× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

গরিবের খাবারেও অনিয়মের থাবা

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৪ ০৮:৫১ এএম

আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৪ ০৮:৫৬ এএম

গরিবের খাবারেও অনিয়মের থাবা

সরকারের টিসিবি পণ্য বিক্রি এবং ওএমএস কর্মসূচিতে বিভিন্ন রকম অনিয়ম হচ্ছে। পরিমাণে কম যেমন দেওয়া হচ্ছে তেমনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হচ্ছে গরিবের খাবার। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য পাচ্ছেন না অনেকে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে এমনকি লাঠি নিয়ে মারার জন্য তেড়ে আসার অভিযোগ আসছে। কার্ড বিতরণেও জনপ্রতিনিধিরা টাকা নিচ্ছেন বলে অভিযোগও করেছেন অনেকে। একইভাবে দুস্থদের না দিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাদের সচ্ছল আত্মীয়স্বজনকে কার্ড দিচ্ছেন। শুধু খাদ্যশস্যের বিক্রেতাদের ডিলার নিয়োগ দেওয়ার নিয়ম থাকলে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা পণ্য বিক্রি করছেন। 

গরিব মানুষ যাতে সহজে খাদ্যপণ্য সংগ্রহ করতে পারে সে জন্য খোলা বাজারে খাদ্যপণ্য বিক্রির (ওপেন মার্কেট সেলÑওএমএস) কর্মসূচি চালু রয়েছে। একই উদ্দেশ্যে সরকারের টিসিবি (ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশ) সাশ্রয়ী দামে খাদ্যপণ্য বিক্রি করছে। উভয় কর্মসূচি ডিলারদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, ডিলাররা তাদের বরাদ্দের পুরোটা কার্ডধারীদের কাছে বিক্রি করেন না; পরে সাধারণ বাজারে বেশি দামে বিক্রি করেন। আর সেখানে ভাগ বসাচ্ছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। সেখানে সরকারের খাদ্যপরিদর্শক অবৈধ সুবিধা নিয়ে চুপ থাকছেন। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ডিলাররা একটি চক্র গড়ে তুলেছেন।

চট্টগ্রাম ও কালিয়াকৈরে বঞ্চিত কার্ডধারীরা

গত ৩ মার্চ চট্টগ্রাম নগরীর বেশ কয়েকজন ডিলারের দোকানে গিয়ে দেখা গেছে, ভোর থেকে লাইনে দাঁড়ানোর পরও কোনো ডিলার সকাল ১০টায়, কেউ বা সাড়ে ১০টায় বিক্রি শুরু করেন। এরপর যারা পরিচিত তাদের কাছে লাইন ছাড়াই পণ্য বিক্রি করেন। কারও কারও জন্য বস্তায় ভরে আলাদা করে পণ্য রেখে দেন। এ কারণে তিন-চার ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে চাল-আটা পান না। আবার একজনের কাছে পাঁচ কেজি বিক্রির নিয়ম থাকলেও কখনও তিন কেজি, কখনও দুই কেজি বিক্রি করছেন। ক্রেতাদের চাল-আটা দুটোই দিচ্ছেন না ডিলাররা। অধিকাংশ ডিলার যাকে চাল দেন তাকে আটা দেন না। প্রতিদিন প্রতিটি দোকান থেকে এক মেট্রিক টন (৫০ কেজির ২০ বস্তা) আটা বরাদ্দ থাকলেও ৮-১০ বস্তার বেশি কেউ বিক্রি করেন না। আবার অনেকে আটা বিক্রিই করেন না।

শহরের পোস্তারপাড় এলাকার মেসার্স ইলিয়াছ ট্রেডার্স ডিলার, আইস ফ্যাক্টরি সড়কের মেসার্স হারুন স্টোর ডিলার, চাক্তাই চামড়ার গুদাম এলাকার এস এম ব্রাদার্স ডিলার পয়েন্টে এমন চিত্র দেখা গেছে। জানতে চাইলে মেসার্স হারুন স্টোরের মালিক মো. হারুন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘চালের সঙ্গে আমরা আটাও বিক্রি করি। প্রয়োজনে আপনি দাঁড়িয়ে থেকে দেখতে পারেন।’ তিনি কোনো অনিয়ম করেন না বলে দাবি করেন। অথচ সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে দেখা গেছে, একজন ক্রেতা চাল-আটা দুটোই পাঁচ কেজি করে কিনতে চাইলেও তার কাছে শুধু তিন কেজি চাল বিক্রি করা হয়। বিষয়টি উল্লেখ করলে ডিলার হারুন কোনো উত্তর দিতে পারেননি। 

কার্ডধারীরা অভিযোগ করেন, একাধিকবার ডিলার পয়েন্টে যোগাযোগ করেও পণ্য পাচ্ছেন না তারা। একাধিক কার্ডধারী জানিয়েছেন, প্রায় সময় ডিলার পয়েন্টে গিয়ে তারা পণ্য পাননি। ডিলাররা কখনও বলেন ‘তেল এখনও আসেনি’ আবার কখনও বলেন ‘এখনও ডাল আসেনি’। এমন নানা কথা বলে প্রায়ই ক্রেতাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে কার্ডধারীরা জানান।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুমাইয়া নাজনীন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমরা এখন পর্যন্ত পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘ডিলার পয়েন্টে চাল-আটা বিক্রি তদারকির জন্য আমাদের পরিদর্শক আছেন। আমি নিজেও মাঝেমধ্যে গিয়ে তদারক করি। এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি।’

একই রকম অনিয়ম দেখা গেছে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায়। উপজেলার সফিপুর এলাকার ডিলার কালিয়াকৈর পৌর কৃষক লীগের সভাপতি সরদার নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ভাই, এত লোকের মাঝে দুয়েকজনের সমস্যা হতেই পারে।’ ডিলার নুরুল ইসলাম এবারের মতো মাফ চেয়ে সংবাদ প্রচার না করতে অনুরোধ জানান। 

উপজেলার ভান্নারা বাজারের ওএমএসের ডিলার পয়েন্টে সকাল সাড়ে ৯টায় গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতারা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও ডিলার পয়েন্ট বন্ধ রয়েছে। সকাল ১০টার পর ডিলারের প্রতিনিধিরা এসে চাল ও আটা বিক্রি শুরু করলেও ক্রেতারা অভিযোগ করেন, ভান্নারার ওএমএসের ডিলার ও তার বিক্রয় প্রতিনিধিরা তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। সরেজমিনে তার প্রমাণও মিলেছে। ভান্নারা গ্রামের খাদিজা খানম বলেন, ডিলার লতিফ খান ও তার প্রতিনিধিরা তিন কেজি চাল ও চার কেজি আটার বেশি বিক্রি করেন না। সরকারনির্ধারিত পাঁচ কেজি চাল ও পাঁচ কেজি আটা চাইলে তারা ক্রেতাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। অনেক সময় লাঠি নিয়ে মারার জন্য তেড়ে আসেন।

এ বিষয়ে ডিলার লতিফ খান বলেন, ‘আমরা কম দিই না। তবে চাল ও আটা মাপার সময় সামান্য কিছু নিচে পড়ে যায়। তাই ক্রেতারা এসব বলে।’ প্রতিবেদন প্রচার না করতে প্রতিবেদকের বাড়িতে চাল ও আটার বস্তা পাঠানোর প্রস্তাব দেন তিনি।

বেতাগী ও খানসামায় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

বরগুনার বেতাগী ও দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় টিসিবি পণ্য বিক্রি নিয়ন্ত্রণ করেন স্থানীয় প্রভাবশালীসহ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। কার্ড বিতরণে টাকা আদায়সহ পণ্য বিতরণেও দল ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ করেন সুবিধাভোগীরা। এ নিয়ে গত নভেম্বরে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, বেতাগী উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নে স্থানীয় কয়েকজন ইউপি সদস্যের প্রশ্রয়ে কয়েকজন মিলে বস্তাভর্তি করছেন টিসিবি পণ্য। একাধিক ডিলার অভিযোগ করেন, স্থানীয় ইউপি সদস্যরা কার্ড ছাড়াই মালামাল দাবি করেন। না দিলে ডিলারের বিরুদ্ধে পরিমাণে কম ও সঠিকভাবে মাল বিতরণ হয় না এ ধরনের অজুহাত তুলে প্রশাসনের মাধ্যমে নানাভাবে হয়রানি করেন। ফলে সুষ্ঠুভাবে তারা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে পারেন না। 

এ বিষয় জানতে চাইলে বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফারুক আহমেদ বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা বিষয়গুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’ কিন্তু ভুক্তভোগীরা এসব বিষয়ে অভিযোগ দিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না বলে অনেকে জানিয়েছেন।

একইভাবে খানসামা উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সুবিধাভোগীদের কার্ড দিয়ে ইউপি সদস্যরা গোপনে পণ্য উত্তোলন করছেন। আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে এই অনিয়মের সত্যতা পেয়েছেন খানসামার ইউএনও মো. তাজ উদ্দিন। তাদের নোটিস দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘কারণ দর্শানোর চিঠি পেয়েছি। নির্ধারিত সময়ে লিখিত জবাব দেব।’ এ বিষয়ে ইউএনও মো তাজ উদ্দিন বলেন, ‘আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে ঘটনায় সম্পৃক্ততা পাওয়ায় দুই ইউপি সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যানকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হবে।’

সাতক্ষীরা ও ঠাকুরগাঁওয়ে টিসিবি পণ্য পাচ্ছেন সচ্ছলরা

ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকা ও সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা তাদের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের নামে কার্ড করে দিয়েছেন। তালা উপজেলার সরুলিয়া ইউপির চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই কোটিপতিদের টিসিবির কার্ড দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এগুলো আমি একা করিনি। ইউপি সদস্য ও রাজনৈতিক নেতাদের সুপারিশে কার্ড করা হয়েছে। এজন্য অনেক কোটিপতিও থাকতে পারে।’ ট্যাগ অফিসার শচীন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, ‘কার্ড বিতরণে অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। তবে সঠিক নিয়ম মেনেই ডিলাররা মাল বিতারণ করছে।’ ইউএনও আফিয়া শারমিন বলেন, ‘আমি আসার পর থেকে এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি। কোনো প্রকার অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকায় একই অভিযোগ উঠেছে। ঠাকুরগাঁও পৌরসভার গোয়ালপাড়ার রিকশাচালক নিজামউদ্দিন বলেন, ‘সচ্ছল, চাকরি বা ব্যবসা করেন এমন অনেকেই পেয়েছেন কার্ড। তারা টিসিবির মাল তোলেন। কিন্তু আমি পাইনি।’ সদর উপজেলার আকচা এলাকার দিনমজুর রাজু ইসলাম বলেন, ‘আমার টিসিবির কার্ড হয়েছিল। বেশ কয়েকবার পণ্য তুলছি। কিন্তু গত ছয় মাস ধরে আমার কার্ড অন্য একজনকে দিয়ে দিয়েছেন ইউপি সদস্য। এখন আমি আর টিসিবির পণ্য তুলতে পারি না।’ সদর উপজেলার সালন্দর এলাকার মকসেদুল ইসলাম নামে একজন কৃষক বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নে যারা টিসিবির কার্ড পাইছে তারা সবাই ভালো পরিবার। তাদের এই কার্ডের প্রয়োজন হয় না। যারা দরিদ্র তারাই কার্ড পায়নি।’

ঠাকুরগাঁও পৌরসভার টিসিবি পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের ট্যাগ ও জেলা বাজার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা রতন কুমার রায় অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘শুধু পৌরসভায় না, জেলার প্রায় সব ইউনিয়নে কিছু সচ্ছল ব্যক্তি টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড পেয়েছেন। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। এ জন্য পৌরসভার মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানরা ভালো করে তদারক করতে পারেন।’ ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, ‘যেকোনো মানবিক সহায়তার কার্যক্রম পরিচালনা করতে গেলে কিছু ভুলভ্রান্তি থেকে যায়। পাওয়ার যোগ্য নন এমন ব্যক্তিরা টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড পেয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। অভিযোগ যাচাইবাছাই করে তাদের কার্ড বাতিল করা হবে।’

ওজনে কম

ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেক কার্ডধারী। গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার আন্ধারমানিক গ্রামের পোশাক শ্রমিক জোসনা আক্তার বলেন, ‘সকাল ৭টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি পাঁচ কেজি চাল ও পাঁচ কেজি আটা কেনার জন্য। এখানে এসে শুনতে পেলাম চার কেজির উপরে চাল ও আটা বিক্রি করবেন ডিলার। তাই বাধ্য হয়েই চার কেজি করেই কিনতে হলো। পাশের দোকানে গিয়ে মেপে দেখি প্রতি প্যাকেটেই ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম কম দেওয়া হয়েছে।’ অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে গেলে ডিলার আরিফ হোসেন জসিমের বিক্রয়প্রতিনিধিরা কথা বলতে চাননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কালিয়াকৈর উপজেলার ওএমএসের একজন ডিলার বলেন, ‘আমরা তো ভাই দুই-একশ গ্রাম চুরি করি। চাল ও আটার ডিও করার সময় উপজেলা খাদ্য অফিসার সব ডিলারের কাছ থেকে প্রতিদিন এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা করে নিয়ে থাকেন। টাকা না দিলে সময়মতো চাল-আটা দেয় না। শুধু তা-ই নয়, প্রতি সপ্তাহে ডিস্ট্রিক্ট ফুড অফিসার হুমায়ুন কবির সাহেবকে দুই হাজার টাকা করে দিতে হয়। টাকা না দিলে ডিলারশিপ বাতিলের হুমকি দেয়।’

এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে কথা বলতে গেলে কালিয়াকৈর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ইমদাদুল ইসলাম শিকদার নিজের শারীরিক অসুস্থতা এবং দপ্তরের জনবল সংকটের কথা তুলে বলেন, ‘মাত্র তিনজন কর্মকর্তা দিয়ে ১২ জন ডিলারকে নজরদারিতে রাখা সম্ভব নয়।’ ঘুষ গ্রহণের কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘শালার বেটারা নিজেরা বাঁচার জন্য আমাদের ফাঁসিয়ে দিচ্ছে। তাদের একবার ধরতে পারলে ডিলারশিপ ক্যানসেল করে দেব।’

প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন চট্টগ্রাম অফিস, বেতাগী (বরগুনা), খানসামা (দিনাজপুর), তালা (সাতক্ষীরা), ঠাকুরগাঁও ও কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিবেদক

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা