প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৪ ১৬:১১ পিএম
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৪ ১৭:২৬ পিএম
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরোর অডিটোরিয়ামে ‘জাতীয় শিশুশ্রম ২০২৩’ এর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রবা ফটো
দেশে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা ১০ লাখ ৭০ হাজার ২১২ জন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরোর অডিটোরিয়ামে ‘জাতীয় শিশুশ্রম ২০২৩’ এর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
শিশুশ্রম জরিপ-২০২৩’র ফলাফলে দেখা গেছে, দেশে ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সি শিশুর সংখ্যা ৩ কোটি ৯ লাখ ৯৬ হাজার। তাদের মধ্যে শিশুশ্রমিক রয়েছে ৩৫ লাখ ৪০ হাজার। ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা ১০ লাখ ৭০ হাজার শিশু। তবে শহরের তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বেশি।
বিবিএসের জরিপে বলা হয়, গ্রামীণ এলাকায় ২৭ লাখ ৩০ হাজার শিশু, আর শহর এলাকায় ৮ লাখ ১০ হাজার শিশু শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। একইভাবে ঝুঁকিপূর্ণ কাজেও শহরের তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় বেশি কাজ করতে দেখা গেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সি শিশুদের জনসংখ্যার পরিসংখ্যান বিষয়ক তথ্য রয়েছে। এ বয়সের মোট শিশু জনসংখ্যা ৩ কোটি ৯ লাখ ৯৬ হাজার। যেখানে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সি ৫৫ দশমিক ২ শতাংশ। দেশে ২ কোটি ৭ লাখ ৬৩ হাজার খানায় ৫-১৭ বছর শ্রমজীবী শিশু রয়েছে এবং স্কুলে উপস্থিতির হার বর্তমানে ৩৪ দশমিক ৮১ শতাংশ।
জরিপ থেকে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, দেশে শিশু শ্রমিকের ৮২ শতাংশ। তাদের নিজস্ব বাড়িতে বসবাস করে; উৎপাদনে ৩৩ দশমিক ৩ শতাংশ এবং কৃষি, বনায়ন এবং মাছ ধরায় ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ নিযুক্ত রয়েছে। সামগ্রিকভাবে শিশুশ্রমিক কর্মচারী হিসেবে শ্রেণিভুক্ত ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ এবং স্কুলে যায় ৫২ দশমিক ২ শতাংশ। শিশু শ্রমিকদের গড় মাসিক আয় ৬ হাজার ৬৭৫ টাকা। এ ছাড়াও ২০ লাখ ১০ হাজার শিশু গৃহকর্মী রয়েছে যাদের পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না এবং ৮ লাখ শিশু রয়েছে যারা পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত, উভয় ক্ষেত্রেই পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি। তিনটি প্রাথমিক সেক্টর যেখানে কৃষি, শিল্প এবং পরিষেবা শিশু শ্রমিক নিয়োগ করে।
জরিপে বিবিএস দাবি করছে, আগামী ২০২৫ সালের মধ্য শিশু শ্রম নিমূল করা হবে। বর্তমানে ২০২৪ সাল চলছে। যা এখন প্রস্তুতিমূলক পর্যায় পরিচালিত হচ্ছে।
জাতীয় শিশু জরিপটি ১ হাজার ২৮৪টি প্রাথমিক স্যাম্পলিং ইউনিট (পিএসইউ) থেকে ৩০ হাজার ৮১৬টি খানা (১২টি নন-রেসপন্স খানাসহ) নির্বাচন করা হয়। পরবর্তীতে ৬৪টি জেলা থেকে তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছিল। এই জরিপের তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম ২০২২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মে ২০২৩ পর্যন্ত পরিচালিত হয়।