প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৪ ২২:১০ পিএম
আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২৪ ২২:১২ পিএম
নারীদের এগিয়ে যেতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে বৈষম্য দূর করতে জাতীয় বাজেট তৈরির সময় জেন্ডার-সমতাকে প্রাধান্য দেওয়াসহ নারী নির্যাতন ও হয়রানি সংক্রান্ত অভিযোগগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ে অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা।
শুক্রবার (৮ মার্চ) দিবসটি উপলক্ষে সকাল থেকেই বেগুনি রঙের পতাকা ও শাড়ি পরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করেন বিভিন্ন সংগঠনের নারীরা। সবার হাতে ছিল বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড। সেখানে লেখা- ‘সকল কারখানা জেন্ডার সহিংসতা বন্ধে কমিটি করুন’, ‘সাইবার সহিংসতা বন্ধ করি, সমতার প্রজন্ম গড়ে তুলি’ প্রভৃতি স্লোগান।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন করা হয় দিবসটি। সেখানে পাঁচ নারীর হাতে ‘সেরা জয়িতা পুরস্কার-২০২৩’ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৬৬ নারী ও মানবাধিকার সংগঠনের প্ল্যাটফর্ম সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি ‘বৈষম্যপূর্ণ পারিবারিক আইন পরিবর্তন করো, নারীর অগ্রসর হওয়ার প্রতিবন্ধকতা দূর করতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করো’ প্রতিপাদ্যে দিবসটি উদযাপন করে। তারা নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত করতে ১৩ দফা দাবি তুলে ধরেন। সভাপতির বক্তব্যে ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ২০০ বছরের অধিক সময় ধরে বিভিন্ন ইস্যুতে চলমান আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নারীসমাজ সংগঠিত হয়েছে। স্থায়ী উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করতে হবে; বিভাজন, হিংসাপূর্ণ, ধর্মান্ধতাপূর্ণ সমাজকে মুক্ত করতে হলে প্রাথমিক শিক্ষায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে, সহিংসতাশূন্য সহিষ্ণুতার নীতি গ্রহণ করতে হবে; ডিজিটাল দুনিয়ায় নারীর জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, নারীর পারিবারিক ও সেবামূলক কাজের মূল্যায়ন করতে হবে।
‘মোরা আকাশের মতো বাধাহীন’ শিরোনামে নারীপক্ষ দিবস উদযাপন করেছে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশন, আওয়াজ, নারী প্রগতি সংঘ, এশিয়া ফ্লোর ওয়েজ অ্যালায়েন্স, বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটি (বিসিডব্লিউএস), বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ ও বাংলাদেশ জনতা সাংস্কৃতিক পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন র্যালি, সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে দিবসটি ঘিরে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে দিবসটিকে কেন্দ্র করে মঞ্চস্থ হয় দুটি নাটক। একটি প্রাঙ্গণেমোরের ‘অভিনেতা’, অন্যটি স্বপ্নদলের ‘চিত্রাঙ্গদা’। প্রদর্শনীর আগে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস সম্মাননা’ প্রদান করা হয় অভিনেত্রী ও নির্মাতা হৃদি হককে।