সাভার প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৪ ১৩:১০ পিএম
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৪ ১৩:৩৮ পিএম
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা জানানোর পর সকাল ৬টার দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা সর্বস্তরের মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়। প্রবা ফটো
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। প্রতি বছর মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতির শহীদ বীর সন্তানদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে পুরো জাতি।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
শ্রদ্ধা জানানো শেষে অন্য আনুষ্ঠানিকতার পর সকাল ৬টার কিছু সময় পর সৌধ এলাকা ত্যাগ করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এর পরেই স্মৃতিসৌধ এলাকা সর্বস্তরের মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
এরপর ফুলের ডালা নিয়ে জাতির বীর সেনানিদের শ্রদ্ধা জানাতে সাধারণ মানুষের ঢল নামে সৌধ প্রাঙ্গণে।
শিশু-ছেলে-বুড়োসহ সব বয়সি মানুষের আগমনে মুখর হয়ে ওঠে সৌধ প্রাঙ্গণ। বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, আধা-সরকারি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ মানুষ। তাদের ফুলেল শ্রদ্ধায় ভরে ওঠে শহীদ বেদি।
স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে যুদ্ধাহত অনেক মুক্তিযোদ্ধাও এসেছেন শ্রদ্ধা জানাতে। তাদের অনেকের হাতে শোভা পায় লাল-সবুজের বিজয় পতাকা।
বাবা নয়ন হাওলাদারের হাত ধরে গাজীপুর থেকে স্মৃতিসৌধে এসেছে শিশু মিথিলা। সন্তানকে স্বাধীনতা দিবস ও স্মৃতিসৌধ দেখাতে নিয়ে তিনি।
সাভার থেকে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী আকরাম হেসেন। তিনি বলেন, এবার রোজার কারণে স্মৃতিসৌধে লোকজন তুলনামূলক অনেক কম এসেছে। আমি পরিবার নিয়ে ঢাকা থেকে ভোর বেলায় এসেছি। আমার অফিসের অনেক কলিগ সেহরির পর পরেই ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছে। সকালে স্মৃতিসৌধে সবাইকে নিয়ে ফুল দিতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।
সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইভা বলেন, আজ বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসব এটা অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম। আমরা কয়েকজন একসঙ্গে স্মৃতিসৌধে এসেছি। স্বাধীনতা দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে পেরে ভালো লাগছে।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের গণপূর্তের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, সকালে জনসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করার পর দলে দলে মানুষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। শ্রদ্ধার ফুলে ধীরে ধীরে বেদি ভরে যাচ্ছে। তবে শ্রদ্ধা নিবেদনের সুবিধার্থে বেদি থেকে ফুল অপসারণ করা হচ্ছে।
এদিকে নিরাপত্তার স্বার্থে স্মৃতিসৌধসহ আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।