প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৪ ১৫:৪৫ পিএম
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৪ ১১:৫০ এএম
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি- সংগৃহীত
ভারত মহাসাগর থেকে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি নাবিকদের যেকোনো মূল্যে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ফেরি, স্টিমার, লঞ্চসহ জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কর্মপন্থা গ্রহণের লক্ষ্যে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি জাহাজটি এখনও জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তবে ২৩ জন নাবিক নিরাপদে আছেন। তাদের দ্রুত সুস্থতার সঙ্গে ফিরিয়ে আনতে পররাষ্ট্র পর্যায়ে আলোচনা চলছে।’
ভারত মহাসাগরে ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ নামে বাংলাদেশি জাহাজটি মঙ্গলবার দুপুরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে দস্যুরা আক্রমণ চালিয়ে জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে।
আরও পড়ুন: ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণ দাবি, চলছে দরকষাকষি
জানা গেছে, নাবিকদের ছাড়তে ‘৫০ লাখ’ মার্কিন ডলার চেয়েছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। মুক্তিপণ না পেলে বাংলাদেশি নাবিকদের মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
জাহাজটির প্রধান কর্মকর্তা (চিফ অফিসার) মো. আতিক উল্লাহ খান তার স্ত্রীকে পাঠানো সবশেষ এক অডিও বার্তায় বলেন, ‘আমাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে। টাকা না দিলে তারা একে একে আমাদের সবাইকে মেরে ফেলবে। তাদের যত তাড়াতাড়ি টাকা দেবে, তত তাড়াতাড়ি ছাড়বে বলেছে। এ বার্তাটা সবদিকে পৌঁছে দিয়ো।’
আরও পড়ুন: ‘টাকা না দিলে আমাদের একজন একজন করে মেরে ফেলতে বলেছে’
দেশের শীর্ষ শিল্প গ্রুপ চট্টগ্রামের কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজ এটি। ২০১৬ সালে তৈরি জাহাজটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্ত ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। প্রথমে জাহাজটির নাম ছিল ‘গোল্ডেন হক’। বাংলাদেশের কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হওয়ার পর এর নাম হয় ‘এমভি আব্দুল্লাহ’। এটি একটি বাল্ক কেরিয়ার।