প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৪ ১৪:০৫ পিএম
আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৪ ১৬:৩৫ পিএম
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশের পণ্যবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। ছবি : সংগৃহীত
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে ২৩ নাবিকসহ জিম্মি বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ উদ্ধারে অভিযান চালাতে প্রস্তুত সোমালিয়া ও কয়েকটি বিদেশি নৌবাহিনী। সোমবার (১৮ মার্চ) সোমালিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাতে এমনটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার বা জাহাজটির মালিকপক্ষের মত এখনও জানা যায়নি।
সোমালিয়ার উত্তর-পূর্ব দিকের অঞ্চল পুন্টল্যান্ডের পুলিশের বরাতে রয়টার্স জানায়, জলসদ্যুরা গত সপ্তাহে বাংলাদেশের মালিকানাধীন যে বাণিজ্য জাহাজটি জিম্মি করেছে সেটি উদ্ধারে অভিযান পরিচালনার জন্য প্রস্তুত হয়েছে সোমালিয়া পুলিশ ও কয়েকটি দেশের নৌবাহিনী।
কিন্তু কোন কোন দেশের নৌবাহিনী অভিযানে অংশ নিতে যাচ্ছে সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে দুই দিন আগে শনিবার সোমালিয়ার জলদস্যুদের থেকে মাল্টার পতাকাবাহী এমভি রুয়েন নামের একটি পণ্যবাহী জাহাজ উদ্ধার করেছে ভারতের নৌবাহিনী। জাহাজটি থেকে ১৭ নাবিককে উদ্ধার করা হয়েছে। জাহাজটিতে থাকা ৩৫ জলদস্যুর সবাই আত্মসমর্পণ করেছে। গত ডিসেম্বরে এটি ছিনতাই হয়েছিল।
এমভি আব্দুল্লাহ ছিনতাইয়ে এমভি রুয়েন ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে ধারণা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
তাই এমভি আব্দুল্লাহর সম্ভাব্য উদ্ধার অভিযান বিষয়ে জানতে ভারতের নৌবানীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। কিন্তু তারা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
সোমালিয়ার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পুন্টল্যান্ড জলদস্যুদের আস্তানা হিসেবে পরিচিত। রবিবার এক বিবৃতিতে অঞ্চলটির পুলিশ জানায়, তারা সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। এমভি আব্দুল্লাহকে উদ্ধার করতে অভিযান পরিচালনার জন্য তারা প্রস্তুত। আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী অভিযান পরিচালনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন তথ্য পাওয়ার পর তারা প্রস্তুত হয়েছে।
এমভি আব্দুল্লাহতে অবস্থানকারী দস্যুদের জন্য ‘খাত’ নামের মাদক সরবরাহের সময় একটি গাড়ি জব্দের দাবি করেছে পুন্টল্যান্ডের পুলিশ। অর্থাৎ এমভি আব্দুল্লাহ জিম্মিকারী জলদস্যুদের বিষয়ে তাদের হাতে সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে।
রয়টার্সের তথ্যমতে, সোমালিয়ার জলদস্যুরা ২০১১ সালে সবচেয়ে বেশি জাহাজ ছিনতাই করেছিল। ছিনতাইয়ের এসব ঘটনায় ওই বছর বিশ্ব অর্থনীতির প্রায় ৭০০ কোটি ডলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এ অর্থের মধ্যে শত শত ডলারের মুক্তিপণও রয়েছে।
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠান কবির স্টিল অ্যান্ড রি-রোলিং মিলের (কেএসএরএম) সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লাইন্সের মালিকানাধীন ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামক পণ্যবাহী জাহাজটি ২৩ নাবিকসহ জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা।