প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৪ ২০:১৯ পিএম
আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৪ ২০:৩৬ পিএম
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল ইসলাম। ফাইল ফটো
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করতে হলে পরিপূর্ণ ডকুমেন্ট তৈরি করতে হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় শুধু বক্তব্য দেয়, আর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বাড়ায়। কিন্তু এটা নিয়ে কোনো কাজ করেত দেখি না।’
শনিবার (২৩ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বাংলাদেশে জেনোসাইড ১৯৭১-এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধপরবর্তী বৃহত্তম গণহত্যার ব্যাপারে পশ্চিমা বিশ্বের নীরবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ৭১’ নামের একটি সংগঠন।
শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে এগিয়ে এসে টাইমফ্রেম নির্ধারণ করে একটি প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দায়িত্বরত বাংলাদেশ দূতাবাস ওইসব দেশে যারা জেনোসাইড নিয়ে কাজ করে তাদের এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের নিয়ে এসে এসব গণহত্যার অডিও-ভিডিও দেখিয়ে তাদের সমর্থন আদায় করতে হবে। তাহলে স্বীকৃতি আদায়ের দাবি আরও জোরদার হবে।’
সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ৭১-এর সভাপতি নূরুল আলমের সভাপতিত্বে ও রাষ্ট্রদূত কামালউদ্দিনের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিসের পরিচালক ড. সঞ্জীব হোসেন।
আরও বক্তব্য দেন গণহত্যাবিষয়ক গবেষক ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ কূটনীতিক মুন্সি ফয়েজ আহমেদ, লেখক ও গবেষক হারুন হাবীব, আমরা একাত্তরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোসাইড স্টাডি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে নূরুল আলম বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এত বড় গণহত্যা ও মানব নির্যাতনের ঘটনা পৃথিবীর কোথাও ঘটেনি। ৫০ বছর পরও আমরা ভাবছি– কীভাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে আসা যায়। জেনোসাইডের স্বীকৃতি আদায়ের জন্য কেবল বক্তব্য দিয়ে বা লিখলেই হবে না, এজন্য ডকুমেন্ট তৈরি করে প্রদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই পাকিস্তানি ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী সামরিক বাহিনীর সদস্যের বিচারপক্রিয়া আমাদের দেশের আন্তর্জাতিক অপরাদ ট্রাইব্যুনালে শুরু হোক। আমাদের নৈতিক দায়িত্ব আছে তাদের বিচার করার। আন্তর্জাতিকভাবে কখন কে কতটুকু স্বীকৃতি দেবে, কখন এটার পক্ষে বিশ্ব মানবতা দাঁড়াবে, কখন পাশ্চাত্য দাঁড়াবে– সেজন্য অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই।’