চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৪ ১৪:২৯ পিএম
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৪ ১৫:২৮ পিএম
মঙ্গলবার বেলা ৩টা ২৫ মিনিট থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ২২ মিনিট পর্যন্ত জাহাজটি প্রায় ৪৫৫ নটিক্যাল মাইল পাড়ি দিয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে ২৩ নাবিকসহ সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলে জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রিত জলসীমায় পৌঁছে গেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বেলা ৩টা ২৫ মিনিট থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ২২ মিনিট পর্যন্ত জাহাজটি প্রায় ৪৫৫ নটিক্যাল মাইল পাড়ি দিয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ২২ মিনিটে জাহাজটি হালনাগাদ তথ্য পাওয়া গেছে। এই সময় জাহাজটির গতি কমিয়ে ৬ দশমিক ৪ নটিক্যাল মাইলে চলছিল। তখন জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করছিল। পরবর্তী ৩০-৪০ মিনিটের মধ্যেই জাহাজটি নোঙর করার স্থানে পৌঁছার কথা। সেই হিসাবে এ প্রতিবেদন লেখার সময় দুপুর পৌনে ১টার দিকে জাহাজটি নোঙর করার প্রস্তুতি শুরু করেছে বলে ধারণা করছেন বাংলাদেশে জাহাজটির গতি পর্যবেক্ষণরত নাবিকরা।
চট্টগ্রামের শিল্পগ্রুপ কেএসআরএম’র অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লাইনের মালিকাধীন জাহাজটিতে ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক রয়েছেন। জিম্মি ২৩ নাবিকের পরিবারে স্বজনদের মধ্যে হাহাকার চলছে। স্বজনরা নাবিকদের যেকোনো মূল্যে জীবিত উদ্ধারের দাবি জানাচ্ছেন।
জিম্মি নাবিকদের স্বজনদের অনেকেই বুধবার কবির (কেএসআরএম) গ্রুপের কার্যালয়ে গিয়ে জাহাজ মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এ সময় মালিকপক্ষ স্বজনদের সান্ত্বনা দিয়েছেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে জিম্মিদের উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
জিম্মি হওয়া জাহাজটি আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাচ্ছিল। পথিমধ্যে জলদস্যুর কবলে পড়ে। মঙ্গলবার যখন জাহাজটিতে জলদস্যুরা হানা দেয়, তখন পর্যন্ত নাবিকদের জন্য ২৫ দিনের খাবার ছিল। আর পানি ছিল ২০০ টনের মতো।
জিম্মি দশা শুরুর পর নাবিকেরা মোবাইল ফোনে বাংলাদেশে থাকা স্বজনদের বার্তা পাঠাতে সক্ষম হলেও বুধবার থেকে নতুন করে কোনো বার্তা পাঠাতে পারেননি। তাদের মোবাইল ফোন জলদস্যুরা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এখন মালিকপক্ষ আশা করছে, জলদস্যুরা যোগাযোগ শুরু করবে।
এর আগে ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে কবির গ্রুপের ‘জাহান মনি’ নামের আরেকটি জাহাজ সোমালিয়ান জলদস্যুরা জিম্মি করেছিল। তখন ২৫ নাবিকসহ ২৬ জনকে উদ্ধার করেছিলেন কবির গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ শাহাজাহান। এবারও নাবিক ও জাহাজ উদ্ধারে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে গ্রুপটি।