবং কী অভিযোগ আসে তার বিবরণ যেন আমাদের জানানো হয়।’
কোনো কোনো বাংলাদেশের দূতাবাস না থাকা নিয়ে তিনি বলেন, ‘যেসব দেশে দূতাবাস নেই, সেসব দেশে অনারারি কাউন্সিল খোলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ব্যবস্থা, বিদেশি পার্লামেন্টারি ডেলিগেশনের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের আয়োজন এবং আন্দামান দ্বীপপুঞ্জসহ বিভিন্ন দেশের কোনো কোনো জেলে কত বাংলাদেশি বন্দী আছে এবং মুক্তির বিষয়ে মিশনগুলো কী করেছে সেসবের বিবরণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’
সংসদীয় কমিটির সভাপতি বলেন, ‘বর্তমানে মানবাধিকার বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন উইংয়ের পাশাপাশি আমরা সুপারিশ করেছি যেন মানবাধিকারবিষয়ক উইং খোলা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন দেশে দূতরা যখন ট্রান্সফার হন তখন তিনি দূতাবাসের নম্বরটি সঙ্গে করে নিয়ে যান। ফলে সেবাগ্রহীতারা তৎক্ষণাৎ সেবা পান না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করার জন্য একটি ইউনিক ফোন নম্বর তৈরি করার বিষয়টিও আলোচনায় উঠে এসেছে।’
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসীসহ বাংলাদেশি নাগরিক বন্দী আছেন তার প্রকৃত সংখ্যা জানানোর পাশাপাশি তাদের মুক্তির বিষয়ে দূতাবাসগুলো কি উদ্যোগ নিয়েছে তাই জানতে চাওয়া হয়েছে বলে ড. মোমেন।