বিজয় এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুতি
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৪ ২১:১৩ পিএম
আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৪ ২১:২৯ পিএম
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে রবিবার লাইনচ্যুত হয় বিজয় এক্সপ্রেস। প্রবা ফটো
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের লাইনচ্যুতির ঘটনা ফিশপ্লেট খুলে ফেলার কারণেই বলে দাবি করেছেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি ফিশপ্লেট খুলেছিলেন তিনি ধাওয়া খেয়ে ব্যাগ ফেলে পালিয়ে গেছেন। তার আইডি কার্ডসহ কাগজপত্র পাওয়া গেছে। তিনি মূলত কিছু টাকার বিনিময়ে এই কাজ করেছেন।’
সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সুধীসমাজের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা জামালপুর অভিমুখী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি রবিবার দুপুরে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বড় ধরনের দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। এতে ট্রেনটির ৯টি বগি লাইনচ্যুত হলেও সৌভাগ্যক্রমে কোনো যাত্রী প্রাণ হারায়নি। হাসানপুর স্টেশনসংলগ্ন তেজের বাজার এলাকার এ ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রতিদিনের বাংলাদেশ। এতে বলা হয়, ঘটনাটি নিছক দুর্ঘটনা নয়- নাশকতা। কারণ ঘটনাস্থলের পাশেই কয়েকজন শিশু-কিশোরকে রেললাইনের নাটবল্টু খুলতে দেখা গেছে এবং ফেলে যাওয়া একটি ব্যাগ থেকে এর কিছু আলামতও উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘আগুনসন্ত্রাসী বিএনপি ও তাদের সমর্থনকারী জামায়াত এই কাজগুলো করে। এগুলো করে তারা জনসমর্থন পাচ্ছে না। বরং জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে। তারা জানে মানুষ তাদের ভোট দেবে না, সেজন্যই এসব অপকর্ম করছে। রাজনীতি করার প্রথম শর্ত দেশকে ভালোবাসতে হবে।’
রেলের ভাড়া বাড়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপাতত ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। এটি গুজব। জনগণ জানে কারা গুজব সৃষ্টি করে, কারা ট্রেনে আগুন দেয়, রেললাইনকে ধ্বংস করে। বিএনপির কাজই ষড়যন্ত্র করা। কিছু দিন আগে গোপীবাগে ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল বিএনপি। যেটা পুরো জাতি দেখেছে। যিনি আগুন ধরিয়েছেন তিনি নিজেই সব স্বীকার করেছেন।‘
ঈদের টিকিট কালোবাজারি রোধ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আসন্ন ঈদে টিকিট কালোবাজারি রোধে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে কাজে লাগানো হবে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সহজ ডট কমের সার্ভারের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। টিকিট অনলাইনে ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে যায়। আমরা এবার প্রতিটি টিকিটের মোবাইল নম্বর যাচাই করব। প্রতিদিনের তালিকা অনুযায়ী এনআইডি নম্বরগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। ট্রেনের টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে কোনো রকম অনিয়ম ধরা পড়লেই তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।’