প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৪ ১৯:২৮ পিএম
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৪ ১৯:৫৮ পিএম
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সচিবালয়ে অফিসকক্ষে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
বাংলাদেশে বস্ত্র ও পাট খাত অত্যন্ত সম্ভাবনাময় খাত উল্লেখ করে চীনের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে এ খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, ‘পাট ও পাটজাত পণ্য পরিবেশবান্ধব। বাংলাদেশে বস্ত্র ও পাট খাত অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। এ খাতে বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরা ইতোমধ্যে বিনিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। চীনের বিনিয়োগকারীরাও এ খাতে বিনিয়োগ করতে পারেন।’
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর সচিবালয়ে অফিসকক্ষে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। সেখানে তাকে এ আহ্বান জানান নানক।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চীনে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি বাড়াতে চাই। তিনি (চীনের রাষ্ট্রদূত) আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের চীনে প্রশিক্ষণ ও স্কলারশিপের সুযোগ বাড়ানোর অনুরোধ করেন।’
এ সময় চীনা রাষ্ট্রদূত ও ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশ জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান মন্ত্রী।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। চীন আমাদের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী।’
‘বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা চতুর্থ মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার পর চীন সর্বপ্রথম অভিনন্দন জানিয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সরকারের এ মেয়াদেও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চীনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে চীনের রাষ্ট্রদূত অবহিত করেছেন,’ যোগ করেন নানক।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চীনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে : ইয়াও ওয়েন
সাক্ষাৎকালে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, চীনের বিনিয়োগকারীর বস্ত্র ও পাট খাতে বিনিয়োগ করবেন। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের সম্ভব্যতা যাচাইয়ের জন্য আজকে আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছি। এর ফলে টেক্সটাইল ও পাটজাত পণ্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে আশা করি।’
এ সময় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চীনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। একই সঙ্গে আগামী নভেম্বরে চীনে অনুষ্ঠেয় টেক্সটাইল এক্সপোতে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ করে পণ্য প্রদর্শনের আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ থেকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের চীনে প্রশিক্ষণের বিষয়টি উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের প্রশিক্ষণ ও ইন্টার্নশিপের ব্যাপ্যারে সহযোগিতা বাড়ানো হবে।’
বৈঠকে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে আমদানি ও রপ্তানি গ্যাপ কমিয়ে আনার ব্যাপারে উভয় পক্ষ একমত পোষণ করে।