× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

মশার উপদ্রব দেশজুড়েই

ফয়সাল খান

প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৪ ০৯:৪৫ এএম

আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৪ ১০:৫২ এএম

মশার উপদ্রব দেশজুড়েই

মশা মারতে কামান দাগা- এই বাগধারার ব্যবহার হয় তুচ্ছার্থে। অর্থাৎ মশা অতি সামান্য প্রাণী, সেটা মারতে এত হাঁকডাকের কি আছে! কিন্তু মশাকে সামান্য জ্ঞান করাটা যে কত ভয়ঙ্কর হতে পারে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। দিনের পর দিন নানা কার্যক্রম আর কোটি কোটি টাকা খরচ করেও মশার উপদ্রব কমাতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ খাতে প্রতি বছর খরচের পাল্লা ভারী হলেও কমছে না মশা। ব্যাপারটা এমন দাঁড়িয়েছে, মশার বাজেট যত বাড়ে মশাও তত বাড়ে। আর সেটা ক্রমেই হয়ে উঠছে আরও প্রাণঘাতী। বিশেষ করে গত কয়েক বছর ডেঙ্গু নিয়ে ঘরে ঘরে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিপুল অর্থ খরচ করা হলেও মশক নিধনের কাজটি সঠিকভাবে হচ্ছে না বলেই প্রতিকার মিলছে না এমন অভিযোগ সবার। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে রয়েছে অনিয়মের বিস্তর অভিযোগ। কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে মশার দাপট নগর, বন্দর ছাড়িয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও চরম আকার ধারণ করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

মশক নিধনে সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকায় কিছু কার্যক্রম থাকলেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তা নেই বললেই চলে। যেসব এলাকায় নামমাত্র মশক নিধন কার্যক্রম চলে তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। বেশিরভাগ এলাকায় ফগার মেশিনের মাধ্যমে সনাতন পদ্ধতিতে মশা তাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। তার তেমন একটা সুফল মেলে না। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে এক অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামও এই পদ্ধতিকে ভুল বলে আখ্যায়িত করেন। সেখানে তিনি বলেন, এতদিন ভুল পদ্ধতিতে মশক নিধন কার্যক্রম চালানো হয়েছে। অথচ এখনও সেই ভুল পথেই হাঁটছে ডিএনসিসিসহ দেশে মশক নিধনের দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলো। এই পদ্ধতিতে দিন-রাত ওষুধ ছিটালেও মশক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, বিষয়টিকে গুরুত্ব দিলে এতদিনে কার্যকর পদ্ধতিতেই মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা যেত। শুধু ওষুধ ছিটিয়েই মশা ধ্বংস করা যাবে না। এর জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা প্রয়োজন। বিশেষ করে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনায় পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে। কেননা প্রজননের উপযুক্ত পরিবেশ না পেলে মশা বংশবৃদ্ধি করতে পারবে না। কিন্তু উল্টো পথে মশা মারতে গিয়ে হ-য-ব-র-ল অবস্থা তৈরি হচ্ছে।

সারা দেশেই মশার রাজত্ব

শুধু রাজধানী নয়, সারা দেশেই এখন মশার উপদ্রব। সরকারের পক্ষ থেকে যে বরাদ্দ দেওয়া হয় তার সিংহভাগই রাজধানীসহ সিটি করপোরেশন এলাকায়। পৌর এলাকায় নামমাত্র কর্মসূচি থাকলেও গ্রামপর্যায়ে তা নেই বললেই চলে। আর নগর এলাকায়ও ওষুধ ছিটানো হয় এলাকার গুরুত্ব বুঝে। এক্ষেত্রে বস্তি ও নিম্ন আয়ের এলাকার মানুষের বাসস্থল প্রাধান্য পায় না। 

চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, খুলনা, কুমিল্লা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ থেকে প্রতিদিনের বাংলাদেশের প্রতিবেদকদের পাঠানো প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সেখানকার অধিবাসীরা। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো নানা উদ্যোগের কথা জানালেও মশার কামড় থেকে মুক্তি পাচ্ছে না তারা। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করেও মশার কামড় থেকে রেহাই পাচ্ছে না। কোনো কোনো এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানো হলেও তাতে মশা মরে না বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছে। 

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ভিআইপিদের বসবাসের এলাকা ছাড়া অন্যান্য এলাকায় তেমন একটা ওষুধ ছিটানো হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, যে হারে মশা বাড়ছে সেভাবে নিয়ন্ত্রণের কাজ করতে পারছি না। আপাতত ডিসির বাংলোসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ওষুধ স্প্রে করছি। প্রতিদিন দুটি ওয়ার্ডে স্প্রে করা হয়। 

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন বলেন, নগরীতে মশার উৎপাত অনেকে বেড়েছে। আমরা আপাতত ডিসি ও এসপি অফিসে মশার ওষুধ দিচ্ছি। কিছু দিনের মধ্যে বাকি এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানো হবে। 

সব উদ্যোগই ব্যর্থ

রাজধানীতে মশা মারতে রোড শো, পরিচ্ছন্নতা ও মশককর্মীদের শরীরে অত্যাধুনিক বডি ক্যামেরার সংযোজন, বিটিআই নামের ব্যাকটেরিয়া আমদানি, হাঁস, পাখি, গাছ ও পাপ্পি মাছ চাষের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তা ছাড়া ড্রোন দিয়ে মশার উৎস খোঁজার কাজও করেছে সিটি করপোরেশন। তবে এসব উদ্যোগের কোনোটিই সফল হয়নি। অথচ এসব কার্যক্রমের পেছনে হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন।

হিসাব করে দেখা গেছে, ২০১১ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশন থেকে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণে বিভক্ত হওয়ার পর ১২ বছরে মশা মারতে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। বছরে গড়ে অন্তত ১০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই খরচ আরও বেড়েছে। 

গবেষণায় জানা যায়, গত চার মাসে রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় কিউলেক্স মশার ঘনত্ব দ্বিগুণ হয়েছে। কিউলেক্স মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নগরবাসী। অফিস, বাসাবাড়ি বা দোকান, কোথাও স্বস্তি নেই। নগরবাসীর অভিযোগ, সিটি করপোরেশনের গাফিলতি, কার্যকরী ওষুধ ব্যবহার না করা, ঠিকমতো ওষুধ না ছিটানো ও মশার প্রজননক্ষেত্র চিহ্নিত করে ধ্বংস করতে না পারার কারণেই মশার উৎপাত কমছে না। 

যাত্রাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম বলেন, মশার জন্য কোনো কাজই শান্তিতে করা যায় না। দিনে-রাতে সব সময় মশা। আমরা তো মশা বসলে টের পাই বা মারতে পারি, কিন্তু বাচ্চা নিয়ে বিপাকে পড়েছি। প্রতিদিনই দেখি আমার এক বছর বয়সি বাচ্চার শরীর মশার কামড়ে লাল হয়ে থাকে।

উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা কামরুন্নাহার বলেন, এত পরিমাণ মশা যে, অনেক সময় নাকে-মুখে এসে লাগে। সন্ধ্যা হলেই বাচ্চাদের মশারির ভেতর ঢুকিয়ে দিই। কিন্তু দিনের বেলায় তো ঠিকই কামড় খেতে হয়। 

মিরপুর ৬০ ফিট এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ সহা বলেন, মশা তো দিনে-রাতে সমানে কামড়ায়। কিন্তু আমাদের এলাকায় একদিনও ওষুধ ছিটাতে দেখিনি। 

এডিস মশা নিধনে বরাদ্দ ৪০ কোটি টাকা

ডেঙ্গু রোগের বাহক প্রাণঘাতী এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সরকার দেশের সিটি করপোরেশনগুলোতে ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে এ বরাদ্দ দেওয়া হয়। ডেঙ্গু মোকাবিলা ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শক্তিশালী করার জন্য ৩২ কোটি টাকা এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচার ও বিজ্ঞাপন ব্যয়ের জন্য ৮ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

মশা মারতে আরও ২০০ কোটি 

২০২৩-২৪ অর্থবছরে ডিএনসিসির মশা মারার বাজেট ১২১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। আর ডিএসসিসির ৪৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এর বাইরে মশক নিবারণী দপ্তর কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও অফিস রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ আলাদা অর্থ খরচ হয়ে থাকে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বাবদ আলাদা অর্থ খরচ করে। তা ছাড়া দেশের অন্য ১০টি সিটি করপোরেশন, ৩২৯টি পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদসহ অন্যান্য সংস্থা মশক নিধনে অর্থ ব্যয় করে থাকে। সব মিলিয়ে মশা মারতে বছরে অন্তত ২৫০ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। কিন্তু এত টাকা খরচের সুফল পাচ্ছে না নগরবাসী। ফলে মশার কামড়ে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে নাগরিকরা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, শুধু ডেঙ্গুতেই গত বছর ১ হাজার ৭০৫ জন মারা গেছে। এর আগে ২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এ রোগে ৮৪৯ জনের মৃত্যু হয়। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ১ হাজার ৬১৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। এ সময়ে মারা গেছে ২১ জন।

এবার মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি হওয়ায় এডিস মশার প্রকোপ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন গবেষকরা। এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘মৌসুমের প্রথম দিকের বৃষ্টি ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটাবে। তাই মশার সম্ভাব্য প্রজননস্থলগুলো চিহ্নিত করে তা ধ্বংস করতে স্থানীয় সরকারের সব সংস্থা ও সব জেলা প্রশাসককে এখনই এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া উচিত।’

যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সাবেক সভাপতি কীটতত্ত্ববিদ মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ডেঙ্গুর বিস্তার ঠেকাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। আক্রান্ত রোগীদের মশারি ব্যবহার করা উচিত, যাতে ভাইরাসটি আরও ছড়িয়ে না যায়।

তিনি বলেন, বর্ষায় ক্লাস্টারগুলো শনাক্ত করা এবং ধ্বংস করা কঠিন হয়ে পড়ে। মশার বিস্তার রোধে জনসচেতনতামূলক প্রচারণাও জরুরি। দুর্ভাগ্যবশত এখনও পর্যন্ত এ ধরনের প্রচেষ্টার কোনো লক্ষণ নেই।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, নগর পরিকল্পনায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে। অপরিচ্ছন্ন নগরে মশা জন্মাবে, এটাই স্বাভাবিক। মশা নিয়ন্ত্রণে ওষুধের চেয়ে অনেক কার্যকর উপায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে পারলে যতটুকু মশা থাকবে তার জন্য লার্ভিসাইট (মশার লার্ভা ধ্বংস করার ওষুধ) দিলেই যথেষ্ট।

মশার জেনেটিক পরিবর্তনের কারণে কাজ করছে না ওষুধ

এদিকে জাপান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মশার জেনেটিক পরিবর্তনের কারণে ওষুধ এখন আর কাজ করছে না। দেশটির বিজ্ঞানী শিনজি কাশাই এবং তার দল এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ থেকে মশার নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করে দেখে, মশার বেশ কয়েকটি প্রজাতি মিউটেশনের মাধ্যমে জনপ্রিয় মশা নিধনকারক পাইরিথ্রয়েডভিত্তিক রাসায়নিক যেমন পারমেথ্রিনের কার্যকারিতাকে বিনষ্ট করে দিয়েছে। সোজা কথায় বললে, মশা এই রাসায়নিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।

কাশাই বলেন, ‘কম্বোডিয়ায় এডিস ইজিপ্টি মশার প্রজাতির ৯০ শতাংশই মিউটেশনের মাধ্যমে অত্যন্ত উচ্চ স্তরের প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করেছে। কিছু কিছু প্রজাতির মশার প্রতিরোধ ক্ষমতা আগের চেয়ে হাজার গুণ বেড়েছে। আগে যেসব রাসায়নিক প্রয়োগ করলে প্রায় শতভাগ মশা মারা যেত, বর্তমানে সেই একই রাসায়নিক প্রয়োগে মাত্র ৭ শতাংশ মশা মারা যায়। এমনকি সেই রাসায়নিকের ডোজ ১০ গুণ বাড়ানো হলেও তা কেবল ৩০ শতাংশ মশা মারতে সক্ষম হবে। 

ড. কাশাই এবং তার দলের গবেষণা থেকে দেখা গেছে, বিদ্যমান কীটনাশকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে মশার প্রজাতিগুলো জেনেটিক পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। যেমন গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, এডিস ইজিপ্টি মশার প্রজাতির বেশ কয়েকটি জেনেটিক পরিবর্তন হয়েছে প্রতিরোধ সংশ্লিষ্ট, যা কি না বাজারে বিদ্যমান পাইরিথ্রয়েড এবং অন্যান্য কীটনাশকের বিরুদ্ধে তাদের সুরক্ষা দেয়।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যা বলছে

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, পৃথিবীতে এডিস মশা বা ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি। এটা হচ্ছে ডেঙ্গু প্রতিরোধের ৯০ শতাংশ হাতিয়ার আর বাকি ১০ শতাংশ টেকনিক্যাল বা ওষুধের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির বলেন, মার্চ মাসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি এলাকায় মশক পরিস্থিতি যেকোনো বছরের তুলনায় ভালো রয়েছে। পরিস্থিতি আমাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। এখন কিউলেক্স মশা বেশি হয়ে থাকে। মশার বিস্তার কমাতে আমাদের মশা নিধনকর্মীরা কাজ করছেন। মশার বংশবিস্তার কমাতে খাল, ডোবা, নালা, ড্রেন পরিষ্কার করা হচ্ছে। সামনে ডেঙ্গুর মৌসুম। আমরা সতর্ক আছি।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, মশা নিধনে আমাদের নানা ধরনের চেষ্টা অব্যাহত আছে। তবে এর সঙ্গে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ও খাল-বিলের সম্পর্ক আছে। উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় তিন হাজার বিঘার মতো জলাশয় আছে। এগুলোর অধিকাংশ রাজউক, পিডিবিসহ আরও কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানের। যেগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা তাদের দায়িত্ব।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা