কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৪ ২০:৫৮ পিএম
আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৪ ২১:১৩ পিএম
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ফাইল ফটো
সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হলে একাত্তরে বাংলাদেশের গণহত্যার স্বীকৃতি আদায় করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য সুষ্ঠু সমন্বয় দরকার। এজন্য মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মধ্যে সমন্বয় দরকার। আমি মন্ত্রণালয়ে কথা বলব এটি নিয়ে কী করা যায়। এখনও স্বীকৃতি না পাওয়ার অন্যতম কারণ যারা মুক্তিযুদ্ধ চায়নি, সেই অপশক্তিকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করা।’
রবিবার (১০ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ‘জেনোসাইড ইন বাংলাদেশ : সিকিং রিকগনিশন অ্যান্ড রিপারেশন’ শীর্ষক সেমিনারে এসব বলেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একটি নিরস্ত্র জাতিকে একটি ভাষণের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সশস্ত্র জাতিতে পরিণত করেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকেই স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে পাকিস্তানিদের বিপক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাঙালি। যেহেতু ৫২ বছর আগের ঘটনা, সেজন্য সুষ্ঠু ডকুমেন্টেশন করা অত্যন্ত জরুরি। ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টেশন আমাদের বেশি নেই এবং মুক্তিযোদ্ধারা দিন দিন মারা যাওয়ায় তাদের সংখ্যা যেভাবে কমে যাচ্ছে, তাতে এই ডকুমেন্টেশন করতেই হবে আমাদের।’
তিনি বলেন, ‘একাত্তরের গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের জিয়াউর রহমান পুনর্বাসিত করেছিল। স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে জোট বেঁধে খালেদা জিয়া আরও একধাপ এগিয়ে ছিল। গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় না আনলে গণহত্যার স্বীকৃতি আরও অনেক আগে পাওয়া যেত। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে রাজনীতি করার কারণে একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতি আদায় হয়নি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রুয়ান্ডা, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়াসহ আরও অনেক দেশের জেনোসাইড স্বীকৃতি পেয়েছে। সেসব দেশে ৩০ লাখ নয়, তিন-চার লাখ মানুষ মারা গেছে। স্বাধীনতা অর্জনের পর বেশ কিছু দিন আমরা ক্ষতিপূরণ নিয়ে কথা বলেছিলাম। সে বিষয়টিও হারিয়ে গেছে। বাংলাদেশের জেনোসাইডের স্বীকৃতি আদায়ের পাশাপাশি পাকিস্তানিরা যে আমাদের ২৩ বছর শোষণ করেছে, সেটি নিয়েও আমাদের কথা বলা দরকার।’